ঈশান কিশন। —ফাইল চিত্র।
সব টেস্টে বাজ়বল (ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালামের ডাকনাম বাজ়। তাঁর সময়ে ইংল্যান্ড যে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলছে সেটার এই নাম দেওয়া হয়েছে।) খেলা সম্ভব নয় বলে মনে করেন ঈশান কিশন। ভারতীয় দল এই ধরনের ক্রিকেট খেলতে পারে বলেও বিশ্বাস করেন তরুণ উইকেটরক্ষক। কিন্তু ঈশানের মতে পরিস্থিতি বুঝে খেলাই উচিত।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে ঈশানকে চার নম্বরে নামিয়েছিল ভারত। দ্রুত রান তোলার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। সেটা কাজেও লেগে যায়। ভারতকে বড় রানের লিড পেতে সাহায্য করেন বাঁহাতি ব্যাটার (৩৪ বলে ৫২ রান)। ঈশান বলেন, “প্রতি দিন আগ্রাসী মেজাজে খেলা সম্ভব নয়। পুরোটাই পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। উইকেট যদি পাটা হয়, তা হলে দ্রুত রান তোলা সম্ভব। দলেরও অনেক সময় প্রয়োজন হয় এই ভাবে খেলার। তখন আগ্রাসী ভাবে খেলাই যায়। কিন্তু সব ম্যাচে এই ভাবে খেলার কোনও প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। আমাদের দলে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার মতো খেলোয়াড় রয়েছে। কিন্তু মনে হয় না টেস্ট ক্রিকেটে সব সময় ওই ভাবে খেলার কোনও প্রয়োজন আছে।”
ব্যাট হাতে ঈশানের সাফল্য ভারতীয় দলকেও নিশ্চিন্ত করবে। গাড়ি দুর্ঘটনার পর দল থেকে ছিটকে গিয়েছেন ঋষভ পন্থ। তাঁর জায়গায় লাল বলের ক্রিকেটে শ্রীকর ভরতকে দলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি ব্যাট হাতে ব্যর্থ। উইকেটরক্ষক হিসাবেও নজর কাড়তে পারেননি। সেই জায়গায় ঈশান সুযোগ পেতেই ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন, উইকেটরক্ষক হিসাবেও কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছেন। আগামী দিনে লাল বলের ক্রিকেটে তিনি যে আবার সুযোগ পাবেন, তা বলাই যায়।
আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেন ঈশান। সেই দলের অধিনায়ক রোহিত। ভারতীয় দলেও তাঁর নেতৃত্বে খেলছেন ঈশান। তিনি বলেন, “রোহিত শর্মা অভিজ্ঞ অধিনায়ক। ও সকলকে নিজের মতো খেলতে দিতে পছন্দ করে। আমি ব্যাট করতে নামার সময় ও বলল, ‘নিজের মতো খেলো, কে কী বলছে শোনার প্রয়োজন নেই। নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলো।’ এক জন অধিনায়কের থেকে এই বার্তা পাওয়া যে কোনও তরুণ ক্রিকেটারের জন্য বিরাট ব্যাপার।”
সাদা বলের ক্রিকেটে ঈশানের অভিষেক হয় ২০২১ সালে। কিন্তু লাল বলের ক্রিকেটে সেই সুযোগ পেতে সময় লেগে গেল আরও দু’বছর। ঈশান বলেন, “আমি হয়তো সেই সময় ভাল খেলছিলাম না, সেই কারণে আমাকে নেওয়া হয়নি। প্রতিটা মানুষ দলে সুযোগ না পাওয়া নিয়ে নিজের মতো করে ভাবে। কেউ হতাশ হয়ে যায় সুযোগ না পেলে, কেউ আবার মরিয়া হয়ে ওঠে ভাল খেলার জন্য। আমি সব সময় একটা করে ম্যাচ দেখে এগোতে পছন্দ করি। খুব দূরের জিনিস ভাবি না। যে ম্যাচ খেলছি, সেটাতেই নজর দিই। শুধু ভাবি ব্যাটার এবং উইকেটরক্ষক হিসাবে অধিনায়ককে কী ভাবে সাহায্য করতে পারি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy