Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Team India

T20 World Cup 2022: বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে এগিয়ে কোহলীরা, পিছনে অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ

টি২০ বিশ্বকাপের আগে সময় রয়েছে আর সাড়ে পাঁচ মাস। এর মধ্যেই সব দলকে বেছে নিতে হবে নিজেদের সেরা দল। পাখির চোখ দ্বিপাক্ষিক টি২০ সিরিজে।

ভারতের সামনে বড় সুযোগ।

ভারতের সামনে বড় সুযোগ। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২২ ১৫:৩৬
Share: Save:

কেউ খেলবে ১৮টি ম্যাচ, কেউ ১১টি, কেউ আবার খেলবেই না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে হাতে সময় সাড়ে পাঁচ মাস। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা টি-টোয়েন্টি সিরিজের মাধ্যমেই দলগুলি নিজেদের তৈরি করবে। ঠিক এই জায়গাতেই এগিয়ে বিরাট কোহলীরা। কারণ, সব থেকে বেশি ১৮টি ম্যাচ খেলবে তারা। এর পরে এই তালিকায় রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারা ১৩টি ম্যাচ খেলবে, ভারতের থেকে পাঁচটি কম। ফলে সেরা প্রস্তুতির সুযোগ রয়েছে ভারতের সামনেই।

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু ২২ অক্টোবর। তার আগে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলী, লোকেশ রাহুলরা খেলবেন ১৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এর সঙ্গে যোগ হবে এশিয়া কাপের ম্যাচ (সূচি এখনও ঘোষিত হয়নি)। এই ম্যাচগুলিতে ক্রিকেটারদের দেখে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে নির্বাচকদের কাছে। ছন্দহীন রোহিত, বিরাটরা সুযোগ পাবেন ছন্দ ফিরে পাওয়ার। একাধিক বড় দেশের সঙ্গে খেলে নিজেদের শক্তি যাচাই করার সুযোগও পাবে ভারত।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৯ জুন থেকে শুরু হচ্ছে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজের শেষ ম্যাচ ১৯ জুন। এর পর আয়ারল্যান্ডে গিয়ে দু’টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে ভারত। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও রয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলবে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এর পর শ্রীলঙ্কা এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলার কথা ভারতের। রয়েছে এশিয়া কাপও। শুধু দ্বিপাক্ষিক সিরিজেই ভারতের সামনে ১৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ।

কোন দল খেলবে কতগুলি ম্যাচ।

কোন দল খেলবে কতগুলি ম্যাচ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

আর কোনও দেশই এতগুলি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে না এই সাড়ে পাঁচ মাসে। এখনও পর্যন্ত তৈরি হওয়া সূচি অনুযায়ী এশিয়া কাপ ছাড়া কোনও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ নেই পাকিস্তানের কাছে। বাংলাদেশ খেলবে মাত্র তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। শ্রীলঙ্কাও (বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্ব খেলতে হবে) খেলবে তিনটি। বাংলাদেশের ম্যাচ রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। শ্রীলঙ্কা খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। আফগানিস্তানের কাছে সুযোগ রয়েছে আটটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার। জিম্বাবোয়ে এবং আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবেন রশিদ খানরা। এশিয়ার দেশগুলির কাছে নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করার সুযোগ থাকবে এশিয়া কাপে। সেখানেও টি-টোয়েন্টি ম্যাচই খেলবে দলগুলি।

বাকি দেশগুলির মধ্যে সব থেকে বেশি ম্যাচ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যদিও যোগ্যতা অর্জন পর্ব খেলতে হবে দু’বারের চ্যাম্পিয়নদের (২০১২ এবং ২০১৬)। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সুযোগ রয়েছে ১৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার। ভারত, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দেশগুলির বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে তারা। তিনটি ম্যাচ রয়েছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এ বারের আইপিএলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনও ক্রিকেটারই সে ভাবে ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি। দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ১৩টি ম্যাচে দল গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকবে নিকোলাস পুরানদের কাছে।

অস্ট্রেলিয়া খেলবে ১১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পাবেন অ্যারন ফিঞ্চরা। নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ১০টি করে ম্যাচ খেলবে। আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলবে নিউজিল্যান্ড। কেন উইলিয়ামসনরা যে দলগুলির বিরুদ্ধে খেলবে তাদের মধ্যে কেউই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকা খেলবে ভারত, ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ভারতের বিরুদ্ধে পাঁচটি ম্যাচ থাকায় এই সিরিজ কুইন্টন ডি’কক, ডেভিড মিলারদের কাছে বড় সুযোগ নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার। ভারতীয় দল যদিও এই সিরিজে বিশ্রাম দিয়েছে রোহিত, বিরাটদের।

ইংল্যান্ড খেলবে মোট ৯টি ম্যাচ। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিরুদ্ধে খেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেবেন অইন মর্গ্যানরা। তিন দলের বিরুদ্ধে তিনটি করে ম্যাচ খেলবেন তাঁরা। উল্লেখ্য, ফিঞ্চদের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়াতে গিয়েই খেলবেন জস বাটলাররা। যে দেশে বিশ্বকাপ, সেই দেশেই বিশ্বকাপ শুরুর এক সপ্তাহ আগে সিরিজ খেলবে ইংল্যান্ড। দেশের আবহাওয়া, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকবে তাদের কাছে।

বেশি ম্যাচ খেলে প্রস্তুতির সুযোগ ভারতের কাছে। শুধু একটি বিষয় নিয়ে চিন্তা থাকছেই। ক্লান্তি। জুন মাস থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে, বিদেশে টানা খেলে যেতে হবে ভারতকে। শুধু টি-টোয়েন্টি নয়, খেলতে হবে টেস্ট এবং এক দিনের ম্যাচও। সেই কারণে ভারতীয় বোর্ড ১৮ বা ২০ জন নয়, ৩৫ জন ক্রিকেটারের দিকে নজর রাখছে। বিসিসিআইয়ের এক কর্তা বলেন, “সব ক্রিকেটারকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে কতটা ব্যস্ত সূচি রয়েছে সামনে। কোন সময় বিরতি নেবেন তাঁরা, সেটাও জানাতে বলা হয়েছে।” দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে যেমন বেশ কিছু ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।

১৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, ব্যস্ত সূচি, প্রস্তুতির সেরা সুযোগ, সবই রয়েছে ভারতের কাছে। গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যর্থতা মুছে দেওয়ার চেষ্টা করবেন রোহিতরা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy