আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না কোহলি। ছবি: আইসিসি
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মারা শট লং অফের উপর দিয়ে উড়ে যেতেই হাঁটু মুড়ে বসে পড়লেন তিনি। উইকেটের মধ্যে মারলেন একটা ঘুসি। খুলে ফেললেন হেলমেট। তত ক্ষণে ডাগআউট থেকে ছুটে এসে তাঁকে জড়িয়ে ধরেছেন সূর্যকুমার যাদব। ছাড়তেই চাইছেন না। চাইবেনই বা কেন? হেরে যাওয়া ম্যাচ একা হাতে জিতিয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। হয়তো সঙ্গী হিসাবে পেয়েছেন হার্দিক পাণ্ড্যকে। কিন্তু মেলবোর্নের ৯০ হাজারের বেশি দর্শক আর টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখা কোটি কোটি ভারতীয় সমর্থক জানেন, কোহলি ছাড়া এই ম্যাচ জেতা সম্ভব ছিল না। সেটা হয়তো কোহলি নিজেও জানেন। আর তাই ম্যাচ জিতে আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না তিনি। কেঁদে ফেললেন।
ভারতীয় ইনিংসের ১৯তম ওভারে হ্যারিস রউফের শেষ দুই বলে কোহলি দুটো ছক্কা মারার পরে আর নিজের আসনে বসে থাকতে পারেননি রোহিত শর্মা। ছটফট করছিলেন। ম্যাচ জেতার পরে মাঠে ছুটে এসে কোহলিকে কোলে তুলে নেন রোহিত। তাঁকে ছাড়তেই চাইছিলেন না। তিনি জানেন, কোহলি না থাকলে তাঁর অধিনায়কত্বে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই জয় সম্ভব হত না। শুধু রোহিত নন, অশ্বিন, হার্দিক, শামিদের আলিঙ্গন থেকে বার হতে পারছিলেন না কোহলি।
কোহলি নিজেও আবেগে ভাসছিলেন। বার বার আকাশের দিকে তাকাচ্ছিলেন। কোহলিকে কাঁদতে দেখে ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলে বলেন, তিনি কোনও দিন কোহলির চোখে জল দেখেননি। সত্যিই, খুব খারাপ সময়েও কোহলি হতাশ হয়েছেন, মেজাজ হারিয়েছেন, কিন্তু কাঁদেননি। এমনকি এশিয়া কাপে শতরান করেও মুখে শুধুই হাসি ছিল তাঁর। কিন্তু এ দিন তাঁর চোখে দেখা গেল জল।
মাঝে মধ্যে হাঁফ ছাড়তে দেখা যাচ্ছিল কোহলিকে। সত্যিই তো, মেলবোর্নের মাঠে ইনিংসের শুরুতে যে ভাবে তিনি দু’রান, তিন রান নিয়েছেন তাতে ক্লান্তি আশা স্বাভাবিক। কিন্তু ক্লান্তির থেকেও অনেক বেশি স্বস্তি দেখা যাচ্ছিল কোহলির মুখে। হাসছিলেন। কারণ, কয়েক মাস আগে পর্যন্ত লাগাতার সমালোচনা হচ্ছিল তাঁকে ঘিরে। তার একের পর এক জবাব দিচ্ছেন কোহলি। এশিয়া কাপে শতরান যদি তার প্রথম জবাব হয়, তা হলে এই ম্যাচে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিলেন কোহলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy