Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Mohammed Shami

বিশ্বকাপের আগে খেলার সুযোগ নেই শামির, ভারতের হয়ে টি২০ ক্রিকেটে কি আর দেখা যাবে না তাঁকে?

টি২০ বিশ্বকাপের আগে ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেন না শামি। রিজ়ার্ভ দলে থাকলেও মূল দলে নেওয়া হবে গত এক বছরে দেশের হয়ে একটিও টি২০ ম্যাচ না খেলা পেসারকে? শামিকে আদৌ আর টি২০ ক্রিকেটে দেখা যাবে?

এর পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ সালে। শামির তখন বয়স হবে ৩৪ বছর।

এর পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ সালে। শামির তখন বয়স হবে ৩৪ বছর। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:১৯
Share: Save:

এশিয়া কাপে ভারতীয় দলের পেসাররা ব্যর্থ হওয়ার পর মহম্মদ শামিকে নেওয়ার রব উঠেছিল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রিজ়ার্ভ দলে তাঁকে দেখে আশা বেড়েছিল সমর্থকদের। অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়েও দলে রাখা হয় তাঁকে। মনে করা হয় প্রায় এক বছর দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি না খেলা শামিকে এক বার পরখ করে নিতে চাইছে দল। কিন্তু ভারতীয় পেসার করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। যদিও বুধবার শামি নিজেই জানিয়েছেন, তিনি এখন করোনামুক্ত, দু’টি সিরিজ়ের একটিতেও খেলার সুযোগ পেলেন না তিনি। প্রশ্ন উঠছে, শামির টি-টোয়েন্টি দলে ঢোকার দরজা কি তা হলে একেবারেই বন্ধ হয়ে গেল?

গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ভারতীয় দলের জার্সিতে ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণে দেখা যায়নি শামিকে। এই সময়ের মাঝে আইপিএলে গুজরাত টাইটান্সের হয়ে ১৬ ম্যাচে ২০টি উইকেট নেন তিনি। হার্দিক পাণ্ড্যর দলের হয়ে নতুন বলে আগুন ঝরাতে দেখা গিয়েছিল শামিকে। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে তাঁকে দলে ফেরানোর আবেদনের জন্য সমর্থকদের মূল অস্ত্র ছিল। কিন্তু লাল বলের ক্রিকেটে যশপ্রীত বুমরার সঙ্গী হিসাবে যাঁকে প্রথম পছন্দ রোহিত শর্মাদের, সাদা বলে তাঁকে নেওয়া হয় না কেন? বাংলার প্রাক্তন কোচ অরুণ লাল আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “মনে হয় শামিকে ওরা বিশ্রাম দিয়ে খেলাতে চাইছে। ইংল্যান্ড যে ভাবে জেমস অ্যান্ডারসনদের খেলায়।” ৩২ বছরের শামিকে বিশ্রাম দিয়ে খেলানোর কথা ভাবতেই পারে দল। কিন্তু এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে তাঁকে দলে না নেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত? অরুণ বললেন, “বড় প্রতিযোগিতায় বিশ্রাম না দিয়ে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ়ে বিশ্রাম দেওয়া ভাল ছিল।”

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রিজ়ার্ভ দলে থাকা শামি কি মূল দলে ঢুকতে পারবেন? ৯ অক্টোবর পর্যন্ত সুযোগ থাকবে ১৫ জনের দলে পরিবর্তন করার। অর্থাৎ ভারতীয় দল চাইলে শামিকে এই সময়ের মধ্যে দলে নিতে পারে। বুধবার ইনস্টাগ্রামে শামি নিজের কোভিড পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট পোস্ট করেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রস্তুতি ম্যাচে শামিকে খেলিয়ে তৈরি রাখা হতে পারে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যদি শামিকে খেলানো না হয় তা হলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আদৌ তাঁকে আর ভারতের জার্সি পরতে দেখা যাবে? এই প্রশ্ন উঠতেই পারে। এর পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ সালে। শামির তখন বয়স হবে ৩৪ বছর। এই দু’বছরে হর্ষল পটেল, আরশদীপ সিংহরা আরও কিছুটা অভিজ্ঞ হবেন। তাঁরাও নিজেদের প্রমাণ করতে চাইবেন। সে ক্ষেত্রে টি-টোয়েন্টি দলে ঢোকার ক্ষেত্রে শামির উপর চাপ আরও বাড়বে।

এশিয়া কাপের আগে মহম্মদ আজহারউদ্দিন বলেছিলেন, “বুমরা যখন দলে নেই, সেখানে শামিকে প্রয়োজন ছিল। নতুন বলে ও উইকেট নিতে পারত। শামির অভিজ্ঞতা কাজে লাগত।” অভিজ্ঞতার উপর জোর দিলে শামি এগিয়ে থাকবেন, কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তরুণদের উপর ভরসা রাখে ভারত। সে ক্ষেত্রে এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর তরুণ পেসারদের তৈরি করতে চাইবেন রোহিতরা। সেই দৌড়ে হর্ষল, আরশদীপের সঙ্গে দৌড়ে থাকবেন আইপিএলে ভাল খেলা উমরান মালিক, মোহসিন খানরাও। কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়বেন শামি।

এশিয়া কাপের পর অরুণ লাল বলেছিলেন, “টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শামিকে প্রয়োজন। ওর অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।” সাবা করিম বলেছিলেন, “টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের খেলা উচিত তিন জন পেসার এবং হার্দিক পাণ্ড্যকে নিয়ে। সে ক্ষেত্রে শামিকে নেওয়া হলে ভাল হয়।” এই আবেদন কি শুনবেন নির্বাচকরা? এশিয়া কাপ এবং অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ে ব্যর্থ হওয়া ভারতীয় পেস আক্রমণে প্রাণ ফেরাতে শামিকে আনা হবে? উত্তর এখনও অজানা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE