টান টান ম্যাচে জ়িম্বাবোয়েকে হারিয়ে স্বস্তিতে শাকিবরা। ফাইল ছবি।
জ়িম্বাবোয়েকে ৩ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখল বাংলাদেশ। টস জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শাকিব আল হাসান। ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তর ৫৫ বলে ৭১ রানের ইনিংসের সুবাদে ৭ উইকেটে ১৫০ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে জ়িম্বাবোয়ের ইনিংস শেষ হল ৮ উইকেটে ১৪৭ রানে।
বিপক্ষকে ভাঙলেন তাসকিন আহমেদ। বিশ্বকাপে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন বাংলাদেশের এই জোরে বোলার। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার অ্যালান ডোনাল্ডের প্রশিক্ষণে নিজের বোলিংয়ের ধার অনেকটাই বাড়িয়েছেন। সেই ধারেই নেদারল্যান্ডসের পর ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল জ়িম্বাবোয়ের ইনিংসও। তাসকিনের দাপটে ধস নামল ক্রেগ আরভিনদের ইনিংসে। ১৯ রানে ৩ উইকেট নিলেন তিনি। একটি ওভার মেডেনও পেলেন তাসকিন। ভাল বল করলেন মুস্তাফিজুর রহমানও। ১৫ রানে ২ উইকেট তাঁর। ৩৫ রানেই ৪ উইকেট হারান আরভিনরা। জ়িম্বাবোয়ে অধিনায়ক আরভিন (৮) নিজেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন। অন্য ওপেনার ওয়েসলি মাধেভেরে করলেন ৪ রান। তিন নম্বরে নামা মিল্টন শুম্বা সাজঘরে ফিরলেন ৮ রান করে। পাঁচ নম্বরে নেমে ব্যর্থ সিকান্দার রাজাও (শূন্য)।
জ়িম্বাবোয়ে ইনিংসের হাল ধরেন শন উইলিয়ামস। তিনিই মূলত টানলেন দলের ইনিংস। বোলারদের দাপটের মধ্যেই তাঁর লড়াই কিছুটা চাপে ফেলল বাংলাদেশকে। উইলিয়ামস করলেন ৪২ বলে ৬৪ রান। নিজের ইনিংসটি সাজালেন আটটি বাউন্ডারি দিয়ে। উইকেটরক্ষক রেগিস চাকাভার ব্যাট থেকে এল ১৯ বলে ১৫ রান। ২২ গজে উইলিয়ামসকে কিছুটা সঙ্গ দিলেন সাত নম্বরে নামা রায়ান বার্ল। তাঁর ব্যাট থেকে এল ২৫ বলে ২৭ রানের ইনিংস।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন শাকিব। বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটা অবশ্য ভাল হয়নি। শুরুতেই ফিরে যান ওপেনার সৌম্য সরকার। কোনও রান করার আগেই তিনি আউট হয়ে যান ব্লেসিং মুজারাবানির বলে। তিন নম্বরে নামা লিটন দাসকেও দ্রুত সাজঘরে ফিরিয়ে দেন মুজারাবানি। তিনটি চারের সাহায্যে তিনি করেন ১২ বলে ১৪ রান। জ়িম্বাবোয়ের জোরে বোলারের জোড়া ধাক্কায় বাংলাদেশের রান তোলার গতি কিছুটা মন্থর হয়ে যায় সুপার ওভারে। পরে শান্তর সঙ্গে দলের ইনিংসের হাল ধরেন শাকিব। বাংলাদেশের অধিনায়ককেও ব্যাট হাতে দারুণ স্বচ্ছন্দ দেখাল না জ়িম্বাবোয়ের বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে। ২৩ রান করতে খরচ করলেন ২০ বল। মারলেন মাত্র একটি ৪।
নাজমুল অবশ্য উইকেটের এক প্রান্তে দায়িত্বশীল ইনিংস খেললেন। তাঁর ইনিংসে ভর করেই পাকিস্তানকে হারিয়ে চমকে দেওয়া জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো রান তুলল বাংলাদেশ। ৭১ রানের ইনিংসে নাজমুল মারেন সাতটি ৪ এবং একটি ৬। শেষ দিকে বাংলাদেশের ইনিংসকে গতি দেওয়ার চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন। তাঁকে কিছুটা সঙ্গ দেন মোসাদ্দেক হোসেন। বেশি আগ্রাসী ছিলেন আফিফই। তাঁর ১৬ বলে ২৫ রানের ইনিংস বাংলাদেশকে ১৫০ রানের গণ্ডি পার করতে সাহায্য করে।
শাকিবদের বিরুদ্ধে জ়িম্বাবোয়ের অধিনায়ক আরভিন সাত জন বোলারকে ব্যবহার করলেন। তাঁদের মধ্যে সফলতম মুজারাবানিই। তিনি ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। এ ছাড়া উইলিয়ামস ১০ রান দিয়ে শাকিবের উইকেট পেয়েছেন। ১ উইকেট পেলেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বল হাতেও তেমন নজর কাড়তে পারলেন পাক বংশোদ্ভূত অলরাউন্ডার রাজা। ৩৫ রান খরচ করে তাঁর প্রাপ্তি ১ উইকেট। উইকেট না পেলেও ভাল বল করলেন রিচার্ড গাভারা এবং টেন্ডাই চাতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy