দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ছন্দে ফিরে খুশি রাহুল। ছবি: টুইটার।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সেরার পুরস্কার পেয়ে বিস্মিত লোকেশ রাহুল। ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়কের মতে, ম্যাচের সেরার পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল সূর্যকুমার যাদবের। যদিও রান পেয়ে তিনি খুশি।
রবিবারের ম্যাচে ২৭ বলে ৫৮ রান করেছেন রাহুল। অন্য দিকে সূর্যকুমার করেছেন ২২ বলে ৬১ রান। রাহুল বলেছেন, ‘‘ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়ে আমি বিস্মিত। পুরস্কারটা সূর্যর পাওয়া উচিত ছিল। খেলাটা ওই ঘুরিয়ে দিয়েছে। মিডল অর্ডারে ব্যাট করা সহজ কাজ নয়। দীনেশ কার্তিক কখনই খুব বেশি বল খেলার সুযোগ পায় না। তবু কী দারুণ খেলল। বিরাট কোহলি এবং সূর্যও অনবদ্য ব্যাটিং করেছে।’’
চোট সারিয়ে ফেরার পর তেমন ছন্দে ছিলেন না রাহুল। জিম্বাবোয়ে সফর বা এশিয়া কাপে ভাল রান পাননি। তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ছন্দ ফিরে পেয়ে খুশি রাহুল। বলেছেন, ‘‘রান পাওয়া সব সময়ই সন্তোষজনক। ওপেনার হিসাবে বোঝা জরুরি, নির্দিষ্ট দিনে কী ভাবে খেলা প্রয়োজন এবং সেই মতো নিজের সেরাটা দেওয়া দরকার। বিভিন্ন পরিবেশে পরীক্ষার সামনে পড়লে তৃপ্তি পাই।’’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৫৬ বলে ৫১ রান করেছিলেন রাহুল। দ্বিতীয় ম্যাচেই এত আগ্রাসী ব্যাটিং কী ভাবে? রাহুল বলেছেন, ‘‘ইনিংসের চাহিদা অনুযায়ী স্ট্রাইক রেট বেশি রাখার চেষ্টা করেছি। আগে ব্যাট করলে উইকেটের চরিত্র ভাল ভাবে বুঝতে গোটা দুয়েক ওভার প্রয়োজন হয়। সেই মতো ঠিক করতে হয়, কেমন শট উইকেটে উপযোগী। সেই মতো ২২ গজে সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হয়। নিজেদের একটা লক্ষ্য ঠিক করে নিতে হয়। সেই মতো ব্যাটিং করতে হয়।’’ রাহুল আরও বলেছেন, ‘‘আমরা সাধারণত আগ্রাসী ব্যাটিং পছন্দ করি। অনেক ঝুঁকি নিয়ে ব্যাট করি। সে ভাবেই খেলতে চেয়েছিলাম। রান পাওয়ায় ভাল লাগছে।’’
রবিবারের ম্যাচে কব্জির মোচড়ে স্কোয়ার লেগ এলাকায় দু’টি ছয় মেরেছেন রাহুল। তাঁর শট দু’টির প্রশংসা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এ নিয়ে রাহুল বলেছেন, ‘‘আমাদের সকলের মধ্যেই কিছু না কিছু বিশেষ ব্যাপার রয়েছে। সে জন্যই আমরা দেশের হয়ে খেলি। আমাদের মধ্যে কিছু প্রতিভা রয়েছে বলেই এতটা পথ আসতে পেরেছি। তা ছাড়া, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শট মারার জায়গা তৈরি করে নিতে হয়। ছয় মারার চেষ্টা করতে হয়। ১৪৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে বল এলে দেখার বা ভাবার খুব বেশি সময় পাওয়া যায় না। সহজাত শট মারার চেষ্টা করতে হয়। বছরের পর বছর কঠোর অনুশীলনে সেই ক্ষমতা তৈরি হয়।’’ রাহুল জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে গত ১০-১২ মাস ধরে অনুশীলন করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy