—ফাইল চিত্র
ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়াকে ভারতের ক্রিকেটে নাক গলাতে বারণ করলেন সুনীল গাওস্কর। তাদের নিজেদের ক্রিকেটে মন দিতে বলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির টি-টোয়েন্টি লিগে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিরা দল কেনে। এই লিগগুলি অস্ট্রেলিয়ার ‘বিগ ব্যাশ’ এবং ইংল্যান্ডের ‘দ্য হান্ড্রেড’-এর সঙ্গে একই সময় হবে। তাতেই আইপিএল নিয়ে অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের তরফে সমালোচনা করা হয়।
দুই দেশের এই সমালোচনা মেনে নিতে পারেননি গাওস্কর। তিনি বলেন, “নিজেদের ক্রিকেটে কী করলে ভাল হবে সেটা দেখো। আমাদের ক্রিকেটে নজর দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। ওটা আমরা বুঝে নেব। তোমরা যা বলছ তার থেকে বেশি ভাল করব।”
দক্ষিণ আফ্রিকা এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির টি-টোয়েন্টি লিগের খবর সামনে আসতেই অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের কান্না দেখে অবাক গাওস্কর। তিনি বলেন, “আইপিএল হলে বাকি দেশের ক্রিকেট সূচি ঘেঁটে যাবে, এটা অবাক করা কথা। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির টি-টোয়েন্টি লিগের খবর আসতেই ‘দুই পুরনো শক্তি’ কান্নাকাটি শুরু করেছে।” গাওস্কর আরও বলেন, “যে সময় ইংল্যান্ডের কোনও খেলা থাকে না, ঠিক সেই সময় ওদের ক্রিকেট বোর্ড দ্য হান্ড্রেড আয়োজন করে। অস্ট্রেলিয়াও নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী বিগ ব্যাশ খেলে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি টি-টোয়েন্টি লিগ শুরু করতেই চিন্তা বেড়ে গিয়েছে ওদের। কারণ অস্ট্রেলিয়ার কিছু ক্রিকেটার বিগ ব্যাশ ছেড়ে ওই লিগে খেলার কথা জানিয়েছে।”
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গাওস্করই প্রথম ব্যাটার যিনি ১০ হাজার রান করেন। তিনি পুরনো দিনের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, যে সময় ভারতকে পাত্তা দিত না অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড। গাওস্কর বলেন, “একটা সময় ছিল যখন ভারত খেললে তেমন লাভ ছিল না। সেই সময় ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়াতে খেলতে যাওয়ার মাঝে অনেক বছরের ফাঁক থাকত। ভারত প্রথম বার অস্ট্রেলিয়াতে খেলতে গিয়েছিল ১৯৪৭-৪৮ সালে। তার পরের সফর কবে ছিল মনে আছে? ১৯৬৭-৬৮ সালে। দু’টি সফরের মাঝে ২০ বছরের ব্যবধান। তার পরেরটা আরও ১০ বছর পর। ইংল্যান্ডেও একই অবস্থা। ১৯৩৬ সালের পর ১৯৪৬ সালে ইংল্যান্ডে খেলতে গিয়েছিল ভারত। কিন্তু সেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫) একটা কারণ ছিল। তার পরে ইংল্যান্ডে খেলতে গিয়েছিল ১৯৫২, ১৯৫৯ এবং ১৯৬৭ সালে। এই দুই শক্তি এখন চাইছে ভারত প্রতি বছর খেলতে যাক। কারণ ভারত খেলতে যাওয়া মানেই টাকা পাওয়া যাবে। তারা নিজেদের মধ্যে খেললেও এত টাকা পায় না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy