ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড়। — ফাইল চিত্র
অধিনায়ক হিসাবে রোহিত শর্মাই হোন বা কোচ হিসাবে রাহুল দ্রাবিড়। ভারতীয় দলকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্য এনে দিতে ব্যর্থ দু’জনেই। এই দ্রাবিড়ের কোচিংয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লজ্জার হার দেখতে হয়েছিল ভারতকে। এ বার টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালেও একই চিত্র।
ম্যাচের পর স্বাভাবিক ভাবেই দ্রাবিড়ের মুখ শুকনো। তার মধ্যেই পড়তে হল কড়া প্রশ্নের সামনে। ধারাভাষ্যকার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় পরিসংখ্যান নিয়ে হাজির ছিলেন দ্রাবিড়ের সামনে। দু’টি কড়া প্রশ্ন করলেন। দ্রাবিড় কোনও মতে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করলেন। কিন্তু যুক্তি দিয়ে উত্তর তাঁর কাছে ছিল না। সেই কথোপকথন তুলে ধরা হল:
সৌরভ: তোমাকে যত টুকু চিনি তা থেকে বুঝেছি, ক্রিকেটার হিসাবে তুমি প্রথমে চাপ নিয়ে নেওয়ার পক্ষপাতী ছিলে। পঞ্চম দিনে গিয়ে চাপ নিতে হবে এমন পরিস্থিতি তুমি আসতে দিতে না। তা হলে এই ম্যাচে সেটার ব্যতিক্রম হল কেন? স্রেফ একটা টেস্ট বলেই, নাকি আর কোনও পরিকল্পনা ছিল?
দ্রাবিড়: ম্যাচের আগে সকালে যখন এসেছিলাম তখন উইকেটে ঘাস ছিল। আকাশ মেঘলা ছিল। ইংল্যান্ডে দেখেছি পরের দিকে ব্যাট করা সহজ হয়ে যায়। চতুর্থ বা পঞ্চম দিন সহজে ব্যাট করা যায়। অনেক দলই এখন টসে জিতে ফিল্ডিং করে। ওদের স্কোর ৭০-৩ থাকার সময় মনে হয়েছিল সিদ্ধান্ত সঠিক। তার পরের দুটো সেশন সব বদলে দিল। যদি তিনশোর সামান্য বেশি রানেও ওদের আটকে রাখতে পারতাম তা হলে ম্যাচে থাকতাম এবং চতুর্থ ইনিংসে ভাল খেলা হত। এর আগে এজবাস্টনে খেলার সময় পরের দিকে ব্যাট করা সহজ হয়ে গিয়েছিল। ৪৪৪ অনেক বেশি ছিল। কিন্তু ৩০০-৩২০ রান থাকলে সেটা আমরা তাড়া করে ফেলতে পারতাম।
সৌরভ: আজ সকালেই একটা পরিসংখ্যান দেখছিলাম। গত ৪-৫ বছরে তোমাদের টপ অর্ডারের ব্যাটারদের পারফরম্যান্স একদমই ভাল নয়। মাত্র ২০, ২২, ২৬ গড়! এটা ২০-২৫ ইনিংসের পরিসংখ্যান। তুমি এক বছর ধরে দলের সঙ্গে রয়েছ। কিন্তু ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে যে রকম খেলে এসেছ, সে রকম দেখা যাচ্ছে না। তুমি বিশ্বাস করো যে স্কোরবোর্ডে বড় রান তুললে ম্যাচ জেতা সহজ হয়। তা হলে এই সমস্যাটা কী ভাবে সমাধান করবে?
দ্রাবিড়: প্রথম পাঁচে থাকা ক্রিকেটাররা বেশ অভিজ্ঞ। তিন, চার, পাঁচে খেলা ক্রিকেটাররা ভবিষ্যতে হয়তো কিংবদন্তি হয়ে যাবে। এরাই গিয়ে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডে জিতেছে। তবে ওদের যে মান, তার সঙ্গে মোটেই মানানসই নয় এটা। ওরাও সেটা স্বীকার করবে। হয়তো ওরা নিজেদের সেরাটাই দিচ্ছে। তা ছাড়া, বিদেশের উইকেট অন্য রকমের হয়। অনেক কঠিন পিচে আমাদের খেলতে হয়। এখানকার উইকেট বেশ ভাল ছিল। কিন্তু অনেক জায়গায় ছিল না। এই প্রতিযোগিতায় সব ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। কোনও ম্যাচ ড্রয়ের জন্যে খেলা চলে না। ভারতেও পিচ কঠিন হয়ে গিয়েছে। বিদেশেও তাই। এ কারণে সবার গড় নীচে নেমে গিয়েছে। শুধু আমাদের দেশের ক্রিকেটারদের নয়। রান পেলেই আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy