শাহিন আফ্রিদি। —ফাইল চিত্র।
বিরাট কোহলিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে রাখা বা না রাখা নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সঙ্গে রোহিত শর্মার সংঘাতের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। তেমনই দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে পাকিস্তানের ক্রিকেটেও। সে দেশে বিতর্কের কেন্দ্রে অধিনায়ক শাহিন আফ্রিদি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাঁকে নেতৃত্বে রাখতে চায় না। এই খবর ছড়িয়ে পড়তে সতীর্থের পাশে দাঁড়িয়ে বোর্ড কর্তাদের পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন শাদাব খান।
গত এক দিনের বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করা হয়েছিল আফ্রিদিকে। পিসিবি সূত্রে খবর, আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সেই আফ্রিদিকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে নেতৃত্ব থেকে। পিসিবির এই ভাবনাকে হঠকারী বলে মনে করছেন শাদাব। তাঁর দাবি, আফ্রিদিকে যথেষ্ট সময় দেওয়া উচিত।
আফ্রিদি টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হওয়ার পর নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম সিরিজ়েই পাকিস্তান ১-৪ ব্যবধানে হেরেছিল। প্রশ্ন উঠেছে তাঁর পারফরম্যান্স নিয়েও। অধিনায়ক আফ্রিদির উপর খুশি নন পিসিবির নতুন চেয়ারম্যানও। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আফ্রিদিকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে পিসিবি সূত্রে খবর। যা পছন্দ হয়নি পাক অলরাউন্ডারের।
পাকিস্তান সুপার লিগের মাঝে জাতীয় দলের নেতৃত্ব পরিবর্তন প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন শাদাব। তাঁর মতে, দীর্ঘ সময়ের জন্য পরিকল্পনা করা উচিত। না হলে সুফল পাওয়া কঠিন। পাক অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘‘আফ্রিদি একটা সিরিজ়ে নেতৃত্ব দিয়েছে। তার পরেই আমরা নেতৃত্ব পরিবর্তনের কথা ভাবতে শুরু করে দিয়েছি। এটা ঠিক নয়। এক জনকে দীর্ঘ মেয়াদে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত। তা হলে সে তার পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারবে। একটা পদ্ধতি অনুসরণ করা সম্ভব হবে। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব, আবার সিরিজ়ও জিততে চাইব। দুটো এক সঙ্গে চাইলে সমস্যা হতে পারে।’’
শাদাবের দাবি, এক জনকে অধিনায়ক করা হলে তাকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। কারও পক্ষে রাতারাতি সব বদলে ফেলা সম্ভব নয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে জাতীয় দলের নেতৃত্ব নিয়ে তৈরি হওয়া জল্পনাকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন না শাদাব। তিনি বলেছেন, ‘‘কাউকে দায়িত্ব দেওয়া মানেই সব বদলে যাবে, তা হয় না। নির্দিষ্ট সময় দরকার। পরিকল্পনা প্রয়োজন। সব কিছুর একটা পদ্ধতি হয়। নেতৃত্বের শুরুতে অনেকেই সাফল্য পায় না। ব্যর্থতা কী ভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক অধিনায়কের নিজস্ব ভাবনা, পদ্ধতি থাকে। একটা সিরিজ়ের ফল দেখেই পরিবর্তনের ভাবনার কারণও পরিষ্কার নয়।’’ বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে তিনি বলেছেন, ‘‘সামনে বিশ্বকাপ। এ সময় এই ধরনের আলোচনা দলে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে পারে। ক্রিকেটারদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করতে পারে। আমার মনে হয়, দীর্ঘ সময় খেলতে পারবে, এমন ক্রিকেটারদের চিহ্নিত করা হোক। বিশ্বকাপের জন্য পরিকল্পনা করা হোক। তা হলেই ভাল ফল পাওয়া সম্ভব।’’
এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর পাকিস্তানের নেতৃত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বাবর আজ়ম। তার পর টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করা হয় আফ্রিদিকে। সে সময় পিসিবির চেয়ারম্যান ছিলেন জ়াকা আশরফ। এখন দায়িত্বে রয়েছেন মহসিন নকভি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy