রস টেলর। —ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবার বাংলাদেশের নবম উইকেটটা পড়ার পরেই ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালের দর্শকরা তাঁর নাম ধরে চিৎকার করতে শুরু করলেন। চাহিদা একটাই, বল তুলে দেওয়া হোক রস টেলরের হাতে। টেলরকেও দেখা যায় একটু-আধটু হাত ঘোরাচ্ছেন। ইঙ্গিতটা পরিষ্কার। জীবনের শেষ টেস্টে বল করতে পারলে খারাপ হয় না। টম লাথাম একটু দ্বিধায় ছিলেন। কিন্তু এর পরে আম্পায়াররা ডেকে নিউজ়িল্যান্ড অধিনায়ককে বলেন, আলো কমে আসছে। আর পেসারদের দিয়ে বল করানো যাবে না। তার পরেই টেলরের হাতে বলটা তুলে দেন অধিনায়ক লাথাম।
বাকিটা ইতিহাস! টেলরের তৃতীয় বলটাই চালাতে গিয়ে লাথামের হাতেই ক্যাচ দিয়ে বসলেন বাংলাদেশ পেসার এবাদত হোসেন। উপহার দিলেন টেলরের তৃতীয় টেস্ট উইকেট। জয় এবং উইকেট নিয়ে টেস্ট জীবন শেষ করলেন টেলর। ফলো অন করতে নেমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়ে গেল ২৭৮ রানে। তিন দিনেই এক ইনিংস ও ১১৭ রানে দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সিরিজ় ১-১ করে দিল নিউজ়িল্যান্ড। বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র লড়াই করলেন লিটন দাস (১০২)। চারটি উইকেট নিলেন কাইল জেমিসন। টেলরের টেস্ট জীবন শুরু হয়েছিল সেই ২০০৭ সালে। ম্যাচের পরে আবেগপ্রবণ টেলর বলেন, ‘‘জীবনের শেষ টেস্টে জয় পেলাম, উইকেটও। এর চেয়ে ভাল আর কী হতে পারে। চেয়েছিলাম, শেষ টেস্টটা যেন জিতে মাঠ ছাড়তে পারি। সতীর্থরা আমার সেই স্বপ্ন সফল করেছে।’’
সব মিলিয়ে ১১২টি টেস্ট খেলেছেন টেলর। করেছেন ৭৬৮৩ রান। সর্বোচ্চ ২৯০। নিউজ়িল্যান্ড কিংবদন্তির ব্যাট থেকে এসেছে ১৯টি সেঞ্চুরি এবং ৩৫টি হাফসেঞ্চুরি। টেলর আরও বলেন, ‘‘টেস্ট সিরিজ় ১-১ শেষ হওয়াটাই যোগ্য ফল হয়েছে।’’ যোগ করেন, ‘‘আমি ভাবছিলাম, কাল আবার মাঠে ফিরে আসতে হবে কি না। কিন্তু ছেলেরা সেটা হতে দেয়নি।’’ সংক্ষিপ্ত স্কোর: নিউজ়িল্যান্ড ৫২১-৬ ডি.। বাংলাদেশ ১২৬ ও ২৭৮ (লিটন ১০২। জেমিসন ৪-৮২)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy