ভারতীয় ক্রিকেটের নির্বাচক প্রধানের পদ থেকে সরে যেতে হয়েছে চেতন শর্মাকে। এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কারা? —ফাইল চিত্র
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক প্রধানের দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন চেতন শর্মা। গোপন ক্যামেরায় মুখ খোলার জেরেই এই ইস্তফা। কিন্তু শুধুই কি দলের অন্দরের কথা বাইরে বলা, না কি চেতনের সরে যাওয়ার পিছনে অন্য কারণও রয়েছে? বোর্ড সূত্রে খবর, ক্যামেরাকাণ্ডের পরে তিন জনের অপছন্দের পাত্র হয়ে উঠেছিলেন চেতন। তাঁরা ভরসা করতে পারছিলেন না চেতনকে। সেই কারণেই নাকি সরে যেতে হয়েছে তাঁকে!
বিসিসিআইয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দল নিয়ে মুখ খোলার পরে চেতনের উপর আস্থা হারিয়েছিলেন কোচ ও অধিনায়ক। তিনি বলেছেন, ‘‘কোচ রাহুল দ্রাবিড়, দুই অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও হার্দিক পাণ্ড্য আস্থা হারিয়েছিল চেতনের উপর। তাই নির্বাচনের সময় তাদের সঙ্গে বসার মতো মুখ চেতনের ছিল না। সেই কারণেই সরে যেতে হল ওকে। বেফাঁস কথা বলার খেসারত দিল চেতন।’’
ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, নিজের পদের কথা খেয়াল রাখা উচিত ছিল চেতনের। তিনি বলেছেন, ‘‘বিসিসিআইয়ের নির্বাচক প্রধান হওয়ায় চেতনের আরও বেশি সতর্ক থাকা উচিত ছিল। কোনও মন্তব্যের আগে অনেক কিছু ভেবে তার পরে মুখ খোলা উচিত ছিল। কিন্তু সেটা ও করেনি। দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে চেতন যা বলেছে তার পরে দলের সঙ্গে থাকার মুখ ওর নেই। তাই সরে গিয়েছে চেতন।’’
কিছু দিন আগে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের ‘স্টিং অপারেশন’-এ নাম জড়িয়েছিল চেতনের। সেখানে দলের অন্দরের অনেক গোপন কথা ফাঁস করেছিলেন তিনি। প্রধান নির্বাচক চেতনকে স্টিং অপারেশনের ওই ভিডিয়োয় বলতে শোনা যায়, “সৌরভ এবং বিরাটের মধ্যে একটা ইগোর লড়াই ছিল। সৌরভ এক সময় ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বিরাট সেই সময় নেতা ছিলেন। কে বড়, তা নিয়ে একটা লড়াই ছিল।” সেই কারণেই কি সরতে হয়েছে চেতনকে! নিজের পোস্টারে হয়তো সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন কোহলির অনুরাগী।
এ ছাড়াও গোপন ক্যামেরায় চেতন দাবি করেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে পুরো সুস্থ না থাকার পরেও খেলতে নেমেছিলেন যশপ্রীত বুমরা। ব্যথা কমানোর ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন বুমরা। তাতে চোট আরও বেড়ে গিয়েছে। সেই কারণে এখন ভুগছেন তিনি। সেই ভিডিয়োর সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। গোপন ক্যামেরায় মুখ খোলার পর থেকে বিতর্কের কেন্দ্রে চেতন। ক্রিকেট বোর্ড এবং ক্রিকেটারদের নিয়ে এমন মন্তব্য বোর্ড যে ভাল ভাবে নেয়নি, তা নিশ্চিত। বোর্ডের এক সূত্র সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “এর পর আর কোনও ক্রিকেটার বা নির্বাচকের সঙ্গে হৃদ্যতা থাকবে না সাংবাদিকদের। বিশ্বাসের জায়গাটাই চলে গিয়েছে।”
চেতন সরে যাওয়ার পরে কে পাকাপাকি ভাবে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পাবেন সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি বিসিসিআই। তবে আপাতত পূর্বাঞ্চলের নির্বাচক শিবসুন্দর দাসকে অন্তর্বর্তী প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে বলে বোর্ড সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy