রবিচন্দ্রন অশ্বিন। — ফাইল চিত্র।
শুক্রবার সারা দিন জুড়েই আলোচনায় ছিলেন তিনি। ৫০০ উইকেট নেওয়া এবং তার আগে পাঁচটি পেনাল্টি রান দেওয়া নিয়ে চর্চা হচ্ছিল তাঁকে নিয়ে। সেই রবিচন্দ্রন অশ্বিন আচমকাই তৃতীয় টেস্ট থেকে নাম তুলে নিলেন। পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি তৃতীয় টেস্টে আর খেলবেন না বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার রাতের দিকে বোর্ডের তরফে একটি বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে। চোটে জর্জরিত ভারতীয় দলে আবার একটি ধাক্কা এই খবর। কী কারণে অশ্বিনকে আচমকা সরে যেতে হল তা স্পষ্ট নয়।
বোর্ডের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অশ্বিন তৃতীয় টেস্ট থেকে নাম তুলে নিয়েছেন। পারিবারিক চিকিৎসাজনিত কারণে তাঁকে আর তৃতীয় টেস্টে পাওয়া যাবে না। বোর্ড যে অশ্বিনের পাশে রয়েছে সে কথাও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বোর্ডের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, “অশ্বিনের মতো চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার এবং তাঁর পরিবারের পাশে রয়েছে বোর্ড। দলের ক্রিকেটার এবং তাঁদের পরিবারের স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তাকে বরাবরই অগ্রাধিকার দিয়েছে বোর্ড। এই কঠিন সময়ে যাতে অশ্বিন দ্রুত পেরতে পারেন সেই শুভকামনা করছে বোর্ড। ভবিষ্যতে যে কোনও দরকারে বোর্ডকে পাশে পাবে অশ্বিন। পাশাপাশি, বোর্ডের সঙ্গেও এই ক্রিকেটারের নিয়মিত যোগাযোগ থাকবে।”
সিরিজ়ের মাঝপথ থেকে অশ্বিন নাম তুলে নেওয়ায় ভারতকে এক জন বোলার কম নিয়েই খেলতে হবে। অশ্বিনের পরিবর্তে মাঠে ফিল্ডার নামানো গেলেও কেউ তাঁর জায়গায় বল করতে পারবেন না। ফলে রবীন্দ্র জাডেজা এবং কুলদীপ যাদব, এই দুই স্পিনারই থাকছেন ভারতের হাতে। রাজকোটের স্পিন সহায়ক পিচে অশ্বিনের বোলিং কার্যকর হতে পারত। তা আপাতত হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, ভারতীয়দের মধ্যে টেস্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট রয়েছে কুম্বলের (৬১৯)। অশ্বিন শুক্রবার ‘পাঁচশোর পাহাড়ে’ উঠে পড়েছেন। বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে কুম্বলের প্রসঙ্গ আসতেই তিনি বলেছিলেন, “সহজ উত্তর হল, না। ১২০টা উইকেট দূরে আমি। এক-একটা দিন ধরে বাঁচি। এখনই ৩৭ বছর বয়স। জানি না ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করে রয়েছে। দু’মাস পরে কী হবে কে বলতে পারে? এই সিরিজ়ে খেলার পর ভাবব কী করব। আগে থেকে কিছুই জানি না।”
টেস্টে ৫০০ উইকেট নিয়ে অশ্বিনের মুখে নিজের ক্রিকেটযাত্রার কথা। এই অফস্পিনার বলেছিলেন, “লম্বা সফর কাটিয়েছি। জানি না কোথা থেকে শুরু করব। দুর্ঘটনাচক্রে স্পিনার হয়েছি। বরাবর ব্যাটার হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু জীবন অন্য একটা সুযোগ দিয়েছিল। সিএসকে-র সাজঘরে ঢোকার পর এক দিন শুনলাম মুথাইয়া মুরলীধরন নতুন বলে বল করতে চাইছে না। শেষ পর্যন্ত নতুন বলে আমিই বল করলাম।”
সেই শুরু। এর পর থেকে ধরে রাখা যায়নি তাঁকে। অশ্বিন বলেছিলেন, “প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে শুরুটা খারাপ হয়নি। তবে আইপিএলই আমাকে তুলে এনেছে। আমাকে অনেকে চিনেছে। টেস্ট অভিষেকও সেই কারণেই। অনেকেই ভাবতে আমি আদৌ টেস্টে সফল হব কি না। ১০-১৩ বছর পর নিজের দিকে তাকালে বলব, খারাপ কৃতিত্ব নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy