কোহলী-সৌরভ বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন রবি শাস্ত্রী ছবি সংগৃহীত।
বিরাট কোহলী-সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিতর্ক নিয়ে এ বার মুখ খুললেন রবি শাস্ত্রী। ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদ্য প্রাক্তন কোচের মতে, কোহলী নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন। এ বার সৌরভের উচিত তাঁর বক্তব্য জানানো।
একটি ইংরাজি দৈনিকে শাস্ত্রী বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টা অনেক ভাল ভাবে সামলানো যেত। তার জন্য দরকার ছিল, সঠিক ভাবে পরস্পরের সঙ্গে কথা বলা। বিরাট ওর নিজের বক্তব্য জানিয়েছে। এ বার বোর্ড সভাপতির উচিত নিজের বক্তব্য জানানো। কে সত্যি বলছে, কে সত্যি বলছে না, সেটা বিষয় নয়। দু’ জনের মধ্যে ঠিক কী কথা হয়েছিল, সেটা না জানা পর্যন্ত এটা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসা ঠিক নয়।’’
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব থেকে নিজেই সরে গিয়েছেন কোহলী। তা নিয়ে সৌরভের বক্তব্য ছিল, সেই সময় কোহলীকে বলা হয়েছিল টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব না ছাড়তে। এর জবাবে কোহলী বলেছিলেন, তাঁকে এক বারের জন্যও বারন করা হয়নি। তাঁর কথা তখনই মেনে নেওয়া হয়েছিল।
এক দিনের ক্রিকেটে কোহলীকে অধিনায়কের পদ থেকে সরানো নিয়ে সৌরভ বলেছিলেন, তিনি নিজে কোহলীর সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেছিলেন। কোহলীকে বলেছিলেন, সাদা বলের ক্রিকেটে দু’ জন আলাদা অধিনায়ক রাখা সম্ভব নয়। কোহলী পাল্টা বলেন, তাঁকে দল নির্বাচনের দেড় ঘণ্টা আগে পাঁচ নির্বাচক জানান, তিনি একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক থাকছেন না।
ভারতীয় বোর্ড যে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে একজন অধিনায়ক রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাকে সমর্থন করেছেন শাস্ত্রী। তাঁর মতে, যেহেতু টি-টোয়েন্টিতে রোহিত শর্মা আগেই অধিনায়ক হয়ে গিয়েছেন, তাই এক দিনের ক্রিকেটেও তাঁকেই অধিনায়ক করা উচিত। শাস্ত্রীর কাছে প্রথমে জানতে চাওয়া হয়, এক দিনের ক্রিকেটে কার অধিনায়ক হওয়া উচিত? শাস্ত্রী বলেন, ‘‘সাদা বলের ক্রিকেটে একজনেরই অধিনায়ক থাকা উচিত। যদি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রোহিত শর্মা অধিনায়ক হয়ে থাকে, তা হলে এক দিনের ক্রিকেটেও ওরই অধিনায়ক হওয়া উচিত।’’ এরপর শাস্ত্রীকে জিজ্ঞেস করা হয়, সাদা বলের ক্রিকেটে কার অধিনায়ক হওয়া উচিত? শাস্ত্রী বলেন, ‘‘রোহিত এখন টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক। তাই ওরই সাদা বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক হওয়া উচিত। যে-ই অধিনায়ক হোক না কেন, সাদা বলের ক্রিকেটে একজন অধিনায়কই থাকা উচিত।’’
তিনি নিজে কখনও বোর্ডের প্রশাসনিক ক্ষমতায় আসবেন না জানিয়ে শাস্ত্রী বলেন, ‘‘আমি বরাবর মনে করে এসেছি, যারা প্রশাসক তাদেরই প্রশাসনে আসা উচিত। খেলোয়াড়দের খেলার মধ্যে থাকা উচিত। কার কোনটা ক্ষমতা সেটা বোঝা উচিত। আমি ক্রিকেটকে অন্য ভাবে দেখি। সেটা ক্রিকেটীয় দিক দিয়ে। তাই খেলার মধ্যে দিয়েই ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই। প্রশাসনে আসতে চাই না।’’
দীর্ঘ দিন ধরে ভারতীয় ক্রিকেটের প্রশাসনে থেকেছেন রাজনীতিবিদরা। এতে অন্যায় কিছু দেখছেন না শাস্ত্রী। বরং তাঁর মতে, এতে ক্রিকেটের ভাল হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘গত ৪০ বছর ধরে ভারতীয় বোর্ড অন্যতম সেরা। যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে বোর্ড। রাজনীতিবিদরাই বোর্ড চালিয়েছেন। তাঁরা নিজেদের প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছেন। বোর্ড চালানো মানে তো শুধু চারটে ফোন করা নয়। নানা দিক থেকে সাপোর্ট দরকার হয়। রাজনীতিবিদরা সেটা করতে পারেন। তাঁদের সেই ক্ষমতা আছে।’’ শেষরাও ওয়াংখেড়ে, এনকেপি সালভে, শরদ পাওয়ার, অরুণ জেটলি, অনুরাগ ঠাকুর, জয় শাহদের প্রশংসা করেন তিনি।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি যখন শুনেছিলেন শাস্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন যে, কুলদীপ যাদব ভারতের এক নম্বর স্পিনার হতে চলেছেন, তখন তাঁর মনে হচ্ছিল, কেউ তাঁকে বাসের তলায় চাপা দিয়ে দিচ্ছে। এই নিয়ে শাস্ত্রী বলেন, ‘‘আমি কোনও প্লেয়ারকে তোয়াজ করতে পারব না। সেই টেস্টে কুলদীপ দুর্দান্ত বল করেছিল। ওর মতো একজন তরুণ ক্রিকেটার যদি ভাল খেলে, সেটা বলব না? আর অশ্বিনের মন্তব্য নিয়ে বলতে পারি, আমার কথায় যদি দুঃখ পেয়ে থাকে তা হলে খুব ভাল হয়েছে। কারণ আমি এমন একজন কোচ, যে সব সময় চায় ক্রিকেটাররা রেগে গিয়ে বলুক, এই কোচের মুখের উপর জবাব দেব। অশ্বিন সেটাই করেছে। ২০১৯ সালের অশ্বিন আর ২০২১ সালের অশ্বিনের মধ্যে তো আকাশ-পাতাল তফাৎ। ও নিজেই দেখুক কতটা উন্নতি করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy