চারটি ফাইনাল খেলেও কাপ আর ঠোঁটের দূরত্ব এখনও রয়ে গেল মনোজের। ফাইল ছবি
বরাবর বলে এসেছেন, রঞ্জি ট্রফি জেতা তাঁর স্বপ্ন। ক্রিকেটজীবনে অন্তত একটি বার হাতে তুলতে চান ট্রফি। কিন্তু চারটি ফাইনাল খেলেও কাপ আর ঠোঁটের দূরত্ব এখনও রয়ে গেল তাঁর। এ বার অধিনায়ক হিসাবে ট্রফি তোলার সামনে ছিলেন তিনি। সেই সুযোগও হারালেন। আর কি ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখা যাবে মনোজ তিওয়ারিকে?
চলতি মরসুম শুরুর আগে মনোজ জানিয়েছিলেন, এটাই শেষ। আর নয়। রবিবার ফাইনালে সৌরাষ্ট্রের কাছে ৯ উইকেটে হারের পর তিনিই বললেন, “সবে খেলা শেষ হয়েছে। আমার রঞ্জি ট্রফি জয়ের স্বপ্ন এখনও মিটে যায়নি। এখনও রঞ্জি জেতার স্বপ্ন দেখছি। নির্বাচক এবং সিএবি কর্তারাও চান আমি খেলা চালিয়ে যাই। সব কিছু কতটা সামলাতে পারব সেটা জানি না। আশা করি কয়েক দিনের মধ্যেই আপনারা আমার সিদ্ধান্ত জানতে পারবেন।”
মনোজ শুধু বাংলার হয়ে খেলেনই না, তিনি একজন বিধায়কও বটে। শিবপুর বিধানসভার থেকে জয়ী প্রার্থী রাজ্যের ক্রীড়া দফতরের প্রতিমন্ত্রী। সেই কাজ থাকে। পাশাপাশি থাকে বিধানসভার কাজও। সে সব সামলে কী ভাবে তিনি সব সামলাবেন সেটা এখনও ঠিক করতে পারেননি। তবে মনোজের কথায় ইঙ্গিত। তিনি খেলা চালিয়ে যেতে পারেন।
২০০৫-০৬ এবং ২০০৬-০৭ মরসুমে পর পর দু’বার ফাইনাল খেলেছিল বাংলা। এক বার উত্তরপ্রদেশ, আর এক বার মুম্বইয়ের কাছে হারে। গত তিন বছরে দু’বারই ফাইনালে উঠে হারল সৌরাষ্ট্রের কাছে। এই চারটি ফাইনালেই খেলেছেন মনোজ।
রবিবার সকালে শুরুটা ভালই করেছিল বাংলা। কিন্তু মনোজের সঙ্গে শাহবাজ আহমেদের ভুল বোঝাবুঝিতে আউট এবং খারাপ বলে খোঁচা দিয়ে তাঁর আউট হওয়াই ব্যর্থতার কারণ বলে স্বীকার করলেন মনোজ। তাঁর কথায়, “আজকে রান আউটটা আমার ভুলের জন্যেই হয়েছে। কল করতে দেরি হয়েছে। কারণ দেখতে পাইনি বল কতটা দূরে গিয়েছে। একটা জুটি গড়লে হয়তো লড়াই দিতে পারতাম। হয়তো দ্রাবিড়-লক্ষ্মণের মতো সেই জুটি গড়া হত না। কিন্তু দেড়শো-দুশো রান তুলে দিলে ওদের চাপে ফেলে দিতে পারতাম।”
বাংলা দলে বেশ কিছু ক্রিকেটারের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষত দলের কয়েকজন ক্রিকেটার আদৌ এ রকম ম্যাচে খেলার জন্যে যোগ্য কিনা, সেই প্রশ্ন উঠেই গিয়েছে। মনোজ অবশ্য সতীর্থদের পাশেই দাঁড়ালেন। তাঁর যুক্তি, “আন্তর্জাতিক টেস্টও যদি দেখেন, অনেক বড় বড় ব্যাটার আউট হয়ে যায় খারাপ বলে। আমাদের দলেও সে রকমই হয়েছে। ওদের উপর আস্থা ছিল বলেই দলে নিয়েছি। কোনও ভাবে সেটা কাজে লাগেনি। ফাইনালে আমরা তিনটি বিভাগেই আমরা খেলতে পারিনি।
টসে হার নিয়ে এখনও আক্ষেপ রয়েছে মনোজের। তিনি বলেন, “টসে হার একটা ফ্যাক্টর হয়ে গেল। প্রথম দিন পিচে যতটা আর্দ্রতা ছিল, দ্বিতীয় দিন ছিল না। একটুও যদি পেতাম তা হলে আমাদের বোলাররা সাহায্য পেতাম। আমরা প্রথমে বল করলে ১০০ শতাংশ গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, ওদের ১০০-১২০ রানের মধ্যে আউট করে দিতাম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy