কটকের বারাবাটি স্টেডিয়ামে বাংলার একজন ব্যাটারও ন্যূনতম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। দ্বিতীয় দিন মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাংলার ব্যাটিং। বরোদার ডানহাতি এবং বাঁহাতি দুই জোরে বোলারকে সামলাতেই পারেননি বাংলার ব্যাটাররা।
শুরু থেকেই বাংলার ব্যাটিং নিয়ে চিন্তায় পড়লেন মনোজ তিওয়ারি, অরুণলাল। ফাইল চিত্র
রঞ্জি ট্রফি শুরু হতে না হতেই চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে বাংলা। বরোদার বিরুদ্ধে বাংলার প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় ৮৮ রানে।
কটকের বারাবাটি স্টেডিয়ামে বাংলার একজন ব্যাটারও ন্যূনতম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। বরোদার ১৮১ রানের জবাবে প্রথম দিনের শেষে বাংলার রান ছিল ১ উইকেটে ২৪। অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ ফিরে গিয়েছিলেন চার রান করে। দ্বিতীয় দিন মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাংলার ব্যাটিং। বরোদার ডানহাতি এবং বাঁহাতি দুই জোরে বোলারকে সামলাতেই পারেননি বাংলার ব্যাটাররা।
দিনের তৃতীয় ওভারে আউট হন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। বাঁহাতি লুকমান মেরিওয়ালার বলে ফেরেন তিনি। ১১ রান করেন সুদীপ। পরের ওভারে ডানহাতি অতিত শেঠ ফিরেয়ে দেন অনুষ্টুপ মজুমদার ও মনোজ তিওয়ারিকে। দু’জনের কেউই কোনও রান করতে পারেননি। অনুষ্টুপ সাত বল এবং মনোজ মাত্র দু’বল উইকেটে ছিলেন।
চার ওভারের মধ্যে ফিরে যান প্রথম দিনের অপরাজিত ওপেনার সুদীপ ঘরামি। তাঁর উইকেটটিও অতিতের। ঘরামি ২১ রান করেন। এই ম্যাচে অভিষেক হওয়া অভিষেক পোড়েল শুরুটা ভাল করেছিলেন। তিনটি চার মারেন বাংলার এই নতুন উইকেটরক্ষক। কিন্তু ১৯ বলে ২১ রান করার পর অতিতের বলে বোল্ড হন তিনি।
এর পর ক্রুণাল পাণ্ড্যর থ্রোয়ে রান আউট হন ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় (৯)। সেই ওভারেই পরের বলে ফিরে যান আকাশ দীপ (০)। মুকেশ কুমারও কোনও রান করতে পারেননি। শাহবাজ আহমেদ (২০) একটা দিক ধরে রেখেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনিও আউট হয়ে যান।
বরোদার বোলারদের মধ্যে অতিত পাঁচটি, মেরিওয়ালা তিনটি এবং অভিমন্যুসিংহ রাজপুত একটি উইকেট নেন।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বরোদা দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ৪৫ রান তুলেছে। ঈশান পোড়েলের বলে বোল্ড হয়েছেন জ্যোৎস্নিল সিংহ (১২)। উইকেটে রয়েছেন কেদার দেবধর ও প্রত্যুষ কুমার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy