রঞ্জির ফাইনালে উঠেও উচ্ছ্বাসহীন লক্ষ্মীরতন শুক্ল। —ফাইল চিত্র
রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে উঠেও লক্ষ্মীরতন শুক্লর গলায় কোনও উচ্ছ্বাস নেই। সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশকে ৩০৬ রানে হারিয়ে বাংলার কোচ আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন যে, এই জয় অন্য যে কোনও ম্যাচের মতোই আরও একটি ম্যাচ ছিল। তাঁরা উচ্ছ্বাসে মেতে উঠতে রাজি নন।
১৯৮৯-৯০ সালে রঞ্জি জিতেছিল বাংলা। সে বার ইডেনেই ছিল ফাইনাল ম্যাচ। ঘরের মাঠে খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন লক্ষ্মীরা। কিন্তু উচ্ছ্বাস নেই কোনও। বাংলার কোচ বললেন, “আমরা আনন্দে মেতে ওঠার মতো কিছু করিনি। এটা আরও একটা ম্যাচ জয়। আমি আগেও বলেছি আবার বলছি, এখনও রঞ্জি শেষ হয়নি। আমাদের লক্ষ্য ট্রফি জয়। সেটা এখনও বাকি আছে। ঘরের মাঠে ইডেনে খেলা হবে। আমাদের লক্ষ্য এখন সেটাই।”
সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশকে দাপটের সঙ্গে হারালেন মনোজ তিওয়ারিরা। প্রথম ইনিংসে ৪৩৮ রান তোলে বাংলা। জবাবে ১৭০ রানে শেষ হয়ে যায় মধ্যপ্রদেশ। আকাশ দীপ প্রথম ইনিংসে নেন ৫ উইকেট। তাঁর দাপটেই শেষ হয়ে যায় চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের দল। ২৬৮ রানে লিড নিয়েও আবার ব্যাট করে বাংলা। মধ্যপ্রদেশের সামনে ৫৪৮ রানের লক্ষ্য রাখে তারা। সেই রানের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে মধ্যপ্রদেশ। ২৪১ রানে শেষ হয়ে যায় তারা। এ বারের রঞ্জিতে গ্রুপ পর্বে ঘরের মাঠে ওড়িশার বিরুদ্ধে হার ছাড়া সব ম্যাচেই অপ্রতিরোধ্য ছিল বাংলা। গোটা মরসুমে ধারাবাহিকতা দেখালেও রঞ্জি ফাইনালের আগে কোনও বাড়তি উচ্ছ্বাস দলের সাজঘরে ঢুকতে দিতে চাইছেন না লক্ষ্মী।
রবিবার রাতেই ফিরে আসবে বাংলা দল। সোমবার বিশ্রাম নেবে তারা। লক্ষ্মী বললেন, “ছেলেদের একটু বিশ্রাম দরকার। মানসিক এবং শারীরিক ভাবে বিশ্রাম চাই। রাতেই ফিরছি আমরা। সোমবার বিশ্রাম নেব। মঙ্গলবার থেকে অনুশীলনে নেমে পড়ব। হাতে সময় বেশি নেই। বৃহস্পতিবার থেকে ফাইনাল খেলতে নামবে দল।”
১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে রঞ্জি ফাইনাল খেলবে বাংলা। প্রতিপক্ষ সৌরাষ্ট্র। ঘরের মাঠে সেই ম্যাচ জয় করাই এখন লক্ষ্য বাংলার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy