সৌজন্য: টানা তিন ম্যাচে হার। হোয়াইটওয়াশের লজ্জা ভারতের। ম্যাচের পরে করমর্দন বিরাটদের। ছবি রয়টার্স।
সেই লজ্জার হোয়াইটওয়াশের মুখেই পড়তে হল ভারতকে। শেষ ম্যাচেও হারতে হল কে এল রাহুলদের। কেপ টাউনে হেরে ওয়ান ডে সিরিজ় খোয়াতে হল ০-৩।
একটা সময় ভারতের স্কোর ছিল ছ’উইকেটে ২১০। সেখান থেকে পাল্টা লড়াই শুরু করে দীপক চাহার (৩৪ বলে ৫৪)। কিন্তু দলকে জয়ের খুব কাছে এনেও বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হয় চাহার। শেষ ওভারে ছ’রান প্রয়োজন, হাতে এক উইকেট। এমন অবস্থায় দু’ নম্বর বলে চোখ বন্ধ করে ব্যাট চালিয়ে ফিরে এল যুজ়বেন্দ্র চহাল। দক্ষিণ আফ্রিকার ২৮৭ রানের জবাবে ভারত থামল ২৮৩ রানে।
ভারতীয় দলটাকে দেখে কী রকম ছন্নছাড়া লাগছে। মনে হচ্ছে, বিরাট কোহলির ওই ভাবে নেতৃত্ব ছাড়ার প্রভাব ড্রেসিংরুমে পড়েছে। কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে দ্রুত এই পরিস্থিতি ভাল করতে হবে। দলটার মধ্যে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে। দেখে মনে হচ্ছে, নিজেদের প্রতি আস্থাটা হারিয়ে ফেলেছে ক্রিকেটারেরা। কঠিন পরিস্থিতি থেকে যে জেতা যায়, সেটা ভুলে যাচ্ছে।
এ তো গেল একটা দিক। ব্যাটিং নিয়ে ক্রমে সমস্যা বাড়ছে। ওপেনিং জুটি কী হবে এ বার? শিখর ধওয়ন ভাল খেলল এই সিরিজ়ে। রোহিত শর্মা ফিরে এলে রাহুল কোথায় যাবে? নেতৃত্বের দায়িত্ব পাওয়ার পরে ভীষণ গুটিয়ে গিয়েছে রাহুল। ওকে কি মাঝের দিকে নিয়ে এসে ওপেনে রোহিতের সঙ্গে ধওয়নকে খেলানো যায়? আর বিকল্প হিসেবে তৈরি করা যেতে পারে ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে? সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বলটা নতুন থাকা অবস্থায় প্রথম দিকে দ্রুত রান তুলতেই হবে। যা ভারত পারছে না। কুইন্টন ডি’কক (১৩০ বলে ১২৪) যেটা করছে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে।
এর পরে আসছি চার-পাঁচ-ছ’নম্বরের কথায়। চারে ভারতের পছন্দ এখন ঋষভ পন্থ। আধুনিক ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় প্রহেলিকার নাম বোধ হয় ঋষভ। ও যেমন হারা ম্যাচ জেতাতে পারে, সে রকম জেতা ম্যাচও হারাতে পারে। এ দিনেরটা বড় উদাহরণ। ধওয়ন-বিরাট জুটি ভাল মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছে। উল্টো দিকে বিরাট রয়েছে। আস্কিং রেটও ছয়ের আশেপাশে। আর ঋষভ কী করল? পেসার আন্দিলে ফেলুকওয়েও-এর বিরুদ্ধে চোখ বন্ধ করে এগিয়ে এসে ব্যাট চালাল। কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের কিন্তু কড়া হওয়ার সময় এসেছে। ঋষভকে বুঝতে হবে সাহসী হওয়া আর ঝুঁকি নেওয়ার মধ্যে তফাত কোথায়। এ দিন ও থেকে গেলে ভারতের হোয়াইটওয়াশের লজ্জা নিয়ে ফিরতে হয় না।
পাঁচে শ্রেয়স আয়ার তিনটে ম্যাচেই ব্যর্থ। ওকে শর্ট বলের বিরুদ্ধে অস্বস্তিতে দেখাচ্ছে। এ দিনও শর্ট বলের বিরুদ্ধে পুল গোছের একটা শট খেলে আউট হল। মুম্বইয়ের আর এক ব্যাটার, সূর্যকুমার যাদব ছ’নম্বরে নেমে খারাপ খেলছিল না। কিন্তু বলের গতি বুঝতে না পেরে ফ্লিক করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে বসল। তা হলে কি পাঁচে রাহুলকে খেলিয়ে দেখা যেতে পারে?
দক্ষিণ আফ্রিকার ২৮৭ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল বিরাট কোহলি (৬৫) এবং ধওয়ন (৬১)। দু’জনে মিলে ৯৮ রান যোগ করার পরে ধওয়ন ফিরে গেলেও বিরাটকে বেশ জমাট দেখাচ্ছিল। কিন্তু বাঁ-হাতি স্পিনার কেশব মহারাজের বাড়তি বাউন্সে চমকে গিয়ে আউট হল। ফর্মে থাকলে এ সব বলে আউট হয় না বিরাট। এ দিন নতুন বলে চাহার খারাপ করেনি। বিশ্বকাপের আগে ওকে ম্যাচ খেলে তৈরি করতে হবে।
তার চেয়েও বড় ব্যাপার হল, দ্রাবিড়কে কিন্তু দ্রুত সব প্রশ্নের জবাব পেতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy