কাশবি গৌতম। —ফাইল চিত্র।
অনুশীলন শেষ করে ২০ বছরের কাশবি গৌতম ব্যাগ থেকে মোবাইলটি বার করেন। চমকে যান ১০০টি মিসড্ কল দেখে। আন্দাজ করেছিলেন মেয়েদের আইপিএলে নিশ্চয়ই সুযোগ পেয়েছেন। বাবাকে ফোন করে জানতে পারেন তাঁকে ২ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছে গুজরাত জায়ান্টস।
ভারতের হয়ে এখনও খেলেননি। এমন এক জন ক্রিকেটারের দাম তাঁর বেস প্রাইসের (সর্বনিম্ন মূল্য) থেকে ২০ গুণ বেশিতে পৌঁছে গেল। মেয়েদের আইপিএলের (উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ) নিলামে শনিবার এমন ঘটনার সাক্ষী থাকল ক্রিকেটবিশ্ব। পঞ্জাবের কাশবির দাম উঠল ২ কোটি। কিনল গুজরাত জায়ান্টস। আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেলা ক্রিকেটারদের মধ্যে মেয়েদের আইপিএলের সব থেকে দামি ক্রিকেটার তিনিই।
নিলামের মঞ্চে লড়াই হল গুজরাত এবং ইউপি ওয়ারিয়র্সের মধ্যে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরও কাশবিকে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ৬৫ লক্ষ দাম ওঠার পর আর লড়াই করেনি আরসিবি। গুজরাত এবং ইউপি যদিও দলের পেস শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য কাশবিকে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যায়।
কাশবি ডানহাতি পেসার। ২০২০ সালে রেকর্ড বুকে নাম তুলেছিলেন তিনি। চণ্ডীগড়ের হয়ে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ প্রতিযোগিতায় খেলতে নেমে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। অরুণাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে হ্যাটট্রিকও করেছিলেন কাশবি। তিনি মেয়েদের টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জেও খেলেছিলেন। কাশবি পিচে বল হিট করাতে পারেন। তাঁর বলে গতি আছে। কিন্তু গত বারের উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে অবিক্রিত থেকে যাওয়া কাশবি ভাবতে পারেননি এ বারে দাম ২ কোটি টাকা উঠবে।
গত বারের নিলামে হরমনপ্রীত কৌরকে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ভারতের বর্তমান অধিনায়কের থেকেও বেশি দাম পেলেন কাশবি। চণ্ডীগড়ের অধিনায়ক তিনি। কাশবি বলেন, “আমি অনুশীলন করছিলাম। শেষ করে ব্যাগ খুলে মোবাইল করে দেখি ১০০টা মিসড্ কল। কত মেসেজ ছিল তা আর গুনে দেখিনি। বুঝতে পেরেছিলাম যে আমি দল পেয়েছি। তবে বাবাকে ফোন করার পরেই জানতে পারি যে কত টাকায় কেনা হয়েছে।”
তবে ২ কোটি টাকা নয়, কাশবি খুশি অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার তাহিলা ম্যাকগ্রার সঙ্গে সাজঘর ভাগ করে নিতে পারবেন জেনে। কাশবি বলেন, “ম্যাকগ্রার সঙ্গে খেলতে পারব। এটা ভেবেই উত্তেজিত লাগছে। ও আমার দেখা এই সময়ের সেরা অলরাউন্ডার। আমি ওর থেকে শিখতে চাই।”
কাশবির কোচ নাগেশ জানিয়েছেন এক সময় বলের গতি বৃদ্ধি করতে গিয়ে সুইং হারিয়ে ফেলেছিলেন। কোচ বলেন, “এখনকার ক্রিকেটারেরা সমাজমাধ্যমের ভিডিয়ো দেখে প্রভাবিত হয়ে যায়। কাশবি দেখেছিল এক জনকে স্পিডমিটার রেখে বল করতে। কাশবিও গতি বৃদ্ধি করার দিকে মন দেয়। কিন্তু তাতে ও নিজের সেরা অস্ত্রটাই হারিয়ে ফেলে। ও দু’দিকেই বল সুইং করাতে পারত। কিন্তু এক মরসুমের পরেই বুঝতে পারে যে ভুল করছে। তখন আবার সুইং করানোর দিকে মন দেয়। কাশবি ব্যাটও করতে পারে। চণ্ডীগড়ের হয়ে পাঁচ বা ছ’নম্বরে ব্যাট করে ও। অলরাউন্ডার হিসাবে নিজেকে তৈরি করে ফেলেছে কাশবি।”
তবে কাশবি এখনও পুরোপুরি তৈরি নয় বলেই মনে করছেন কোচ। তাঁর মতে, “আরও দু’বছর লাগবে কাশবির নিজের সেরা জায়গায় পৌঁছতে। ওর প্রতিভা রয়েছে। ১৩ বছর বয়সে রাজ্য দলে সুযোগ পেয়েছিল। খুব ভাল ইনসুইং করতে পারে ও। সেই কারণে বেশির ভাগ উইকেট বোল্ড বা এলবিডব্লিউ করে কাশবি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy