নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচ খেলতে নেমে আহত হলেন পাকিস্তানের ওপেনার ইমাম উল হক। ফিল্ডারের ছোড়া বল ইমামের হেলমেটে এসে লাগে। মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন পাক ব্যাটার। অস্বস্তি অনুভব করায় অ্যাম্বুল্যান্সের করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
ঘটনাটি পাকিস্তানের ইনিংসের তৃতীয় ওভারের। জ্যাকব ডাফির বলে ছোট্র টোকা দিয়ে এক রান নেওয়ার জন্য দৌড়ান ইমাম। তাঁর ডাকে সাড়া দেন পাকিস্তানের অন্য ওপেনার আবদুল্লা শফিকও। নিউ জ়িল্যান্ডের এক ফিল্ডার দ্রুত বল তুলে নেন। পিচের নন স্ট্রাইকিং প্রান্তের উইকেট ভাঙার জন্য বল ছোড়েন। তিনি চেয়েছিলেন ইমামকে রান আউট করতে। ইমাম অবশ্য ২২ গজের অপর প্রান্তে পৌঁছএ গিয়েছিলেন। ওই ফ্লিল্ডারের বল সরাসরি এলে লাগে ইমামের হেলমেটে। বলের গতি এতটাই ছিল যে, সেটি হেলমেটের সামনের গ্রিল দিয়ে ভিতরে ঢুকে যায়। আঘাত পেয়ে ইমামের হাত থেকে ব্যাট পড়ে যায়। দৌড়াতে দৌড়াতেই হেলমেট খুলে ফেলার চেষ্টা করেন ইমাম। হেলমেট খুলে মাথায় হাত দিয়ে মাটিতে বসে পড়েন তিনি। সে সময় ইমামের মুখে যন্ত্রণার ছাপ ছিল স্পষ্ট। অস্বস্তি অনুভব করায় স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় ইমামকে। তার পর অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে পাঠানো হয় পাকিস্তানের ওপেনারকে। কনকাশন সাব হিসাবে ব্যাট করতে নামেন উসমান খান। তাঁর চোট কতটা গুরুতর সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি পাকিস্তান দলের পক্ষ থেকে। ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচেও অবশ্য হারতে হল মহম্মদ রিজ়ওয়ানের দলকে। বৃষ্টির জন্য ম্যাচের ওভার সংখ্যা কমিয়ে করা হয় ৪২। প্রথমে ব্যাট করে নিউ জ়িল্যান্ড করে ৮ উইকেটে ২৬৪। অধিনায়ক মাইকেল ব্রেসওয়েল ৫৯ এবং ওপেনার রাইস মারিউ ৫৮ রান করেন। এ ছাড়া ৪৩ রান করেন ড্যারিল মিচেল। ৬২ রানে ৪ উইকেট নেন আকিফ জাভেদ। ৫৪ রানে ২ উইকেট নাসিম শাহের।
আরও পড়ুন:
জবাবে ৪০ ওভারে ২২১ রানে শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। বাবর আজ়ম করেন ৫০। রিজ়ওয়ানের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৭ রানের ইনিংস। এ ছাড়া শফিক এবং তায়াব তাহির ৩৩ রান করে করেছেন। নিউ জ়িল্যান্ডের বেন সিয়ার্স ৩৪ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন। ৪০ রানে ২ উইকেট ডাফির। তৃতীয় ম্যাচে হারের ফলে নিউ জ়িল্যান্ডের কাছে ০-৩ ব্যবধানে এক দিনের সিরিজ় হারল পাকিস্তান।