যশপ্রীত বুমরা। —ফাইল চিত্র।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে থেকে মাঠের বাইরে যশপ্রীত বুমরা। মার্চ মাসে নিউ জ়িল্যান্ডে গিয়ে পিঠের অস্ত্রোপচার করানোর পর এখনও মাঠে ফিরতে পারেননি। বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (এনসিএ) ২২ গজের লড়াইয়ে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। অ্যাকাডেমির নেটে তাঁর পারফরম্যান্সে আশাবাদী হতে পারেন রোহিত শর্মা, রাহুল দ্রাবিড়েরা।
বুমরাকে নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চাইছেন না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা। এশিয়া কাপ এবং এক দিনের বিশ্বকাপে তাঁকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় পেতে চাইছেন বোর্ড কর্তারা। ভারতীয় দলে বুমরাকে আবার কবে দেখা যাবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে ভাল কিছুর আশাই করছেন এনসিএর কোচেরা। বেশ কিছু দিন আগে থেকে অনুশীলন শুরু করেছেন বুমরা। তাঁর উপর ধাপে ধাপে চাপ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এখন প্রতি দিন নেটে সাত ওভার করে বল করছেন বুমরা।
ভারতীয় বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, ‘‘বুমরার যে ধরনের চোট লেগেছিল, তাতে নির্দিষ্ট ভাবে মাঠে ফেরার দিন বলা যায় না। তবে এটুকু বলতে পারি, বুমরা বেশ ভাল উন্নতি করছে। এনসিএর নেটে প্রতি দিন সাত ওভার করে বল করছে এখন। ধীরে ধীরে বুমরার পরিশ্রমের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আগামী মাসে এনসিএতে কয়েকটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে বুমরার। সেই ম্যাচগুলোয় দেখা হবে ওর ফিটনেস ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে। ম্যাচ খেলার মতো ধকল ওর শরীর নিতে পারছে কি না।’’ বোর্ডের চিকিৎসকেরা সবুজ সঙ্কেত দিলে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ়ের ভারতীয় দলে ফিরতে পারেন বুমরা।
ভারতীয় দলের প্রাক্তন স্ট্রেন্থ এবং কন্ডিশনিং কোচ রামজি শ্রীনিবাসন বলেছেন, ‘‘বুমরাকে তাড়াহুড়ো করে খেলায় ফেরানো ঠিক হবে না। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরানোর সময় ওকে নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। এনসিএতে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলানো ভাল সিদ্ধান্ত। এই ধরনের ম্যাচ আস্তে আস্তে পরিশ্রমের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ম্যাচ খেলার জন্য শরীরকে তৈরি করতে সুবিধা হয়। আমার মতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরানোর আগে বুমরাকে ঘরোয়া ক্রিকেটের কয়েকটি ম্যাচে দেখে নেওয়া উচিত।’’
শ্রীনিবাসন আরও বলেছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার প্রস্তুতি অন্য রকম হয়। তুলনায় একটু কঠিন। শরীর আন্তর্জাতিক ম্যাচের চাপ নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া জরুরি। সম্পূর্ণ সুস্থ হতে যতটা সময় প্রয়োজন, ততটাই দেওয়া দরকার বুমরাকে।’’
বুমরা ছাড়াও এনসিএতে রয়েছেন লোকেশ রাহুল, শ্রেয়স আয়ার। তাঁদেরও চোট সারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া চলছে। দু’জনকেই অস্ত্রোপচার করানো হয়েছিল। বুমরার মতো তাঁদের নিয়েও তাড়াহুড়ো করতে চাইছেন না বোর্ড কর্তারা। ঘরের মাঠে এক দিনের বিশ্বকাপের জন্য সেরা দল তৈরি করাই লক্ষ্য তাঁদের। কারও মাঠে ফেরার ব্যাপারেই নির্দিষ্ট সময় বলতে চাইছেন না বোর্ড কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy