গোল করার পর দীপক টাংরির উচ্ছ্বাস। ছবি: মোহনবাগানের এক্স হ্যান্ডেল থেকে।
কেরলের মাঠে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ৪-৩ গোলে জিতল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ডার্বির পর কেরালাকে হারিয়ে লিগে দ্বিতীয় স্থানে সবুজ-মেরুন। গোটা ম্যাচে দু'দল মিলিয়ে সাতটি গোল হল। ম্যাচের শেষ মিনিট পর্যন্ত গোল হল বুধবার। তবে শেষ বাঁশি বাজতে হাসি দেখা গেল সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মুখেই।
ডার্বি জয়ের দু’দিন পর খেলতে নেমেও চনমনে মোহনবাগানকে দেখা গেল বুধবার। কোচ আন্তোনিয়ো লোপেজ় হাবাস মেনে নিয়েছিলেন ডার্বি জয়ের দু’দিন পর খেলতে নামায় ক্লান্তি রয়েছে ফুটবলারদের। কিন্তু ম্যাচ শুরুর ৪ মিনিটের মাথায় আর্মান্দো সাদিকু বুঝিয়ে দেন নতুন ম্যাচে নতুন ভাবেই শুরু করেছেন তাঁরা। সম্পূর্ণ একার কৃতিত্বে এক ডিফেন্ডারকে ঘাড়ে নিয়ে গোল করে গেলেন সাদিকু। তাঁকে আগের ম্যাচে প্রথম একাদশে রাখেননি হাবাস। বুধবার সেই আক্ষেপ মিটিয়ে নিলেন দু’টি গোল করে।
প্রথমার্ধে ১-০ এগিয়ে ছিল মোহনবাগান। দুই দলই আক্রমণ করছিল। কিন্তু গোলের মুখ এক বারই খুলেছিলেন সাদিকু। মোহনবাগানের গোলে বিশাল কাইত এ দিনও দু’টি সেভ করেন। যা থেকে গোল হতেই পারত। দ্বিতীয়ার্ধে যদিও গোলের মুখ খুলতে শুরু করে দু’দলই। ৫৪ মিনিটে কেরালার হয়ে গোল শোধ করেন ভিবিন মোহানান। কিন্তু ৬ মিনিটের মধ্যে আবার মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন সাদিকু। ফ্রিকিক থেকে দিমিত্রি পেত্রাতসের শট হেড করে সাদিকুর কাছে পাঠান মোহনবাগানের এক ফুটবলার। সেই বল ধরে হাফ ভলিতে গোল করেন সাদিকু।
কিন্তু তিন মিনিটের মধ্যে আবার গোল পেয়ে যায় কেরালা। দিমিত্রিয়াস দিয়ামান্টাকস প্রতি আক্রমণে গোল করে চলে যান। মোহনবাগানের রক্ষণ ভাগের ফুটবলারেরা তাঁর নাগাল পাননি। পরের ৮ মিনিটে আবার গোল এ বার মোহনবাগানের দীপক টাংরি দলকে এগিয়ে দেন। কর্নার থেকে আসা বলে হেড করেন মোহনবাগানের রক্ষণভাগের ফুটবলার। কেরালার ডিফেন্ডারেরা ভুলেই গিয়েছিলেন টাংরির কথা। তাঁকে কেউ মার্কই করেননি। ১৮ মিনিটের মধ্যে চারটি গোল হল বুধবার।
সেখানেই থেমে থাকেনি গোলের সংখ্যা। সাদিকুকে তুলে জেসন কামিন্সকে নামিয়েছিলেন হাবাস। তিনিও গোল করেন। দলকে ৪-২ গোলে এগিয়ে দিয়েছিলেন কামিন্স। মনে করা হচ্ছিল সেটাই শেষ। কিন্তু ৯০ মিনিটের পর ৮ মিনিটের সংযুক্তি সময় দিয়েছিলেন রেফারি। ৯৮ মিনিটের মাথায় গোল করেন কেরালার দিমিত্রিয়াস। প্রথমার্ধ শেষে যে ম্যাচের ফল মোহনবাগানের পক্ষে ছিল ১-০, তা শেষ হয় ৪-৩ গোলে।
কেরালার বিরুদ্ধে জিতেও মোহনবাগান লিগে দ্বিতীয় স্থানে। ১৮ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট পেয়েছে তারা। ১৯ ম্যাচ খেলে একই সংখ্যক পয়েন্ট মুম্বই সিটির। কিন্তু গোল পার্থক্যে এগিয়ে রয়েছে তারা। তৃতীয় স্থানে থাকা ওড়িশা এফসি ১৮ ম্যাচ খেলে পেয়েছে ৩৫ পয়েন্ট। একই সংখ্যক ম্যাচ খেলে ৩৩ পয়েন্ট পেয়েছে গোয়া। এই চারটি দল প্লে অফে জায়গা পাকা করে ফেলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy