গোলের পরে উল্লাস মোহনবাগানের আর্মান্দো সাদিকুর। ছবি: এক্স।
আইএসএলে টানা পাঁচটি জয়ের পর প্রথম বার পয়েন্ট নষ্ট করতে হয়েছে মোহনবাগানকে। পিছিয়ে যাওয়ার পরে শেষ মুহূর্তে গোল করে দলকে এক পয়েন্ট এনে দিয়েছেন আর্মান্দো সাদিকু। ম্যাচ শেষে মোহনবাগান জোড়া অভিযোগ করেছে ওড়িশার বিরুদ্ধে। একটি পেনাল্টি নিয়ে। অন্যটি প্লেয়ারদের চোট পাওয়া নিয়ে।
পেনাল্টি থেকে নিজের ও ওড়িশার প্রথম গোল করেন আহমেদ জাহু। সেই গোল নিয়ে ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে বাগানের রক্ষাকর্তা সাদিকু বলেন, ‘‘প্রথমার্ধে আমরা বেশ কয়েকটি বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারিনি। সেখান থেকেই ওরা বল পেয়ে আক্রমণ করে। আমি ঠিক মতো দেখিনি যদিও। তবে মনে হয় ওটা পেনাল্টি ছিল না।’’ পাশাপাশি দলের সহকারী কোচ ক্লিফোর্ড মিরান্ডা বলেন, ‘‘ম্যাচের আগে ওয়ার্ম-আপেই হুগোর চোট লেগে যায়। তার পরে সাহাল ও থাপাও চোট পেয়েছে। এগুলো পেশির চোট নয়। ওদের আঘাত করা হয়েছে। কারণ, খেলার ওপর ওদের নিয়ন্ত্রণ ভাল ছিল।’’ মিরান্ডার কথা থেকে পরিষ্কার, জোর করে বাগান ফুটবলারদের আঘাত করা হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
ওড়িশা ম্যাচের আগে থেকেই চোট সমস্যায় রয়েছে মোহনবাগান। আশিক কুরুনিয়ন, আনোয়ার আলি, মনবীর সিংহ ও দিমিত্রি পেত্রাতস চোটে ছিলেন। ওড়িশা ম্যাচের আগে হুগো বুমোস চোট পেয়েছেন। ফলে খেলতে পারেননি তিনি। ম্যাচে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে সাহাল আব্দুল সামাদ ও অনিরুদ্ধ থাপাকে। তা ছাড়া গ্লেন মার্টিন্স ও কিয়ান নাসিরিও পায়ে টান ধরায় মাঠ ছাড়েন। সব মিলিয়ে ন’জন ফুটবলারেরা চোটে চাপে রয়েছে বাগান। ১৫ ডিসেম্বর নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচে নামবে বাগান। তার আগে ফুটবলারদের সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করছে তারা।
বাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো ম্যাচের পরে ওড়িশার ফুটবলার রয় কৃষ্ণের সঙ্গে বাদানুবাদের জেরে লাল কার্ড দেখায় সাংবাদিক বৈঠকে এসেছিলেন মিরান্ডা। ফুটবলারদের চোট নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। মিরান্ডা বলেন, ‘‘চোটের ব্যাপারে বিস্তারিত এখনও কিছু জানি না। মেডিক্যাল টিমের সঙ্গে কথা বলে জানতে হবে। এত চোট-আঘাত নিয়ে খেলে যাওয়াটা খুবই কঠিন। তবে এমন যে হতে পারে, তা আমাদের ভাবনায় ছিল। তাই একটা ভাল দল গড়েছি আমরা। অন্য খেলোয়াড়রাও রয়েছে, যারা শূন্যস্থান পূরণ করতে পারে। আশা করি, ওরাও ভাল খেলবে”।
দু’গোল করার থেকেও দলের এক পয়েন্ট পাওয়াকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন সাদিকু। আলবানিয়ার হয়ে ইউরো কাপে খেলা ফুটবলার বলেন, ‘‘প্রতি ম্যাচেই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। কখনও নিজে গোল করি, কখনও গোলের পাস দিই। যখনই গোল করতে পারি, খুশি হই। দলের জন্য একশো শতাংশ দিতে পেরে ভাল লাগছে। দলের জন্য এক পয়েন্ট আনাটাই আমার কাছে সেরা প্রাপ্তি। আলাদা করে কোনও গোলের কথা বলব না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy