মিচেল স্টার্ক। —ফাইল চিত্র।
অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক ছাড়া কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলিং বিভাগে তেমন উল্লেখযোগ্য নাম নেই। তবু শুধু স্টার্ককে কিনতেই মঙ্গলবারের নিলামে ২৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন কেকেআর কর্তৃপক্ষ। আদৌ কি লাভ হবে? কলকাতার মেন্টর গৌতম গম্ভীরের দাবি বিশেষ কারণে স্টার্কের জন্য বিপুল টাকা খরচ করেছেন তাঁরা।
স্টার্ককে কার্যত জোরে বোলিং কোচের দায়িত্ব দিতে চান গম্ভীর। সে কারণেই স্টার্কের জন্য বিপুল টাকা খরচ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেকেআরকে দু’বার আইপিএল জেতানো প্রাক্তন অধিনায়ক। মঙ্গলবারের নিলামের পর গম্ভীর বলেছেন, ‘‘স্টার্ক আমাদের এক্স-ফ্যাক্টর। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। স্টার্ক এমন এক জন বোলার যে নতুন বলে বল করতে পারে আবার শেষ দিকের ডেথ ওভারেও বল করতে পারে। একই সঙ্গে স্টার্ক বোলিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দিতে পারে। আমাদের দুই ঘরোয়া বোলারের জন্য স্টার্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। ওরা দু’জনেই খুব প্রতিভাবান। এমন এক জনকে আমাদের দরকার ছিল যে মাঠে ওদের সাহায্য করতে পারবে। আমাদের হয়ে স্টার্ক ঠিক এই কাজটাই করতে পারবে। শুধু দক্ষ বোলার হিসাবেই আমরা স্টার্ককে নিইনি। ও বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব দিতে পারবে এবং তরুণদের প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে পারবে। এ জন্য তো আমাদের খরচা করতেই হত কারও পিছনে। তাই স্টার্ককে বেছে নেওয়া হয়েছে।’’ জুনিয়র জোরে বোলার হিসাবে ভৈভব অরোরা এবং হর্ষিত রানার কথা বোঝাতে চেয়েছেন গম্ভীর।
কেকেআরের বোলিং আক্রমণ নিয়েও সন্তুষ্ট গম্ভীর। এ নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের দলে স্টার্ক ছাড়াও সুনীল নারাইন, মুজিব উর-রহমান, বরুণ চক্রবর্তী, গাস অ্যাটকিসন, চেতন সাকারিয়ার মতো বোলার রয়েছে। আমাদের হাতে এখন যথেষ্ট বিকল্প রয়েছে। বিভিন্ন মাঠের পিচের চরিত্র অনুযায়ী আমরা বোলিং আক্রমণ সাজাতে পারব। আমার মতে আমাদের বোলিংও এখন ব্যাটিংয়ের মতোই শক্তিশালী।’’
লখনউ সুপার জায়ান্টস ছেড়ে কেকেআর শিবিরে ফিরে আসতে পেরে খুশি গম্ভীর। কেকেআরকেই তিনি আইপিএলে নিজের দল বলে মনে করেন। গম্ভীর বলেছেন, ‘‘আমার কাছে কেকেআর শুধু একটা দল নয়। কেকেআর আমার আবেগ। সাত বছর অধিনায়ক থাকার সময় কলকাতার মানুষের কাছে প্রচুর ভালবাসা পেয়েছিলাম। নিজের কাজের প্রতি সৎ থাকার চেষ্টা করতাম সব সময়। তার প্রতিদান সমর্থকেরা দিয়েছিলেন। সেটাই কেকেআর নিয়ে আমার আবেগের প্রধান কারণ। আশা করি আমরা আবার ২০১২ এবং ২০১৪ সালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে পারব। মাঠে নামলেই ম্যাচ জিতব, এমন নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে এ টুকু নিশ্চিত করতে চাই, আমরা জেতার জন্য শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy