কাম্বলি পেলেন চাকরির প্রস্তাব। —ফাইল চিত্র
অর্থকষ্টে থাকা বিনোদ কাম্বলিকে চাকরির প্রস্তাব। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটারকে প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকা মাইনের চাকরি দিতে চান এক ব্যবসায়ী। যদিও ক্রিকেট সংক্রান্ত কোনও কাজ নয়, কাম্বলিকে আর্থিক হিসাবনিকাশের একটি কাজে চান তিনি। কাম্বলি সেই চাকরি নেবেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
কিছু দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে কাম্বলি জানিয়েছিলেন কোনও কাজ পাচ্ছেন না তিনি। বোর্ডের দেওয়া মাসিক ৩০ হাজার টাকা পেনশন দিয়েই দিন চালাচ্ছেন সচিন তেন্ডুলকরের বন্ধু। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সেই কথা জানতে পেরেই মহারাষ্ট্রের এক ব্যবসায়ী কাম্বলিকে কাজ দিতে চান বলে জানিয়েছেন। কাম্বলি যদিও ক্রিকেট সংক্রান্ত কোনও কাজ খুঁজছিলেন। আর্থিক হিসাবনিকাশের কাজের এই প্রস্তাবে তিনি রাজি হবেন কি না জানাননি ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার।
সচিনের বাল্যবন্ধু কাম্বলি। মুম্বইয়ের সারদাশ্রম স্কুল থেকে শুরু হওয়া বন্ধুত্ব এগিয়েছিল ভারতীয় দলের সাজঘর পর্যন্ত। ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর থেকে কখনও নির্দিষ্ট কোনও কাজ করেননি কাম্বলি। মুখ ফিরিয়ে থাকেননি সচিন। এক সময় প্রিয় বন্ধুকে কাজের ব্যবস্থা করে দেন। নিজের তেন্ডুলকর মিডলসেক্স গ্লোবাল অ্যাকাডেমিতে তরুণ ক্রিকেটারদের মেন্টর হিসাবে নিয়োগ করেন কাম্বলিকে। কিন্তু সচিনের অ্যাকাডেমি কাম্বলির বাড়ি থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। এত দূরের অ্যাকাডেমিতে গিয়ে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল ৫০ বছরের প্রাক্তন ক্রিকেটারের। তাই সেই দায়িত্ব ছেড়ে দেন। তার পর থেকে নির্দিষ্ট কোনও আয় নেই তাঁর। কাম্বলি বলেছেন, ‘‘প্রতি দিন সকাল পাঁচটায় উঠতে হত। ক্যাব নিয়ে পৌঁছতে হত ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে। আবার বিকালে বিকেসি মাঠে কোচিং করাতাম। এত ধকল নিতে পারছিলাম না।’’
সেই কাজ ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে নির্দিষ্ট কোনও কাজ করছেন না কাম্বলি। বোর্ডের পেনশন দিয়েই দিন চলছে তাঁর। কাম্বলির মদ্যপানের অভ্যেস রয়েছে। মদ্যপানের অভ্যাস থাকায় অতীতে বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন কাম্বলি। আকণ্ঠ মদ্যপান করে পরের দিন মাঠে নেমে শতরান করেছেন। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে ধাক্কা মেরেছেন আবাসনের দেওয়ালে। মদ ছাড়া থাকতে পারেন না। কিন্তু চাকরির জন্য সেই মদ্যপান ছাড়তেও রাজি কাম্বলি। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন, ‘‘সব জায়গার কিছু নির্দিষ্ট নিয়মকানুন থাকে। সবাইকে তা মেনে চলতে হয়। যদি আমাকে চাকরি করতে হলে মদ ছেড়ে দিতে হয়, তা হলে আমি সঙ্গে সঙ্গে সেটা করব। কোনও সমস্যা হবে না। আমার কাজ দরকার।’’
সেই কাজের প্রস্তাব এ বার কাম্বলি পেয়েছেন। প্রতি মাসে এক লাখ টাকার কাজে তিনি রাজি হন কি না সেটাই এখন দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy