শতরানের পর লিটন। ছবি: সমাজমাধ্যম।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে খেলতে নেমে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই চাপ একাই কাটিয়ে দিলেন লিটন দাস। তাঁর শতরান এবং মেহেদি হাসান মিরাজের অর্ধশতরানে ভর করে রবিবার লড়াই করল বাংলাদেশ। দিনের শেষে সুবিধা তাদের দিকেই।
প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের ২৭৪ রানের জবাব ১০/০ নিয়ে এ দিন খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। দিনের শুরু থেকেই পাকিস্তানের পেসারদের দাপটে বেসামাল হয়ে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং। একের পর এক ব্যাটার সাজঘরে ফিরতে থাকেন। ভাল বল করছিলেন খুরম শেহজাদ এবং মির হামজ়া। ২৬ রানেই ৬টি উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এক সময় মনে হচ্ছিল ফলো-অন করতে হতে পারে বাংলাদেশকে। খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে পাল্টা লড়াই শুরু করেন লিটন এবং মেহেদি। পাকিস্তানের পেসারদের বিরুদ্ধে তাঁরা প্রথমে ধীরগতিতে খেললেও আস্তে আস্তে চাপ বাড়াতে থাকেন। সপ্তম উইকেটে ১৬৫ রানের জুটি গড়েন দু’জনে।
মেহেদি আউট হলেও একাই লড়াই চালিয়ে যান লিটন। পাশে পান তাস্কিন আহমেদ এবং হাসান মাহমুদকে। লিটনের এই লড়াই বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম সেরা বলে মনে করছেন অনেকেই। নাসিম শাহের একটি ওভারে ১৮ রান নেন লিটন। শতরানের পর সাজঘর থেকে উঠে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান বাংলাদেশের ক্রিকেটারেরা। গ্যালারিতে থাকা পাকিস্তানি দর্শকরাও অভিবাদন জানাতে ভোলেননি।
শেষ পর্যন্ত ৭৯তম ওভারে আঘা সলমনের বলে সাইম আয়ুবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। সেই ওভারেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। তারা থামে ২৬২ রানে। মাত্র ১২ রানে পিছিয়ে থেকে। শেহজাদ নেন ৬টি উইকেট। জবাবে দিনের শেষেই পাকিস্তানের দু’উইকেট ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের স্কোর ৯/২। এগিয়ে ২১ রানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy