শ্রেয়স আয়ার। —ফাইল চিত্র।
দলীপ ট্রফির লড়াইয়ে দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারত ‘সি’র বিরুদ্ধে সুবিধাজনক জায়গায় ভারত ‘ডি’। অনন্তপুরের ২২ গজে দু’দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই ক্রিকেটার শ্রেয়স আয়ার এবং হর্ষিত রানা।
ইন্ডিয়া ‘ডি’র প্রথম ইনিংস শেষ হয় ১৬৪ রানে। জবাবে ইন্ডিয়া ‘সি’র ইনিংস শেষ হয় ১৬৮ রানে। কম রানের পুঁজি নিয়েও শ্রেয়সের দলকে লড়াইয়ে রেখেছেন হর্ষিত। বৃহস্পতিবার খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত রুতুরাজ গায়কোয়াড়দের রান ছিল ৪ উইকেটে ৯১। ভাল জায়গায় থাকা রুতুরাজেরা সেই সুবিধা ধরে রাখতে পারলেন না শুক্রবার। ৩৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ইন্ডিয়া ‘সি’ ইনিংস বেসামাল করে দেন কেকেআরের জোরে বোলার। প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনও তিনি ২ উইকেট নিলেন। এ দিন তাঁর শিকার অভিষেক পোড়েল (৩৪) এবং মানব সুতার (১)। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার বাবা ইন্দ্রজিতের (৭২) লড়াই কাছে এল না তেমন। মাত্র ৪ রানের লিড পান রুতুরাজেরা। আগের দিন প্রতিপক্ষের দুই ওপেনার রুতুরাজ এবং সাই সুদর্শনের উইকেট নিয়েছিলেন হর্ষিত।
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় ইনিংসে সতর্ক হয়ে ব্যাট করেন শ্রেয়সের দলের ব্যাটারেরা। ব্যাট হাতে দলের লড়াইকে নেতৃত্ব দিলেন অধিনায়ক। দুই ওপেনার অথর্ব তাইডে (১৫) এবং যশ দুবে (৫) দ্রুত ফিরে যাওয়ার পর দলের হাল ধরেন তিন নম্বরে নামা শ্রেয়স। তাঁকে সঙ্গ দেন চার নম্বরে নামা দেবদত্ত পাড়িক্কাল। ৪৪ বলে ৫৪ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে চাপ কাটান শ্রেয়স। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৯টি চার এবং ১টি ছয়। পাড়িক্কাল ৫৬ রান করেন ৮টি চারের সাহায্যে। পাঁচ নম্বরে নেমে রিকি ভুই খেলেন ৪৪ রানের ইনিংস। যদিও ইন্ডিয়া ‘ডি’র পরের ব্যাটারেরা কেউই রান পেলেন না। দিনের শেষে শ্রেয়সের দলের দ্বিতীয় ইনিংসের রান ৮ উইকেটে ২০৬।
২০২ রানে এগিয়ে রয়েছেন শ্রেয়সেরা। অনন্তপুরের ২২ গজে ব্যাট করা বেশ কঠিন হচ্ছে। চতুর্থ ইনিংসে ২০০-র বেশি রানের লক্ষ্য তাড়া করা কঠিন হবে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সেই হিসাবে ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের শেষে কিছুটা হলেও সুবিধাজনক জায়গায় শ্রেয়সেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy