ফাইল চিত্র।
বিরাট কোহলি সাংবাদিকদের প্রকাশ্যে এসে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁকে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে থেকে যেতে কেউ অনুরোধ করেননি। ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যে বক্তব্য রেখেছিলেন, তার বিপরীত কথা বলেছেন বিরাট। এমনকি ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক এও জানিয়েছেন, দল ঘোষণার দেড় ঘণ্টা আগে কোনও ব্যাখ্যা ছাড়াই বিরাটকে জানানো হয় তাঁকে আর ওয়ান ডে দলের অধিনায়ক হিসেবে রাখা
হচ্ছে না।
বিরাটের প্রতিক্রিয়ার পর থেকেই উত্তাল গণমাধ্যম। ভারতীয় বোর্ড কর্তাদের উদ্দেশ্যে একের পর এক টুইট আসতে থাকে। প্রত্যেকেই সত্য জানতে চান। বিরাট নির্দ্বিধায় নিজের বক্তব্য রেখেছেন। কিন্তু ভারতীয় বোর্ড এখনও তার জবাব দেয়নি। ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিল দেব এই পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ। তিনি মনে করেন, প্রকাশ্যে এ ধরনের মন্তব্য না করলেই পারতেন বিরাট ও সৌরভ। তা ছাড়া আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ় হওয়ার আগে এ ধরনের ঘটনা ক্রিকেটারদের মনোবল নষ্ট করে দিতে পারে বলেই মনে করেন কপিল।
বৃহস্পতিবার এবিপি নিউজ়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কপিল বলেছেন, ‘‘প্রকাশ্যে কারও উপর আঙুল তোলা উচিত নয়। এই পরিস্থিতিতে তো একেবারেই নয়। সামনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ় শুরু হতে চলেছে। সেটা নিয়েই ভাবনা-চিন্তা করা হোক।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বোর্ড প্রেসিডেন্টকে যেমন সবাই সম্মান করে, ঠিক ততটাই মর্যাদা রয়েছে ভারতীয় অধিনায়কের। সৌরভ ও কোহলি যে একে অন্যের নামে প্রকাশ্যে মন্তব্য করে চলেছে, এটা একেবারেই ঠিক না। ভারতীয় ক্রিকেটের ক্ষতি হতেই পারে।’’
কপিলের অনুরোধ, সত্যটা সবার সামনে আসবেই। তার আগে থেকে কেন কাদা ছোড়াছুড়ি হচ্ছে? কপিলের বক্তব্য, ‘‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনুক দু’জনে। দেশের কথা ভাবুক। কে সত্যি বলছে, কেই বা মিথ্যে সেটা প্রকাশ্যে আসতে দেরী হবে না। কিন্তু এ ধরনের মন্তব্য করে বিতর্ক সৃষ্টি করার কোনও মানে খুঁজে পাচ্ছি না।’’ কিংবদন্তি সুনীল গাওস্করও এই পরিস্থিতি মেনে নিতে পারেননি। তিনি জানিয়েছেন, অবিলম্বে বোর্ড তাদের বক্তব্য জানাক। ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের তা জানার অধিকার আছে।
কপিল কারও পক্ষে কথা না বললেও অভিজ্ঞ লেগস্পিনার অমিত মিশ্র পাশে দাঁড়ালেন কোহলির। ওয়ান ডে দলের নেতৃত্বের পদ থেকে বিরাটকে কেন সরিয়ে দেওয়া হল, প্রশ্ন রয়েছে অমিতেরও। তিনি মনে করেন, বিরাটকে এক বার জানানো উচিত ছিল কেন তাঁর অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে এখনও কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। অমিত মিশ্র চান, অবিলম্বে বোর্ড যেন এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়।
অভিজ্ঞ লেগস্পিনার জানিয়েছেন, এ রকম ঘটনা আগেও ঘটেছে। বোর্ড ও ক্রিকেটারদের মধ্যে ঠিক মতো বোঝাপড়া না থাকায় এ ধরনের ঘটনা স্বাভাবিক। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে অমিত বলেছেন, ‘‘আগেও এ রকম ঘটনা ঘটেছে। এটা নতুন কিছু নয়। একজন ক্রিকেটার যে দেশকে গর্বিত করেছে, দেশের জন্য একের পর এক সেঞ্চুরি করেছে, তার অন্তত জানা উচিত, কেন নেতৃত্ব কেড়ে নেওয়া হল?’’ যোগ করেন, ‘‘একজন ক্রিকেটারের জানা উচিত, কোথায় সে পিছিয়ে পড়ছে? কী করলে
উন্নতি হবে?’’
বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার মধ্যে কোনও ঝামেলা আছে বলেও মনে করেন না অমিত। বলেছেন, ‘‘ভারতীয় ক্রিকেটে দু’জনই প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। দু’জনের মধ্যে বরাবরই ভাল বোঝাপড়া লক্ষ্য করেছি। দেশের জন্য একশো শতাংশ উজাড় করে দেয় ওরা। অধিনায়ক হিসেবে বিরাট সত্যি খুব ভাল কাজ করেছে। এ বার রোহিতের সামনে একটা বড় সুযোগ নিজেকে
প্রমাণ করার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy