হাতছানি: আর দু’উইকেট পেলেই নজির ঝুলনের। টুইটার
আর দু’টি উইকেট পেলেই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটের অধিকারী হয়ে যাবেন কিংবদন্তি ঝুলন গোস্বামী। আজ, বৃহস্পতিবার নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ম্যাচেই সেই মাইলফলক ছোঁয়ার হাতছানি ভারতীয় পেসারের সামনে। কিন্তু তিনি ব্যক্তিগত মাইলফলক নিয়ে ভাবতে চান না। ঝুলনের লক্ষ্য, ভাল ক্রিকেট খেলে দলকে জয় উপহার দেওয়া। যাতে আগামী পর্বে অনায়াসে চলে যেতে পারে ভারতীয় দল।
২০০৫ সালে ভারতীয় দলে অভিষেক হয় ঝুলনের। সে বছরই প্রথম বিশ্বকাপ খেলেন। এই নিয়ে মোট পাঁচ বার খেলছেন এই প্রতিযোগিতায়। চাকদহ থেকে উঠে আসা ঝুলন যখন তাঁর ক্রিকেট জীবন শুরু করেছিলেন, কখনও কি ভেবেছিলেন এক দিন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পেসার হয়ে উঠবেন তিনি?
মোট ২৯টি বিশ্বকাপ ম্যাচে ৩৮ উইকেট রয়েছে ঝুলনের। প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার লিন ফুলস্টন এখনও বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটের মালকিন। তাঁর সংগ্রহ ৩৯টি উইকেট। ঝুলন আর একটি উইকেট পেলেই স্পর্শ করবেন ফুলস্টনকে। দু’টি উইকেট পেলে তিনি হবেন বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে ঝুলনকে প্রশ্ন করা হয়, আরও একটি মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর কী রকম অনুভূতি হচ্ছে? ওয়ান ডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক বলে দিলেন, ‘‘সত্যি বলতে, আমার এটা একেবারেই জানা ছিল না। জানিই না কোনও রেকর্ড গড়তে চলেছি। তবে দলের সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে নিজস্ব দায়িত্ব পালন করার দিকেই মূল নজর থাকে। ভাল ক্রিকেট খেলে দলকে বড় জয় উপহার দিতে চাই।’’
ঝুলন এখানেই না থেমে বলেন, ‘‘অনেক বছর ধরে ক্রিকেট খেললে দু-একটা ব্যক্তিগত রেকর্ড হবেই। আমি খুবই আনন্দ পাই এ ধরনের প্রাপ্তিতে। কিন্তু দলের জন্য কিছু করে দেখানোর মতো আনন্দ আর কিছু হয় না। ব্যক্তিগত মাইলফলক আমাকে কখনওই খুব একটা তৃপ্তি দেয় না। আমি একেবারেই টিমম্যান।’’
নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে আজ নামার আগে পাঁচ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ় খেলেছিল ভারত। যেখানে ১-৪ হারেন মিতালি রাজরা। সেই সিরিজ় থেকেই ওপেনার শেফালি বর্মা রান পাচ্ছেন না। পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তবে ঝুলন মনে করেন, দ্রুতই রানে ফিরে আসবেন তরুণী। নেটে ভাল ছন্দেই ব্যাট করে চলেছেন তিনি। ঝুলন বলছিলেন, ‘‘শেফালি প্রমাণ করে দিয়েছে, ও চমক হয়ে উঠতে পারে। তবে যে কোনও ক্রিকেটারই খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যায়।’’ যোগ করেন, ‘‘নেটে খুবই পরিশ্রম করছে শেফালি। আগের মতোই ব্যাটে-বলে সংযোগ হচ্ছে। আমার মনে হয়, একটি বড় ইনিংস খেললেই আগের ছন্দে ফিরে আসবে।’’
নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের রণনীতি কী? ঝুলনের উত্তর, ‘‘প্রত্যেকটি মাঠ খোলা। প্রচণ্ড হাওয়া দেয় সারা দিন ধরে। কী করে হাওয়ার সুবিধে নেওয়া যায়, তা নিয়েও দলের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।’’ যোগ করেন, ‘‘পূজা, মেঘনা, রেনুকা, সিমরনরা প্র্যাক্টিসে নিজেদের উজাড় করে দিচ্ছে। আশা করি, ম্যাচেও সে রকমই কিছু দেখতে পাব
ওদের থেকে।’’
ঝুলন মানছেন, প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় বোলিং বিভাগ ভাল ছন্দেই ছিল। মাত্র ১৩৭ রানে পাকিস্তানকে শেষ করে দিয়েছিল ভারত। তাও পূজা বস্ত্রকরের মতো পেসারের চোট লেগে যাওয়ার পরে বিপক্ষকে মাথা তুলে দাঁড়াতেই দেননি ভারতীয় পেসাররা। ঝুলনের বিশ্বাস, নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে একই ছন্দ ধরে রাখবেন তাঁরা। বলেন, ‘‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঠিক জায়গায় বল রেখে গিয়েছে প্রত্যেকে। নতুন বলে প্রথম দশ ওভারে কম রানে আটকে দিতে পেরেছিলাম বিপক্ষকে। সেই জায়গা থেকেই ভারতীয় স্পিনাররা দাপটের সঙ্গে বল করে। কোনও দলকে দেড়শোর মধ্যে আটকে দেওয়া একেবারেই সহজ নয়।’’
ঝুলন এও মানছেন, নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ় অনেকটাই সাহায্য করবে ভারতকে। বলেন, ‘‘বিশ্বকাপের আগে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই সিরিজ়টা খেলেছি। হারলেও বিশ্বকাপে একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অন্য রকম ম্যাচ হতে চলেছে। প্রত্যেকে বড় প্রতিযোগিতার চাপ অনুভব করে। আশা করি, নিউজ়িল্যান্ডও একই রকম চাপ অনুভব করবে। মাঠে সেরাটাই দেব।’’
বিশ্বকাপ কীর্তির সামনেও ঝুলনের ভাবনায় সেই দল
নিজস্ব সংবাদদাতা
আর দু’টি উইকেট পেলেই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটের অধিকারী হয়ে যাবেন কিংবদন্তি ঝুলন গোস্বামী। আজ, বৃহস্পতিবার নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ম্যাচেই সেই মাইলফলক ছোঁয়ার হাতছানি ভারতীয় পেসারের সামনে। কিন্তু তিনি ব্যক্তিগত মাইলফলক নিয়ে ভাবতে চান না। ঝুলনের লক্ষ্য, ভাল ক্রিকেট খেলে দলকে জয় উপহার দেওয়া। যাতে আগামী পর্বে অনায়াসে চলে যেতে পারে ভারতীয় দল।
২০০৫ সালে ভারতীয় দলে অভিষেক হয় ঝুলনের। সে বছরই প্রথম বিশ্বকাপ খেলেন। এই নিয়ে মোট পাঁচ বার খেলছেন এই প্রতিযোগিতায়। চাকদহ থেকে উঠে আসা ঝুলন যখন তাঁর ক্রিকেট জীবন শুরু করেছিলেন, কখনও কি ভেবেছিলেন এক দিন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পেসার হয়ে উঠবেন তিনি?
মোট ২৯টি বিশ্বকাপ ম্যাচে ৩৮ উইকেট রয়েছে ঝুলনের। প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার লিন ফুলস্টন এখনও বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটের মালকিন। তাঁর সংগ্রহ ৩৯টি উইকেট। ঝুলন আর একটি উইকেট পেলেই স্পর্শ করবেন ফুলস্টনকে। দু’টি উইকেট পেলে তিনি হবেন বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে ঝুলনকে প্রশ্ন করা হয়, আরও একটি মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর কী রকম অনুভূতি হচ্ছে? ওয়ান ডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক বলে দিলেন, ‘‘সত্যি বলতে, আমার এটা একেবারেই জানা ছিল না। জানিই না কোনও রেকর্ড গড়তে চলেছি। তবে দলের সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে নিজস্ব দায়িত্ব পালন করার দিকেই মূল নজর থাকে। ভাল ক্রিকেট খেলে দলকে বড় জয় উপহার দিতে চাই।’’
ঝুলন এখানেই না থেমে বলেন, ‘‘অনেক বছর ধরে ক্রিকেট খেললে দু-একটা ব্যক্তিগত রেকর্ড হবেই। আমি খুবই আনন্দ পাই এ ধরনের প্রাপ্তিতে। কিন্তু দলের জন্য কিছু করে দেখানোর মতো আনন্দ আর কিছু হয় না। ব্যক্তিগত মাইলফলক আমাকে কখনওই খুব একটা তৃপ্তি দেয় না। আমি একেবারেই টিমম্যান।’’
নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে আজ নামার আগে পাঁচ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ় খেলেছিল ভারত। যেখানে ১-৪ হারেন মিতালি রাজরা। সেই সিরিজ় থেকেই ওপেনার শেফালি বর্মা রান পাচ্ছেন না। পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তবে ঝুলন মনে করেন, দ্রুতই রানে ফিরে আসবেন তরুণী। নেটে ভাল ছন্দেই ব্যাট করে চলেছেন তিনি। ঝুলন বলছিলেন, ‘‘শেফালি প্রমাণ করে দিয়েছে, ও চমক হয়ে উঠতে পারে। তবে যে কোনও ক্রিকেটারই খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যায়।’’ যোগ করেন, ‘‘নেটে খুবই পরিশ্রম করছে শেফালি। আগের মতোই ব্যাটে-বলে সংযোগ হচ্ছে। আমার মনে হয়, একটি বড় ইনিংস খেললেই আগের ছন্দে ফিরে আসবে।’’
নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের রণনীতি কী? ঝুলনের উত্তর, ‘‘প্রত্যেকটি মাঠ খোলা। প্রচণ্ড হাওয়া দেয় সারা দিন ধরে। কী করে হাওয়ার সুবিধে নেওয়া যায়, তা নিয়েও দলের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।’’ যোগ করেন, ‘‘পূজা, মেঘনা, রেনুকা, সিমরনরা প্র্যাক্টিসে নিজেদের উজাড় করে দিচ্ছে। আশা করি, ম্যাচেও সে রকমই কিছু দেখতে পাব
ওদের থেকে।’’
ঝুলন মানছেন, প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় বোলিং বিভাগ ভাল ছন্দেই ছিল। মাত্র ১৩৭ রানে পাকিস্তানকে শেষ করে দিয়েছিল ভারত। তাও পূজা বস্ত্রকরের মতো পেসারের চোট লেগে যাওয়ার পরে বিপক্ষকে মাথা তুলে দাঁড়াতেই দেননি ভারতীয় পেসাররা। ঝুলনের বিশ্বাস, নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে একই ছন্দ ধরে রাখবেন তাঁরা। বলেন, ‘‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঠিক জায়গায় বল রেখে গিয়েছে প্রত্যেকে। নতুন বলে প্রথম দশ ওভারে কম রানে আটকে দিতে পেরেছিলাম বিপক্ষকে। সেই জায়গা থেকেই ভারতীয় স্পিনাররা দাপটের সঙ্গে বল করে। কোনও দলকে দেড়শোর মধ্যে আটকে দেওয়া একেবারেই সহজ নয়।’’
ঝুলন এও মানছেন, নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ় অনেকটাই সাহায্য করবে ভারতকে। বলেন, ‘‘বিশ্বকাপের আগে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই সিরিজ়টা খেলেছি। হারলেও বিশ্বকাপে একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অন্য রকম ম্যাচ হতে চলেছে। প্রত্যেকে বড় প্রতিযোগিতার চাপ অনুভব করে। আশা করি, নিউজ়িল্যান্ডও একই রকম চাপ অনুভব করবে। মাঠে সেরাটাই দেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy