রাজ অঙ্গদ বাওয়া। —ফাইল ছবি
আইপিএলের সাজঘরে থাকবেন শিখর ধবন। ভেবেই উত্তেজিত সদ্য অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের ক্রিকেটার। ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর পারফরম্যান্স নজর কাড়ে। তারপর আইপিএল-এর নিলামেও তাঁর প্রতি আগ্রহ ছিল একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজির।
চণ্ডীগড়ের টিনএজারকে দলে নেওয়ার জন্য দর হাঁকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং পঞ্জাব কিংস। তাঁর নূন্যতম মূল্য ছিল ২০ লক্ষ টাকা। শেষ পর্যন্ত দু’কোটি টাকা দর দিয়ে তরুণ অলরাউন্ডার রাজ অঙ্গদ বাওয়াকে দলে নিয়েছে পঞ্জাব। ডান হাতি এই ফাস্ট বোলার অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের অন্যতম আবিস্কার। বিশ্বকাপের ছয় ম্যাচে করেছেন ২৫২ রান। নিয়েছেন নয় উইকেট।
পঞ্জাবের সাজঘরে থাকবেন শিখর। তা ভেবেই উত্তেজিত রাজ। কারণ, অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে শিখরের ভারতীয় রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন রাজ। ২০০৪ সালের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিরুদ্ধে ১৫৫ রান করেন শিখর। ছোটদের বিশ্বকাপে কোনও ভারতীয় ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস এতদিন ছিল সেটাই। এবারের ফাইনালে রাজ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১০৮ বলে ১৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ভেঙে দিয়েছেন সেই রেকর্ড। রাজের দুরন্ত ইনিংসই ভারতের পঞ্চম বার অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয় কার্যত নিশ্চিত করে। রাজ বলেছেন, ‘‘খুব উত্তেজিত লাগছে শিখর ধবনের সঙ্গে দেখা হবে। উনি কি আমার রেকর্ডের কথা জানেন? আমি সব সময় ওঁর দিকে তাকিয়ে থাকতাম। এক সাজঘরে ওঁর সঙ্গে থাকতে পারব। দারুণ অভিজ্ঞতা হবে।’’
বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স রাজকে সুযোগ করে দিয়েছে রঞ্জি দলেও। এবারই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার স্বাদও পাবেন রাজ। তরুণ ক্রিকেটারের পরিবারে ক্রীড়া সংস্কৃতি নতুন নয়। তাঁর ঠাকুরদা তারলোচন সিংহ বাওয়া ১৯৪৮ সালের অলিম্পিকে সোনাজয়ী ভারতীয় হকি দলের সদস্য ছিলেন। রাজের বাবা সুখবিন্দর সিংহ বাওয়া একসময় ট্রেনিং করিয়েছেন যুবরাজ সিংহকে। পঞ্জাব রাজকে নেওয়ায় খুশি সুখবিন্দার সিংহও। তিনি বলেছেন, ‘‘দলের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সুবিধা হবে রাজের। চেনা পরিবেশ পাবে অনেকটা। তাছাড়া অনিল কুম্বলে, জন্টি রোডসের মত কিংবদন্তিদের থেকে অনেক কিছু শেখারও সুযোগ পাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy