ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন (বাঁ দিকে) এবং আব্দুল রজ্জাক। — ফাইল চিত্র।
রবিবার বিশ্বকাপের ফাইনালে হেরে গিয়েছে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে তারা। ভারতের হারে খুশি পড়শি দেশ পাকিস্তানের অনেকেই। তাঁদেরই একজন আব্দুল রজ্জাক। জানিয়েছেন, ফাইনালে ভারতের হার ক্রিকেটের জন্যেই ভাল হয়েছে। কারণ ফাইনালেও নিজেদের মতো করে পিচ তৈরি করতে চেয়েছিল ভারত। সেটা কাজে লাগেনি।
পাকিস্তানের এক টিভি চ্যানেলে রজ্জাক বলেছেন, “সত্যি বলতে, ক্রিকেট জিতেছে। একটা দল পরিস্থিতিকে নিজেদের মতো করে তৈরি করবে, এটা হতে পারে। ভারত জিতে গেলে ক্রিকেটের মজাটাই হারিয়ে যেত। যারা সাহসী, যারা শক্তিশালী, যারা চেষ্টা করে এবং নির্দিষ্ট দিনে প্রতিপক্ষকে হারিয়ে দেয়, ক্রিকেট সব সময় তাদের সঙ্গেই থাকে।”
এখানেই না থেমে রজ্জাক আরও বলেছেন, “ওরা পরিবেশকে নিজেদের মতো করে কাজে লাগিয়ে জিতত। তাই এটা ভেবে খুশি হয়েছি যে ভারত জেতেনি। কিছু তো আছেই ওদের পিচে। আমার মনে হয়, একদম তরতাজা পিচে খেলা হওয়া উচিত ছিল। দুটো দলেরই তাতে সুবিধা হত। ফাইনালেও ভারত নিজেদের সুবিধা মতো পিচ বানিয়েছিল। যদি কোহলি শতরান করে দিত তা হলে ভারতও বিশ্বকাপে জিতে যেত।”
উল্লেখ্য, ভারত-নিউ জ়িল্যান্ড সেমিফাইনালের আগে মাথাচাড়া দিয়েছিল পিচ-বিতর্ক। ফাইনালেও তার রেশ ছিল। যদিও সমর্থক বা বিশেষজ্ঞদের দাবি উড়িয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে আইসিসি। তার পরেও পাকিস্তানে সেই বিতর্ককে টেনে আনা হচ্ছে।
এই রজ্জাকই কিছু দিন আগে ঐশ্বর্যাকে নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছিলেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সমালোচনা করতে গিয়ে ঐশ্বর্যার কথা উদাহরণ হিসাবে এনেছিলেন রজ্জাক। বলেছিলেন, ‘‘আমি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সদিচ্ছার কথা বলছি। যখন আমি খেলতাম তখন অধিনায়ক ইউনিস খানের উপর আমার পুরো ভরসা ছিল। আমি জানতাম ও পাকিস্তানকে জেতাতে চায়। সেই কারণে আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলতাম। অনেক সময় আমরা জিতেছি। এখন সেই ইচ্ছাটাই চলে গিয়েছে সবার।’’ এর পরেই ঐশ্বর্যাকে উদাহরণ হিসাবে টেনে এনেছিলেন রজ্জাক। তিনি বলেছিলেন, ‘‘যদি আমি ভাবি যে ঐশ্বর্যার সঙ্গে আমার বিয়ে হবে, তার পর সুন্দর সুন্দর সন্তান হবে, সেটা কী কখনও সম্ভব! আগে নিজের মানসিকতা ঠিক করতে হবে। বুঝতে হবে যে আমি কী চাই। না হলে ভাল ক্রিকেটারও তৈরি হবে না আর পাকিস্তানও জিততে পারবে না।’’
রজ্জাকের কথা শুনে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকেরা হেসে উঠেছিলেন। কিন্তু সমাজমাধ্যমে প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারের সমালোচনা করেছিলেন শাহিদ আফ্রিদি ও শোয়েব আখতার। আফ্রিদি সেই শোয়ে ছিলেন। তখন রজ্জাকের কথা শুনে হাততালি দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরে আফ্রিদি জানিয়েছিলেন যে সেই সময় রজ্জাকের কথার মানে বুঝতে পারেননি তিনি। আফ্রিদিকে সমর্থন করেছিলেন আখতার। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আফ্রিদির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ও বলেছে সেই সময় রজ্জাকের কথা বুঝতে পারেনি। নইলে তখনই ওর কথার নিন্দা করত। পরে টেলিভিশনে রজ্জাকের কথার নিন্দা করেছে আফ্রিদি। আমিও ওর কথা মেনে নিতে পারিনি। এ ভাবে কোনও মহিলার সম্মানহানি করা যায় না।’’
পাকিস্তানের যে টেলিভিশন চ্যানেলে ঐশ্বর্যাকে নিয়ে রজ্জাক মন্তব্য করেছিলেন সেই চ্যানেলেই পরে ক্ষমা চেয়েছিলেন রজ্জাক। বলেছিলেন, ‘‘আগের দিন আমরা ক্রিকেট ও কোচিং নিয়ে কথা বলছিলাম। সেই সময় ভুল করে আমি ঐশ্বর্যা রাইয়ের নাম নিয়ে ফেলি। আমার কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। পুরোটাই ভুল করে হয়েছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে ওঁর (ঐশ্বর্যা) কাছে ক্ষমা চাইছি। কারও ভাবাবেগে আঘাত করার কোনও ইচ্ছা আমার ছিল না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy