সবেদা খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। তাই বলে মুখেও মাখা যাবে সবেদা। ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ সায়েন্স’-এ প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুসারে, সবেদায় এত বেশি পরিমাণে আয়রন, পটাশিয়াম থাকে যে, তা যেমন পেটের জন্য ভাল, তেমনই ত্বকের জন্যও। ত্বকে কোলাজেন তৈরি করতে পারে সবেদা। মুখে-গলায় চামড়া কুঁচকে গেলে বা বলিরেখা পড়তে শুরু করলে, নামীদামি প্রসাধনীর বদলে সবেদা ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
কেন ত্বকের জন্য ভাল সবেদা?
এই ফলে রয়েছে ভিটামিন ই, যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে। প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ়ারের কাজ করে সবেদা। পাশাপাশি, এই ফলের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বকের দাগছোপ দূর করে। ত্বকের প্রদাহজনিত কোনও সমস্যা থাকলে অথবা ব্রণ-ফুস্কুড়ি থাকলে, তার নিরাময়েও ব্যবহার করা যেতে পারে সবেদা। এতে থাকা ভিটামিন এ ও সি, ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লা ফেরাতে পারে। রোদে কালচে হয়ে যাওয়া ত্বকে ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে, কোলাজ়েন সংশ্লেষে ভিটামিন সি কার্যকর। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকেও ত্বককে রক্ষা করে।
কী ভাবে ব্যবহার করলে উপকার হবে?
সবেদা ও মধুর হাইড্রেটিং মাস্ক
ত্বকের ক্লান্তি দূর করতে হাইড্রেটিং মাস্ক মাখারই পরামর্শ দেন ত্বক চিকিৎসকেরা। তার জন্য দোকান থেকে কেনার প্রয়োজন নেই। সবেদা দিয়েই হাইড্রেটিং মাস্ক তৈরি করা সম্ভব। সবেদা ভাল করে পিষে নিয়ে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে, হাতে মাখতে হবে। ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিলেই দেখবেন ত্বক নরম ও জেল্লাদার হয়ে উঠেছে। যাঁদের ত্বকে দাগছোপ পড়েছে বা চোখের নীচে কালি রয়েছে, তাঁরা এই মাস্ক ব্যবহার করলে উপকার পেতে পারেন।
সবেদার সঙ্গে ওট্মিল
সবেদার সঙ্গে ওট্মিল মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করা যায়। সবেদার শাঁসের সঙ্গে ওট্স মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে মুখে মাখতে হবে। ১৫ মিনিট রেখে ঈষদুষ্ণ জলে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এই স্ক্রাব মৃত কোষ দূর করবে, ত্বকের রন্ধ্রে জমে থাকা ধুলোময়লাও দূর করবে। সপ্তাহে দু’দিন এই স্ক্রাব ব্যবহার করলে ত্বকের জেল্লা ফিরবে।
সবেদার সঙ্গে দুধের মাস্ক
সবেদার শাঁসের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে মিহি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এই মাস্ক লাগালে ত্বকের ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা দূর হবে। শুষ্ক ত্বক নরম ও মসৃণ হবে। সপ্তাহে তিন দিন এই মাস্ক লাগালে মুখ থেকে বার্ধক্যের ছাপ দূর হবে, বলিরেখার সমস্যাও দূর হবে।