মকর সংক্রান্তির দিনে ত্রিবেণী-সঙ্গমে ডুব দেওয়াকে পবিত্র মনে করা হয় ভারতে। সেই মকর সংক্রান্তির দিনেই ব্যাট হাতে তিনটি নজির গড়লেন বিরাট কোহলি। তিরুঅনন্তপুরমে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শতরান করে সচিন তেন্ডুলকরকেও ছাপিয়ে গেলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক।

ঘরের মাঠে এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সচিনের শতরানের সংখ্যা ২০টি। ঘরের মাঠে ১৬৪টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছিলেন সচিন। তাঁর এই বিশ্বরেকর্ড গুয়াহাটিতে স্পর্শ করেছিলেন কোহলি। তিরুঅনন্তপুরমে সচিনকে ছাপিয়ে গেলেন কোহলি। দেশের মাটিতে ২১টি শতরান হল ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের। তার জন্য সচিনের থেকে অনেক কম ১০৪টি ম্যাচ নিয়েছেন তিনি।

অন্য আরও একটি পরিসংখ্যানে সচিনকে ছাপিয়ে গিয়েছেন কোহলি। একটি নির্দিষ্ট প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সব থেকে বেশি শতরানের নিরিখে এত দিন যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন তাঁরা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৯টি শতরান রয়েছে সচিনের। গুয়াহাটিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নিজের নবম শতরান করেছিলেন কোহলি। তিরুঅনন্তপুরমে ১০ নম্বর শতরান এল। অর্থাৎ, একটি নির্দিষ্ট প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সব থেকে বেশি শতরানের নজির গড়লেন কোহলি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরও একটি নজির গড়েছেন কোহলি। এক দিনের ক্রিকেটে সর্বাধিক রান করা ক্রিকেটারদের তালিকায় প্রথম পাঁচে ঢুকে পড়েছেন তিনি। ২৬৯ ম্যাচে তাঁর রান ১২৭৫৪। শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার মাহেলা জয়বর্ধনেকে ছাপিয়ে গিয়েছেন তিনি। তাঁর রান ১২৬৫০। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন সচিন। তাঁর রান ১৮৪২৬।

এক দিনের ক্রিকেটে সচিনের ৪৯টি শতরান রয়েছে। ৪৬টি শতরান হল কোহলির। কিন্তু অনেক কম ইনিংসে ৪৬টি শতরান করেছেন তিনি। সচিন ৪৬টি শতরান করতে নিয়েছিলেন ৪৩১টি ইনিংস। কোহলি নিলেন মাত্র ২৬৯টি ইনিংস।

তিরঅনন্তপুরমে কোহলি শেষ পর্যন্ত ১১০ বলে ১৬৬ রান করেছেন। ইনিংসে ৮টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। এই ম্যাচেই এক দিনের ক্রিকেটে এক ইনিংসে সর্বাধিক ছক্কা মারলেন তিনি। এক দিনের ক্রিকেটে চার বার ১৫০-র বেশি রান করেছেন তিনি। এই নজির অবশ্য রয়েছে রোহিত শর্মার নামে। এক দিনের ক্রিকেটে ৮ বার এক ইনিংসে ১৫০ রানের বেশি করেছেন তিনি।