রান পেলেন না রোহিত, ম্যাচ হারল ভারত। ছবি: বিসিসিআই
বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুলকে। ছিলেন না হার্দিক পাণ্ড্য, ভুবনেশ্বর কুমারের মতো প্রথম দলের ক্রিকেটাররা। দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে ইনদওরে মুখ থুবড়ে পড়ল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে হারতে হল রোহিত শর্মাদের। শেষ ম্যাচে হেরে বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন রোহিতরা। এই হারে ভারতীয় দল নিয়ে উঠল অনেক প্রশ্ন। সঙ্গে বোঝা গেল, প্রথম দলের ক্রিকেটাররা না থাকলে রিজার্ভ বেঞ্চ এখনও তৈরি নয়। নিজের ক্ষমতায় ম্যাচ জেতাতে পারছেন না তাঁরা।
ইনদওরে দাপট দেখালেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। প্রথমে ব্যাট করে রিলি রুসোর শতরান ও কুইন্টন ডি’ককের অর্ধশতরানে ২২৭ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তার পরে বল হাতে শুরুতেই ভারতকে চাপে ফেলে দেন কাগিসো রাবাডা, ওয়েন পার্নেলরা। ঋষভ পন্থ ও দীনেশ কার্তিক শুরুটা ভাল করলেও আউট হয়ে যান। ব্যাট হাতে ব্যর্থ সূর্যকুমার যাদবও। টপ ও মিডল অর্ডার ব্যর্থ হওয়ায় ম্যাচ জিততে পারেনি ভারত।
আগেই সিরিজ় জিতে যাওয়ায় এই ম্যাচে কোহলি ও রাহুলকে বিশ্রাম দিয়েছিল ভারত। হাল্কা চোট থাকায় খেলতে পারেননি আরশদীপ সিংহ। দলে তিনটি বদল হয়। দুই ব্যাটার ও এক বোলারের জায়গায় দুই বোলার ও এক ব্যাটারকে খেলায় ভারতীয় ম্যানেজমেন্ট। ফলে এক জন কম ব্যাটার নিয়ে মাঠে নামেন রোহিতরা।
ছ’জন বোলার থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের দমিয়ে রাখা গেল না। তার একটা কারণ যদি হয় ইনদওরের ছোট মাঠ, তা হলে দ্বিতীয় কারণ ভারতীয় বোলারদের সাধারণ মানের বোলিং। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা এই ম্যাচেও রান পেলেন না। বিশ্বকাপের আগে তাঁর ফর্ম চিন্তায় রাখবে প্রোটিয়া শিবিরকে। বাভুমা রান না পেলেও ছন্দে ফিরলেন রুসো। আগের ম্যাচে ডি’কক রান করলেও রানের গতি কম ছিল। এই ম্যাচে পুরনো ডি’কককে দেখা গেল। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন তিনি। হাত খোলা শুরু করে রুসোও। দুই বাঁ হাতির দাপটে দ্রুত রান উঠছিল।
ছোট মাঠে লাগাতার মাঝ পিচে বল ফেললেন ভারতীয় পেসাররা। মাঠের ছোট বাউন্ডারি কাজে লাগিয়ে একের পর এক বড় শট খেললেন ডি’কক, রুসো। প্রথমে অর্ধশতরান করেন ডি’কক। তাঁকে দুরন্ত থ্রোয়ে সাজঘরে ফেরত পাঠান শ্রেয়স আয়ার। ৪৩ বলে ৬৮ রান করে আউট হন ডি’কক।
ডি’কক আউট হওয়ার পরে রানের গতি বাড়ান রুসো। ২৭ বলে অর্ধশতরান করেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন ট্রিস্টান স্টাবস। প্রতি ওভারে বড় রান আসছিল। স্টাবস ২৩ রান করে আউট হন। কিন্তু রুসোকে আউট করা যায়নি। ৪৮ বলে টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম শতরান করেন তিনি। শেষ দিকে মাত্র পাঁচ বলে ১৯ রান করেন ডেভিড মিলার। ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২২৭ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই শূন্য রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন রোহিত। রান পাননি এই ম্যাচে দলে সুযোগ পাওয়া শ্রেয়সও। দু’উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে রানের গতি বাড়ান ঋষভ পন্থ। লুনগি এনগিডির এক ওভারে ২০ রান নেন তিনি। কিন্তু সেই ওভারেরই শেষ বলে ক্যাচ দিয়ে ২৭ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন পন্থ।
এক জন ব্যাটার কম থাকায় চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন দীনেশ কার্তিক। তিনিও বড় শট খেলা শুরু করেন। পার্নেল ও মহারাজের উপর চড়াও হন তিনি। রান দিলেও ওভারের শেষ বলে কার্তিককে আউট করেন মহারাজ। চারটি চার ও সম সংখ্যাক ছক্কা মেরে ২১ বলে ৪৬ রান করেন কার্তিক। পাঁচ নম্বরে নেমে রান পাননি আগের ম্যাচের নায়ক সূর্যকুমার যাদব। মাত্র ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৮৬ রানে ৫ উইকেট পড়ে যায় ভারতের।
মাত্র আট ওভারের মধ্য়ে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ায় আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ভারত। অলরাউন্ডার ও টেলএন্ডাররা অনেক চেষ্টা করেন। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৭৮ রানে শেষ হয় ভারতের ইনিংস। ৪৯ রানে ম্যাচ হারেন রোহিতরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy