এ রকমই দেখতে হবে ভারত-পাক ম্যাচের স্টেডিয়াম। ছবি: এক্স।
আর কয়েক মাসের অপেক্ষা। জুন মাসে নিউ ইয়র্কে আয়োজিত হবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। সেই ম্যাচের স্টেডিয়াম হয়নি বলেই অনেক ছবিই ঘোরাফেরা করছে সমাজমাধ্যমে। তবে আমেরিকার একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, স্টেডিয়াম তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম যে সংস্থা নির্মাণ করেছিল তারাই রয়েছে আইজ়েনহাওয়ার পার্কের ওই স্টেডিয়ামের দায়িত্বে।
আইসিসি জানিয়েছে, মাঠের ধারে সীমানা তৈরি হয়ে গিয়েছে। আউটফিল্ড নিয়েও কাজ শুরু হয়েছে। তিন মাসের মধ্যেই স্টেডিয়াম তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। ৩৪ হাজার দর্শক খেলা দেখতে পারবেন। সাধারণ দর্শকদের পাশাপাশি ভিআইপি-রাও খেলা দেখতে পারবেন। হসপিট্যালিটি বক্সও থাকছে।
লাস ভেগাসে ফর্মুলা ওয়ান গ্রাঁ প্রি-তে যে অস্থায়ী গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড ব্যবহার করা হয়েছিল, এই মাঠেও সেটিই ব্যবহার করা হবে। ক্রিকেটে প্রথম বার এ ভাবে অস্থায়ী স্টেডিয়াম তৈরি করা হচ্ছে। তবে ফর্মুলা ওয়ান, গল্ফ বা অলিম্পিক্স গেমসে এ ধরনের অস্থায়ী স্টেডিয়াম তৈরি করার চল অনেক দিন ধরেই রয়েছে।
স্টেডিয়ামের নকশা তৈরি করেছে ‘পপুলাস’ নামে একটি সংস্থা। তারাই নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের নকশা তৈরি করেছিল। এ ছাড়া ইপিএলের ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পারের স্টেডিয়াম, নিউ ইয়র্কের ইয়াঙ্কি স্টেডিয়ামের নকশাও তারাই করেছে।
আগেই জানা গিয়েছিল যে খেলা হবে ড্রপ ইন পিচে। কিন্তু ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা কম থাকায় আমেরিকায় পিচ প্রস্তুতকারকের অভাব। তাই অস্ট্রেলিয়ার দ্বারস্থ হয়েছে আইসিসি। সেই ম্যাচ যে পিচে খেলা হবে তা তৈরি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে। তার পরে জাহাজে চেপে যাচ্ছে আমেরিকায়।
অস্ট্রেলিয়াতেও খেলা হয় ড্রপ ইন পিচে। সেখানে ‘অ্যাডিলেড টার্ফ সলিউশনস’ এই ধরনের ড্রপ ইন পিচ তৈরিতে বিখ্যাত। অ্যাডিলেডের পিচ প্রস্তুতকারক ডেমিয়েন হাউয়ের নজরে তৈরি হয় পিচ। ডেমিয়েনের সঙ্গে চুক্তি করেছে আমেরিকা। সে দেশে যে সব মাঠে খেলা হবে সেখানকার পিচ তৈরি করছেন ডেমিয়েন। তিনি জানিয়েছেন, ড্রপ ইন পিচ এক দেশে তৈরি করে তার পরে তা অন্য দেশের মাঠে নিয়ে যাওয়া সহজ বিষয় নয়।
ডেমিয়েন বলেন, ‘‘এটা একটু জটিল কাজ। আমরা ১০টি ট্রে-র মধ্যে ছ’টি ট্রে অ্যাডিলেডে তৈরি করছি। তার পর সেগুলি জাহাজের কন্টেনারে ভরে পাঠানো হচ্ছে ফ্লোরিডাতে। সেখান থেকে যাচ্ছে নিউ ইয়র্কে। সেখানে বাকি চারটি ট্রে তৈরি করা হচ্ছে।’’ ডেমিয়েন নিজে গত এক মাস নিউ ইয়র্কে কাটিয়েছেন। সেখানে পিচ তৈরির কাজ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘এক মাস ওখানে ছিলাম। ট্রে থেকে ঘাস এক জায়গায় করা হয়েছে। তাতে মাটি দেওয়া হয়েছে। তার পরে সেই পিচে নজরদারি চালানো হচ্ছে। এখনও কাজ চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy