হরভজন সিংহ। — ফাইল চিত্র
কেউ জীবনে প্রথম বার চামড়ার বল ধরলেন। কেউ গ্রিপ করতে জানেন না। কারও আবার লাইন-লেংথ নিয়ে কোনও ধারণাই নেই। তাঁদের মধ্যে থেকেই জোরে বোলারদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পঞ্জাব ক্রিকেট সংস্থা (পিসিএ)। পুরোটাই প্রাক্তন স্পিনার হরভজন সিংহের মস্তিষ্কপ্রসূত। তাঁর বুদ্ধিতেই পঞ্জাবের পুরনো গরিমা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু হয়েছে। ভারতের অন্য কোনও রাজ্যে এই জিনিস এখনও দেখা যায়নি।
ভিআরভি সিংহের পর পঞ্জাব থেকে এমন কোনও বোলার উঠে আসেননি যিনি টানা ১৪০ কিমি বেগে বল করতে পারেন। সিদ্ধার্থ কৌল, সন্দীপ শর্মা, বলতেজ ধান্দা, সবাই মিডিয়াম পেসার। সেই প্রসঙ্গ ধরেই হরভজন সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, “আগে কোনও রাজ্য এ কাজ করেছে বলে মনে হয় না। আমি চাই পিসিএ এমন বোলার খুঁজে বের করুক, যার টাটকা গতি রয়েছে। পঞ্জাবের ছেলেরা শক্তিশালী। তাই আমাদের এখান থেকেও উমরান মালিক বা কুলদীপ সেন উঠে আসতে পারে। খুঁজে বের করাই আসল কাজ।”
পিসিএ সচিব দিলশের খান্না একটি পরিকল্পনা ছকে নিয়েছিলেন আগেই। তিনি প্রাক্তন নির্বাচক হরবিন্দর সিংহকে এই কাজে নিয়োগ করেছেন। জুড়ে দিয়েছেন মনপ্রীত সিংহ গোনি এবং গগনদীপ সিংহকে। স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী, দু’ধরনের বোলারদেরই খুঁজে বের করা হবে। ‘ওপেন ট্রায়াল’-এর জন্যে স্থানীয় সংবাদপত্র এবং কেবল টিভিতে বিজ্ঞাপন দেওয়া শুরু হয়। তাতে ভালই সাড়া মিলেছে।
হরবিন্দর জানিয়েছেন, অমৃতসর, জালন্ধর, বারনালা, মুক্তসর সাহিবের মতো এলাকায় গিয়ে প্রতিভা খুঁজে এনেছেন তাঁরা। ছয় ফুট আট ইঞ্চির এক বোলারকে খুঁজে পেয়েছেন, যিনি যথেষ্ট শক্তিশালী। হরবিন্দর বলেছেন, “১৬ বছরের নীচে কোনও বোলারকে ডাকা হয়নি। কারণ পেশির শক্তি পাওয়া যাবে না। আমরা দেখতে চেয়েছি কারণ বোলিং অ্যাকশন ভাল এবং কার মধ্যে প্রতিভা রয়েছে। উচ্চতা এবং ওজন নিয়ে পরেও ভাবা যাবে। সাধারণ পঞ্জাবি ছেলেরা শক্তপোক্তই হয়। তার বলে গতি আছে কি না, সেটাই দেখতে চেয়েছি। অবাক হয়েছি দেখে যে প্রত্যন্ত গ্রামের বেশ কিছু ছেলে, যারা আগে শুধু টেনিস বলে খেলেছে, তাদের বলের গতি মারাত্মক।”
১০০০ জনের মধ্যে থেকে আপাতত ৯৩ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। পরে মোহালিতে ১৫ দিনের একটি শিবিরের পর তা কমিয়ে ৫০ করা হবে। চেষ্টা করা হবে বেশ কিছু ম্যাচ খেলানোর, যাতে চার মাস পরে বোর্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় প্রতিযোগিতায় খেলানো যায়। হরভজন বলেছেন, “বোর্ড আমাদের যথেষ্ট টাকা দেয়। সেটা যাতে যথাযথ ভাবে কাজে লাগানো যায়, সেটাই আমার উদ্দেশ্য।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy