দুবাইয়ে আইসিসির সদর দফতর। ছবি: টুইটার।
বিরাট প্রতারণার শিকার আইসিসি। কমপক্ষে ২৫ লাখ ডলার বা প্রায় ২০ কোটি ৩০ লাখ টাকা ক্ষতির মুখে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল। সাইবার অপরাধের শিকার ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। সংস্থার তহবিল থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ স্থানান্তরিত হয়েছে বলে অভিযোগ। ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে অপরাধটি সংগঠিত হয়েছে আমেরিকা থেকে। ২০২২ সালের ঘটনা। আমেরিকার তদন্তকারী সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) জানিয়েছে, প্রতারকরা বিজনেস ই-মেল কম্প্রোমাইজ (বিইসি) বা ই-মেল অ্যাকাউন্ট কম্প্রোমাইজ ব্যবহার করেছে। অনলাইন অপরাধের সব থেকে ক্ষতিকারক পদ্ধতি বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। যদিও আইসিসির তরফে এই ঘটনা নিয়ে কোনও কথা বলা হয়নি। গত বছর আইসিসির বোর্ডের বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। জানা গিয়েছে, আইসিসির অভিযোগের ভিত্তিতেই এফবিআই তদন্ত শুরু করেছে।
প্রতারকরা আইসিসির অ্যাকাউন্ট থেকে ঠিক কী ভাবে টাকা সরিয়ে নিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। দুবাইয়ে সংস্থার সদর দফতরের কোনও কর্মী এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা, তাও স্পষ্ট নয়। আইসিসির সঙ্গে যুক্ত অন্য কোনও সংস্থার জড়িত থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। এক বারে টাকা সরানো হয়ে না একাধিক বারে সরানো হয়েছে, তা নিয়েও কিছু জানায়নি আইসিসি বা এফবিআই।
বিইসি কেলেঙ্কারি গত কয়েক বছরে বড় আকার নিয়েছে আমেরিকায়। অনলাইনে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থাকে প্রতারিত করে অপরাধীরা। টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে পাঠানোর জন্য প্ররোচিত করা হয় নানা ভাবে। আমেরিকার সরকারকে দেওয়া এফবিআইয়ের রিপোর্ট অনুসারে, ২০২১ সালে বিইসি প্রতারকরা এভাবে ২.৪ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার কোটি টাকা প্রতারণা করা হয়েছিল। সেই ফাঁদেই পা দিয়েছে আইসিসি। যদিও অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy