নাজমুল হাসান পাপন। ছবি: টুইটার।
লিটন দাসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ৫৪৬ রানের রেকর্ড ব্যবধানে জিতেছে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। টেস্টে বিশাল জয়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেট মহলের সকলে যখন মাতোয়ারা, তখনই এল ধাক্কা। বোর্ড সভাপতির পদ ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন নাজমুল হাসান পাপন।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের সামনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির পদ ছাড়ার কথা বলেছেন নাজমুল। কেন হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত? কোনও চার রয়েছে? নাজমুল বলেছেন, ‘‘আমার উপর দায়িত্ব ছাড়ার জন্য কোনও চাপ নেই। অন্য কাজগুলিকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য বিসিবি সভাপতির পদে থাকতে চাই না আর।’’
বাংলাদেশ বোর্ড সভাপতির দাবি ক্রিকেটের জন্য অন্য কাজের ক্ষতি হচ্ছে। ন্যুনতম সময় দিতে পারছেন না। নাজমুল বলেছেন, ‘‘আপনারা সবাই জানেন আমি ওষুধের ব্যবসা রয়েছে। রাজনীতি আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্য। আমার বাবা রাজনীতি করতেন। আমিও করি। আগামী দিনেও করব। এ ছাড়াও অন্তত ২০টি ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছি। সে সব ক্ষেত্রেও কিছু দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু ক্রিকেট নিয়েই সব সময় ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। অন্য কাজগুলো করার সময় পাচ্ছি না।’’ এর আগে নাজমুল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ক্রিকেট তাঁর শরীরের ক্ষতি করছে। তিনি বলেছিলেন, ক্রিকেট ম্যাচ দেখা তাঁর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচগুলো। চিকিৎসক নাকি তাঁকে ক্রিকেট ম্যাচ না দেখার পরামর্শ দেয়েছেন।
২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি রয়েছেন নাজমুল। তাঁর হঠাৎ সরে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশে তাই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। বিশেষ করে কয়েক মাস পরেই রয়েছে এক দিনের বিশ্বকাপ। যদিও পাপন বলেননি, তিনি ইস্তফা দেবেন। মনে করা হচ্ছে, চলতি কার্যকালের মেয়াদ শেষ হলে ৬২ বছরের নাজমুল আর ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে দাঁড়াবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy