ইডেন গার্ডেন্স। — ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপের আর দু’মাসও বাকি নেই। ইডেনে প্রথম ম্যাচ রয়েছে ২৮ অক্টোবর। সেই ম্যাচের জন্য হাতে পর্যাপ্ত সময় রয়েছে ঠিকই। কিন্তু বুধবার রাতে যে ভাবে ইডেনে আগুন লাগল, তাতে আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে সিএবি-র অন্দরে। ইডেনের কোথায়, কী ভাবে আগুন লেগেছে তা জানা গিয়েছে দমকলের তরফে। ছোট মাপের আগুন হলেও এর অভিঘাত মোটেই ছোট নয় বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
বুধবার রাত ১২টার আশপাশে ইডেনে অ্যাওয়ে দলের সাজঘরে আগুন লাগে। প্রাথমিক অনুমানের ভিত্তিতে দমকল জানিয়েছে, সেই সাজঘরের ভেতরে যে ‘স্টিম রুম’ রয়েছে, সেখানেই কোনও ভাবে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। তবে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। সাজঘরে সাধারণত স্টিম রুম, সনা বাথ থাকেই। ক্রিকেটারেরা চাপ কমানোর জন্যে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী যে কোনও একটি ব্যবহার করেন। সেই স্টিম রুমে আগুন লাগা কিছুটা চিন্তায় ফেলেছে সিএবি-কে।
গত শনিবার ইডেন পরিদর্শনে এসেছিল আইসিসি এবং বোর্ডের প্রতিনিধিদল। ইডেনের পরিকাঠামো নিয়ে এমনিতে কোনও সমস্যা নেই। মাঠ বা গ্যালারি মোটামুটি ঠিকই আছে। কিন্তু অন্দরসজ্জার ক্ষেত্রে বেশ কিছু জিনিসে জোর দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে শৌচাগার, ফুড কোর্ট, হসপিট্যালিটিতে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে। বদলে ফেলা হচ্ছে মূল প্রবেশপথ, সাজঘর এবং নীচের তলার অন্দরসজ্জা। সেই কাজ করতে গিয়েই বিপদ হয়েছে।
শনিবার সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আইসিসি এবং বোর্ডের প্রতিনিধিদল সব কিছু দেখে খুশি। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আবার পরিদর্শনে আসার কথা রয়েছে তাদের। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব কাজ শেষ করে ফেলতে হবে। স্নেহাশিস আশাবাদী ছিলেন, নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই কাজ শেষ করে ফেলতে পারবেন তাঁরা। কিন্তু বুধবারের পর পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। হয়তো খুব বেশি মাথাব্যথা নেই। কিন্তু বোর্ড বা আইসিসি কর্তাদের কানে নিশ্চয়ই আগুন লাগার খবর পৌঁছেছে। নতুন করে কোনও নির্দেশ আসে কি না, আপাতত চলছে তারই অপেক্ষা।
দমকল সূত্রে খবর, ক্রিকেট বিশ্বকাপ উপলক্ষে ইডেনের সাজঘর মেরামতির কাজ চলছিল। বুধবার রাত ১১টা ৫০ নাগাদ আচমকা ধোঁয়ায় ভরে যায় সাজঘর। সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত কর্মীরা তৎক্ষণাৎ দমকলে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গেই দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দমকলের এক আধিকারিক বলেন, “শর্ট সার্কিটের ফলে এই আগুন লেগে থাকতে পারে। আগুন লাগার পিছনে কী কারণ তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সাজঘরে খেলোয়াড়দের ব্যবহার করার জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলস সিলিং থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তবে দমকল দ্রুত আসায় আগুন বেশি ছড়াতে পারেনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy