দলের মনোবিদ মুগ্ধা বাভারে বাংলা দলের মনোবিদ হিসেবেও কাজ করে গিয়েছেন। এ বার ভারতীয় দলের সঙ্গে নিউজ়িল্যান্ড উড়ে গিয়েছেন তিনি। হরমনপ্রীত বলছিলেন, ‘‘ওঁর সঙ্গে কথা বলার আগে খুব চাপে ছিলাম। কিন্তু মুগ্ধা ম্যামের সঙ্গে কথা বলার পরে খুবই হাল্কা মনে হয় নিজেকে।’’
হরমনপ্রীত কৌর।
পছন্দের জায়গা চার নম্বর। কিন্তু বিশ্বকাপে সেখানে ব্যাট করবেন অধিনায়ক মিতালি রাজ। তাই সহ-অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরকে পাঁচ নম্বরেই ব্যাট করতে হবে।
চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হরমনপ্রীতের গড় ৪০.৪৫। ৪৮ ইনিংসে ১৬১৮ রান করেছেন। কিন্তু পাঁচ নম্বরে তাঁর গড় ২৬.৮৪। তবুও দলের সুবিধা অনুযায়ী পাঁচ নম্বরেই খেলতে হবে ভারতীয় তারকাকে।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে নিজের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে মুখ খুললেন হরমনপ্রীত। বলে দিলেন, ‘‘চার নম্বরে ব্যাট করতেই বেশি পছন্দ করি। কিন্তু দলের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী পাঁচ নম্বরেই ব্যাট করতে হবে।’’ যোগ করেন, ‘‘ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে আমার ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন হতেও পারে। তবে আপাতত আমাকে পাঁচ নম্বরেই ব্যাট করতে হবে। পছন্দের
জায়গায় নয়।’’
শেষ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৭১ রানে অপরাজিত ছিলেন হরমনপ্রীত। তাঁর বিধ্বংসী সেই ইনিংসের পর থেকে খুব একটা বড় রান করতে দেখা যায়নি। প্রচুর সমালোচনাও হয়েছে তাঁকে নিয়ে। প্রাক্তন অধিনায়ক ডায়ানা এডুলজি বলে দিয়েছিলেন, ‘‘প্রয়োজনে হরমনপ্রীতকেও বাদ দেওয়া হোক।’’ তাঁর এই মন্তব্যের পরে হরমনপ্রীতের ব্যাট জবাব দিয়েছে। নিউজ়িল্যান্ডের সঙ্গে শেষ ম্যাচে হাফসেঞ্চুরির পরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন হরমনপ্রীত। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে ফের ছন্দে ভারতীয় সহ-অধিনায়ক। হরমনপ্রীত জানেন, খারাপ ছন্দে থাকলে সমালোচনা হবেই। তাঁর বক্তব্য, ‘‘অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৭১ রান করার পরে আমার থেকে এ রকমই ইনিংস আশা করেন সমর্থকেরা। নিজেকে সেই মাত্রায় নিয়ে যেতে পেরেছি বলেই আমার ব্যাটে রান দেখতে চান প্রত্যেকে। আমি নিজেই খারাপ ছন্দ নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম।’’ যোগ করেছেন, ‘‘ফর্ম খারাপ থাকলে সমালোচনা তো হবেই। তবে সব সময় ইচ্ছা অনুযায়ী তো সবকিছু ঘটে না।’’
হরমনপ্রীত জানিয়েছেন, খারাপ ছন্দে থাকাকালীন তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন, দলের মনোবিদ ও পরিবারের সদস্যেরা। বলছিলেন, ‘‘৪০-৫০ রানের ইনিংস সত্যি চোখে পড়ে না। কিন্তু কঠিন সময় যাঁরা আমার পাশে ছিলেন, তাঁদের কখনওই ভুলব না। পরিবারের সদস্যেরা আমাকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করতেন। দলের মনোবিদের সঙ্গে আলোচনা করেছি, কী ভাবে এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারি। খুবই সুবিধে হয়েছে আমার।’’
দলের মনোবিদ মুগ্ধা বাভারে বাংলা দলের মনোবিদ হিসেবেও কাজ করে গিয়েছেন। এ বার ভারতীয় দলের সঙ্গে নিউজ়িল্যান্ড উড়ে গিয়েছেন তিনি। হরমনপ্রীত বলছিলেন, ‘‘ওঁর সঙ্গে কথা বলার আগে খুব চাপে ছিলাম। কিন্তু মুগ্ধা ম্যামের সঙ্গে কথা বলার পরে খুবই হাল্কা মনে হয় নিজেকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy