বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র
চলতি বিশ্বকাপে হারের হ্যাটট্রিক করেছে পাকিস্তান। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার পরে আফগানিস্তানের কাছেও হেরেছে তারা। পাকিস্তানের এই খারাপ ফলের পরে দলের গোপন কথা প্রকাশ্যে এসেছে। আফগানিস্তান ম্যাচে দেখা গিয়েছে, বাবরকে কেউ কোনও পরামর্শ দিচ্ছেন না। কিন্তু কেন? বাবর নাকি মাঠেই সবাইকে বকুনি দেন। সেই কারণে সবাই তাঁর সঙ্গে কথা বলতে ভয় পান।
দলের গোপন কথা বলেছেন উমর গুল। পাকিস্তানের এই প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেন, ‘‘আমি একটা সিরিজ়ে পাকিস্তান দলের সঙ্গে ছিলাম। সেখানে দেখেছিলাম মাঠে বোলারের সঙ্গে কথা বলায় (মহম্মদ) রিজওয়ান ও শাদাব (খান)-কে বকুনি দিচ্ছে বাবর। মাঠেই সবার সামনে এ ভাবে দু’জন সিনিয়র ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বললেন কেন তারা পরের বার থেকে আর অধিনায়ককে সাহায্য করতে যাবে! সেটাই হচ্ছে। মাঠে বাবর কারও সাহায্য পাচ্ছে না। এর জন্য সম্পূর্ণ ভাবে ও নিজেই দায়ী।’’
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বল করার সময় চাপে পড়ে গিয়েছিলেন বাবর। তিনি বুঝতে পারছিলেন না, কার হাতে বল তুলে দেবেন বা কী রকম ফিল্ডিং সাজাবেন। সেই সময়ও কেউ তাঁর কাছে এসে কথা বলেননি। ক্রিকেট দলে সাধারণত সিনিয়র ক্রিকেটারেরা অধিনায়ককে সাহায্য করেন। ভারতীয় দলের ক্ষেত্রে মাঝে মাঝেই বিরাট কোহলি, হার্দিক পাণ্ড্য, যশপ্রীত বুমরাদের দেখা যায় রোহিত শর্মার সঙ্গে কথা বলতে। সার্বিক ভাবে তাতে দলের ভাল হয়। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেটে সেই ছবিটা দেখা যাচ্ছে না। তার জন্য অবশ্য অধিনায়ককেই দায়ী করছেন সবাই।
বাবরের অধিনায়কত্বের সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের আর এক অধিনায়ক শোয়েব মালিক। তিনি বলেন, ‘‘বাবর ব্যাট হাতে অসাধারণ। কিন্তু অধিনায়ক হিসাবে খুবই সাধারণ। মাঠে অভিনব কোনও ভাবনা ওর মাথা থেকে আসে না। তাই পরিকল্পনা কাজ না করলে চাপে পড়ে যায় বাবর।’’
পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক মইন খানও বাবরের নেতৃত্বে হতাশ। তিনি বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরে পাকিস্তান প্রতিটা বড় প্রতিযোগিতায় বাবরের নেতৃত্বে গিয়েছে। তার মানে বাবর অনেক সময় পেয়েছে শেখার। নিজেকে অধিনায়ক হিসাবে আরও ভাল করার সুযোগ পেয়েও বাবর পারেনি। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে বাবরের অধিনায়ক হিসাবে কোনও উন্নতি হয়নি। এটা পাকিস্তান ক্রিকেটের ক্ষতি করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy