আক্ষেপ যাচ্ছে না শিখর ধাওয়ানের। ২০২৩ সালে আয়েশা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর। তার পর থেকে পুত্র জ়োরাওয়ারের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি ধাওয়ান। আদালত তাঁকে নির্দেশ দিয়েছে পুত্রের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার। তার পরেও তিনি যোগাযোগ রাখতে পারছেন না। এমনকি, পুত্রের সঙ্গে ফোনেও কথা বলতে পারেন না ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার।
স্ত্রী আয়েশার সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ধরে সম্পর্কের অবনতি হওয়ার পরে ২০২৩ সালে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন ধাওয়ান। সেই সময় তিনি দিল্লি হাই কোর্টে অভিযোগ করেছিলেন, পুত্রের সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে দেন না তাঁর স্ত্রী। ধাওয়ানের আবেদন মেনে বিচ্ছেদে সিলমোহর দেন বিচারপতি। তবে সন্তানের দায়িত্ব পাননি ধাওয়ান। বিচারপতি জানান, আয়েশা ভারত বা অস্ট্রেলিয়া যেখানেই থাকুন না কেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ে জ়োরাওয়ারের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন ধাওয়ান। ভিডিয়ো কলে পুত্রের সঙ্গে কথা বলারও অনুমতি দেন বিচারপতি।
ধাওয়ানের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশের পরেও পুত্রের সঙ্গে দেখা করতে পারেন না তিনি। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “দু’বছর ধরে ছেলেকে দেখিনি। এক বছরের বেশি ওর গলা শুনিনি। খুব কষ্ট হয়। কিন্তু এ ভাবেই বাঁচতে হবে। আমি ওর সঙ্গে আধ্যাত্মিক ভাবে যোগাযোগ করি। আমার মন ওর কাছেই পড়ে আছে। জানি, জ়োরাওয়ারও আমার কথা ভাবে। মনে মনেই আমাদের কথা হয়। তা ছাড়া তো আমাদের যোগাযোগের আর কোনও উপায় নেই।”
আরও পড়ুন:
যোগাযোগ করতে না পারলেও পুত্রকে মেসেজ করেন তিনি। ভাবেন, কোনও দিন তাঁর পাঠানো বার্তা জ়োরাওয়ার দেখতে পাবে। ধাওয়ান বলেন, “আমি চাই ও সুস্থ থাকুক। আনন্দে থাকুক। আমি মাঝেমধ্যেই ওকে মেসেজ করি। জানি, ও সেগুলো দেখতে পাবে না। তা-ও করি। আমার কর্তব্য ওকে মেসেজ করা। সেটা আমি করে যাব। আমার ছেলের বয়স এখন ১১ বছর। তার মধ্যে মাত্র আড়াই বছর ওকে কাছে পেয়েছি।”
২০১১ সালে আয়েশার সঙ্গে বিয়ে হয় ধাওয়ানের। আয়েশার আগেও একটি বিয়ে ছিল। সেই সম্পর্ক থেকে দু’টি কন্যা রয়েছে তাঁর। ধাওয়ানের সঙ্গে বিয়ের পর জ়োরাওয়ারের জন্ম হয়। কিন্তু ২০১৬ সালের পর থেকে ধাওয়ান ও আয়েশার সম্পর্কের অবনতি হয়। শেষ পর্যন্ত ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়।
ভারতীয় দলের হয়ে ৩৪টি টেস্ট, ১৬৭টি এক দিনের ম্যাচ ও ৬৮টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ধাওয়ান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ হাজারের উপর রান রয়েছে তাঁর। ২০২২ সালের পর থেকে আর ভারতীয় দলে সুযোগ পাননি ধাওয়ান। ২০২৪ সালে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন তিনি।