ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দিকে তোপ দাগলেন বিচারপতি লোঢা। ইঙ্গিত সৌরভদের দিকে।
সুপ্রিম কোর্টে বুধবার স্বস্তি পেয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। সংবিধান সংশোধনের অনুমতি দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ফলে বোর্ডের মসনদে আইনগত ভাবে আরও তিন বছর থাকতে অসুবিধা নেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং জয় শাহের। রায় বেরোনোর পরেই বোর্ডের দিকে তোপ দাগলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আর এম লোঢা। স্পষ্ট জানালেন, অনেক দিন ধরেই সংবিধান সংশোধনের ফন্দি খুঁজছিল বোর্ড। অপেক্ষা করছিল সঠিক সময়ের।
বিচারপতি লোঢার অধীনেই ভারতীয় বোর্ডে আমূল সংস্কার আসে, যেখানে তিন বছরের মেয়াদের পর বাধ্যতামূলক কুলিং-অফে যাওয়ার কথা বলা হয়। অর্থাৎ রাজ্য সংস্থা বা বোর্ডের কোনও পদাধিকারী টানা দু’বার ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। এই সংস্কারের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বোর্ড। কুলিং-অফ প্রথা তুলে দেওয়ার পক্ষে ছিল তারা। তা না হলেও, কুলিং-অফের নিয়ম সংশোধন করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে বিচারপতি লোঢা বলেছেন, “ক্রিকেট প্রশাসকদের কাছে কুলিং-অফ ছিল বরফের পর্বতের মতো, যাকে ইচ্ছেমতো নড়ানো যাচ্ছিল না। তাই ওরা সঠিক আবহাওয়ার অপেক্ষা করছিল। আগেও বার বার এ রকম হয়েছে।” সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিয়েছেন তিনি। তা সত্ত্বেও তাঁর প্রশ্ন, “যদি একটানা দায়িত্বে থাকার পক্ষেই রায় দেওয়া হয়, তা হলে শুধু ১২ বছর কেন? এক টানা ক্ষমতায় থাকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলে কুলিং-অফ রাখার দরকারই ছিল না।”
কেন তাঁরা কুলিং-অফ এনেছিলেন, সেই প্রসঙ্গে বিচারপতি লোঢা বলেছেন, “দুটো জিনিস মাথায় রেখেছিলাম আমরা। বোর্ডে যাতে কারওর একাধিপত্য না তৈরি হয় এবং প্রশাসনে নতুন মুখ আসে। একাধিপত্য দূর করতে যে কোনও প্রশাসনেই কুলিং-অফ দরকার। দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকার অনুমতি দিলে যে কোনও জায়গাতেই কিছু ব্যক্তির একাধিপত্য তৈরি হবে। সমস্ত ক্ষেত্রের কথা মাথায় রেখেই এটা তৈরি করা হয়েছে। খেলাধুলো তার মধ্যে একটা।”
সেই প্রসঙ্গে সংস্কারের আগে বোর্ডের কার্যকলাপের উদাহরণ টেনেছেন তিনি। বলেছেন, “বিসিসিআইয়ের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট ঢোকার আগের পরিস্থিতির কথা খেয়াল করুন। কিছু ব্যক্তি দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষমতা কুক্ষিগত রেখেছিল। তার বাইরেও অনেক কিছু হচ্ছিল, যা আদালত লক্ষ করেছিল। আমাদের বলা হয়েছিল সংবিধান পরীক্ষা করতে। অনেকের সঙ্গে কথা বলার পর কিছু সমস্যা খুঁজে বের করেছিলাম আমরা। একাধিপত্য শেষ করাই প্রধান লক্ষ্য ছিল আমাদের।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy