এশিয়া কাপ জিতে ট্রফি হাতে মহম্মদ সিরাজ। ছবি: পিটিআই
তাঁর গতিতে ধরাশায়ী হয়েছে প্রতিপক্ষ। মাঠে আগুন ঝরিয়েছেন তিনি। প্রথম চার ওভারেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, খেলার ফল কী হতে চলেছে? এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২১ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন মহম্মদ সিরাজ। তাঁর গতি দেখে খুশি দিল্লি পুলিশ। তাই গতির জন্য সিরাজকে তারা জরিমানা করবে না বলে জানিয়েছে। আগামী দিনেও এ ভাবেই সিরাজ আগুনে বোলিং করুক, সেটাই চায় তারা।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরাজের বোলিংয়ের পরে এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দিল্লি পুলিশ লিখেছে, ‘‘গতির জন্য সিরাজের চালান কাটা (জরিমানা) হবে না।’’ কলকাতা পুলিশকেও আগে এই রকম মজার পোস্ট সমাজমাধ্যমে করতে দেখা গিয়েছে। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নো বল থেকে শুরু করে গত আইপিএলে গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে শেষ পাঁচ বলে কেকেআরের রিঙ্কু সিংহের পাঁচ ছক্কা, সবই জায়গা পেয়েছে সেই তালিকায়। এ বার সিরাজকে নিয়ে মজার পোস্ট করল দিল্লি পুলিশ।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরা হয়েছেন সিরাজ। ম্যাচ জিতে ৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা পেয়েছেন তিনি। পুরস্কারের সেই টাকা পুরোটাই ফিরিয়ে দিয়েছেন সিরাজ। কলম্বোর মাঠকর্মীদের সেই টাকা দিয়ে দিয়েছেন তিনি। ভারতীয় বোলারের মতে, মাঠকর্মীদের জন্যই বৃষ্টির মধ্যেই খেলা সম্ভব হয়েছে। তাই নিজের পুরস্কার মূল্য তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছেন সিরাজ। ম্যাচ শেষে সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে শেষে সিরাজ বলেন, ‘‘এই পুরস্কার কলম্বোর মাঠকর্মীদের প্রাপ্য। ওঁরা না থাকলে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করাই যেত না। তাই এই টাকা ওঁদের হাতে তুলে দিতে চাই।’’
ভারতের হয়ে এক দিনের ক্রিকেটে নতুন বলেই বল করেন সিরাজ। কিন্তু সাধারণত ক্রস সিম (বলের সিমের সঙ্গে আঙুল থাকে আড়াআড়ি) ধরে বল করেন তিনি। ফলে পিচে বল সিমে পড়ে না। ক্রস সিমে বল করলে পিচে পড়ে কোনও বল লাফিয়ে ওঠে। আবার কোনও বল একটু নীচের দিকে থাকে। এ ভাবে বল ধরলে সাধারণত ইনসুইং বেশি হয়।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নিজের সিম বদলে ফেলেছিলেন সিরাজ। ভারতীয় পেসার বলেন, ‘‘আমি সাধারণত ক্রস সিমে বল করি। কিন্তু এই ম্যাচে সিম ধরে বল করছিলাম। তাই ইনসুইংয়ের থেকে আউটসুইং বেশি হচ্ছিল। সেটাই কাজে লাগিয়েছে। বেশির ভাগ ব্যাটার আউটসুইংয়ে আউট হয়েছে। আমার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।’’
ব্যাটারদের পায়ের কাছে বল করেছেন সিরাজ। খেলতে বাধ্য করেছেন। যে লেংথে সিরাজ বলে করেছেন সেই লেংথ থেকে ব্যাটারদের শট খেলতে সুবিধা হয়। কিন্তু সেই লেংথে বল করেই সাফল্য পেয়েছেন ভারতীয় পেসার। এই প্রসঙ্গে সিরাজ বলেন, ‘‘উইকেট থেকেই সব হচ্ছিল। বল সুইং করছিল। তাই আমি বেশি কিছু করার চেষ্টা করিনি। শুধু ব্যাটারের ব্যাটের কাছে বল করার চেষ্টা করেছি। তার পরে বাকি কাজ পিচ করেছে। ব্যাটারদের খেলানোর চেষ্টা করেছি। তাতেই সফল হয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy