প্রতীকী ছবি।
আইপিএলে দল না পাওয়াকে আশীর্বাদ হিসেবেই দেখছেন চেতেশ্বর পুজারা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ থেকে বাদ পড়ার পর আবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট দলে ফিরেছেন। এ জন্য কাউন্টি ক্রিকেটে সাসেক্সের হয়ে সাফল্যকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন পুজারা।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে আইপিএলের নিলামে দল পাননি পুজারা। তা নিয়ে অনেকেই নানা কথা বলেন। পুজারা কিন্তু মনে করছেন, আইপিএলে দল না পাওয়া শাপে বর হয়েছে তাঁর জন্য। হয়ত তিনি মন থেকে চাননি, আইপিএলে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে কিনুক।
আইপিএল নিলামে অবিক্রিত থাকার পর সাসেক্সের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে চলে যান পুজারা। সেখানে প্রথম ম্যাচ থেকেই দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন তিনি। তারই সুবাদে টেস্ট দলে প্রত্যাবর্তন হয়েছে তাঁর।
ভারতীয় ব্যাটার বলেছেন, ‘‘আপনারা বিষয়টাকে কাকতালীয় বলতেই পারেন। আমাকে যদি আইপিএলের কোনও দল নিত, তাহলেও সেখানে আমার খেলার সম্ভাবনা খুবই কম থাকত। হয়তো একটা ম্যাচেও খেলার সুযোগ পেতাম না। শুধু অনুশীলন করেই কেটে যেত। দেখুন ম্যাচের মধ্যে থাকা আর নেটে অনুশীলন করা কখনই এক নয়। তাই কাউন্টিতে খেলার প্রস্তাব পেয়েই সুযোগ কাজে লাগাতে চেয়েছি। নিজের পুরনো ছন্দ ফিরে পাওয়ার জন্য কাউন্টিকেই বেছে নিয়েছি।’’
এই মুহূর্তে প্যারিসে ছুটি কাটাচ্ছেন পুজারা। সেখানেই পেয়েছেন ভারতীয় দলে ফেরার খবর। সাসেক্সের হয়ে পাঁচ ম্যাচে চারটি শতরান-সহ ৭২০ রান করেছেন তিনি। দু’টি দ্বিশতরানের ইনিংসও খেলেছেন পুজারা।
দলে ফিরে খুশি পুজারা বলেছেন, ‘‘আমি সব সময় ইতিবাচক ছিলাম। সফল ভাবে কাউন্টি মরসুম শেষ করার পর ভারতীয় দলে ফেরার আশা ছিল। যদিও কাউন্টি খেলার সময় প্রত্যাবর্তনের কথা মাথায় রেখে খেলিনি। কেবল মাত্র হারানো ছন্দ ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করেছি। জানতাম একটা বড় ইনিংসই আমাকে ছন্দে ফেরাতে পারে।’’
পুজারা আরও বলেছেন, ‘‘ছন্দে ফেরাই লক্ষ্য ছিল আমার। আমার আগের ইনিংসগুলো দেখুন। ৮০ বা ৯০ রান করেছি অনেক ক্ষেত্রে। বড় রান না পেলেও কখনও মনে হয়নি ছন্দ নেই বলে। শুধু বড় রানের ইনিংস খেলতে চাইছিলাম। বড় রান মানে আমার কাছে ১০০ নয়। ১৫০-এর বেশি রানের ইনিংস। মনসংযোগ সেই পর্যায়ে ধরে রাখাটাও গুরুত্বপূর্ণ। সেটাই আসলে ফিরে পেয়েছি ইংল্যান্ডে। ছন্দও পেয়েছি।’’
প্রথম শ্রেণির বা টেস্ট ক্রিকেটে দীর্ঘ ইনিংস খেলার জন্য পরিচিত পুজারা। ভারতীয় দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন নম্বরে ব্যাট করেন তিনি। তা নিয়ে পুজারা বলেছেন, ‘‘লম্বা ইনিংস খেলতে পারলে মনসংযোগের উন্নতি হয়। ফিটনেসও বাড়ে। কাউন্টি খেলতে গিয়ে বুঝেছি, আমার সক্ষমতা ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে। সক্ষমতা ঠিক পর্যায় না থাকলে লম্বা ইনিংস খেলা যায় না। কাউন্টিতে সব কিছুই বেশ ভাল হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy