— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
রঞ্জি ট্রফিতে প্রথম ম্যাচ ১১ অক্টোবর। তার ঠিক দু’দিন আগে দল ঘোষণা করা হল। সেই দল থেকে বাদ দেওয়া হল প্রতিভাবান ব্যাটারকেই। এমনই নাটকীয় ঘটনা ঘটেছে বিহারের ক্রিকেটে। আদালতের হস্তক্ষেপে দল গঠন করতে গিয়েই সমস্যা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত যে দল অংশ নিতে পারছে এটা ভেবেই খুশি ক্রিকেটারেরা।
গত ৫ অগস্ট পটনা হাই কোর্ট বিচারপতি শৈলেশ কুমার সিংহকে ওম্বাডসম্যান নিয়োগ করে বিহার ক্রিকেট সংস্থার (বিসিএ) কাজকর্ম দেখতে বলেছিল। তিনি সচিব হিসাবে আবার নিয়োগ করেন অমিত কুমারকে। এই অমিতই বর্তমান সভাপতি রাকেশ তিওয়ারির বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিলেন। শৈলেশ একটি নির্বাচক কমিটিও গঠন করে দেন। জিশান-উল ইয়াকুইনের নেতৃত্বাধীন কমিটি গত ৭ অক্টোবর একটি দল চূড়ান্ত করে।
তবে মঙ্গলবার পটনা হাই কোর্ট ৫ অগস্টের সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। ফলে নির্বাচক কমিটির দল বাতিল হয়ে যায়। অমিতও সচিব পদ হারান। ওম্বাডসম্যান পদও বাতিল হয়। এই দলটি বেছে নিয়েছেন মধুসূদন তন্তুবাই।
অমিত এক ওয়েবসাইটে বলেছেন, “আদালতের নির্দেশকে সম্মান করি। তবে দশেরার পর আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলব। তিনি রাজি হলে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে তুলতে পারি।”
অমিত এবং রাকেশের ক্ষমতার লড়াই বার বার দেখা গিয়েছে যার শিকার হয়েছেন ক্রিকেটারেরা। এ বছরের শুরুতে রঞ্জি ট্রফিতেও বিস্তক নাটক হয়েছিল। পটনায় দু’টি আলাদা প্রস্তুতি শিবির হয়। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে খেলতে মাঠে পৌঁছে গিয়েছিল দুই দলই। সেই সময় আদালতের নির্দেশে একটি দল খেলার সুযোগ পায়।
দলে থাকা সকল ক্রিকেটারই বিসিএ-কে মেল করে জানিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে অমিতের যোগাযোগ নেই এবং অমিতের আয়োজন করা কোনও শিবিরেও তাঁরা অংশগ্রহণ করেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy