Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Ashes 2023

অ্যাশেজ়ে ২৯৫ রানে শেষ অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস, ইংল্যান্ডের থেকে এগিয়ে ১২ রানে

অস্ট্রেলিয়ার সামনে সুযোগ ছিল বড় রান তুলে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলে দেওয়ার। কিন্তু অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক মনোভাব এবং ব্যাটারদের ভুলে ইংল্যান্ডের থেকে বেশি রানের লিড নিতে পারল না তারা।

ashes 2023

প্যাট কামিন্স (বাঁ দিকে) এবং স্টিভ স্মিথ। এই দুই ব্যাটারই ভাল খেললেন। ছবি: রয়টার্স।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৩ ২৩:০০
Share: Save:

প্রথমে স্টিভ স্মিথ। পরে প্যাট কামিন্স। এই দুই ব্যাটারের সৌজন্যে অ্যাশেজ়ের পঞ্চম টেস্টে কিছুটা হলেও মুখরক্ষা অস্ট্রেলিয়ার। যে ম্যাচে তাদের সামনে সুযোগ ছিল বড় রান তুলে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলে দেওয়ার, সেই ম্যাচে অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক মনোভাব এবং ব্যাটারদের ভুলে মাত্র ১২ রানের লিড নিল তারা। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস শেষ হল ২৯৫ রানে। অর্থাৎ ম্যাচ এখনও দুই দলের কাছে সমান-সমান।

দ্বিতীয় দিন ৬১-১ থেকে খেলা শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ক্রিজে ছিলেন মার্নাস লাবুশেন এবং উসমান খোয়াজা। ইংল্যান্ড যদি প্রথম দিনে চূড়ান্ত আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে থাকে, তা হলে দ্বিতীয় দিন সমর্থকেরা দেখতে পেলেন অতি রক্ষণাত্মক পুরনো মানসিকতার টেস্ট ক্রিকেট। শুধু বল ছাড়া আর ব্যাট দিয়ে রক্ষণ। দুই অসি ক্রিকেটারকে আর কিছু করতে দেখা গেল না। প্রথম রান হতে লাগল ২২টি বল। তা-ও সেটি লেগ বাইয়ে। দুই অসি ক্রিকেটার পণ করেই নেমেছিলেন যে ক্রিজ কামড়ে পড়ে থাকবেন। কোনও ভাবেই উইকেট হারাবেন না।

সেই পণ অবশ্য বেশি ক্ষণ টিকল না। এক ঘণ্টার মাথাতেই প্রথম উইকেট হারাল অস্ট্রেলিয়া। বুদ্ধিতে লাবুশেনকে মাত করলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। মার্ক উডের বলে উইকেটকিপারের হাতে খোঁচা দিলেন লাবুশেন। প্রথম সেশনে একটিই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।

দ্বিতীয় সেশনে তাদের কাছে সুযোগ ছিল বড় রান তোলার। কিন্তু ব্রড অস্ট্রেলিয়ার পরিকল্পনা ওলোট-পালট করে দেন। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর পঞ্চম বলেই অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় উইকেটের পতন। অর্ধশতরানের আগেই ব্রডের বলে এলবিডব্লিউ খোয়াজা (৪৭)। রিভিউ নিলেও লাভ হয়নি। দেখা যায় বল লেগ স্টাম্পে লাগছে।

দ্বিতীয় ওভারে এসে আবার উইকেট নেন ব্রড। এ বার ট্রেভিস হেড খোঁচা দিয়ে ফিরে যান। মিচেল মার্শ একটু আগ্রাসী খেলছিলেন। তাঁকে তুলে নেন জেমস অ্যান্ডারসন। চলতি সিরিজ়ে মাত্র চার উইকেট পাওয়া অ্যান্ডারসন বেশ কয়েক বার সমালোচিত হয়েছেন। শুক্রবার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে দলের কাজে এলেন তিনি। প্রথম বার প্যাভিলিয়ন প্রান্ত থেকে বল করতে এসেই সাফল্য।

চোটের কারণে ফিল্ডিং বা বোলিং করতে পারছেন না মইন আলি। ফলে স্পিন বিভাগে প্রতিষ্ঠিত কেউ নেই। বাধ্য হয়ে জো রুটের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বেন স্টোকস। রুট হতাশ করেননি। অ্যালেক্স ক্যারেকে আউট করেন। মিড অফে স্টোকসের হাতে লোপ্পা ক্যাচ দিয়ে ফেরেন স্টোকস।

তবে উল্টো দিকে একাই লড়ে যাচ্ছিলেন স্মিথ। এক বার রান আউট হওয়ার হাত থেকে বাঁচার পর অর্ধশতরান করেন। যোগ্য সঙ্গত দেন কামিন্স। অষ্টম উইকেটে দু’জনের জুটিতে ওঠে ৫৪ রান। তবে প্রাক্তন অসি অধিনায়কের ব্যাট থেকে শতরান এল না। ৭১ রানে ওকসের বলে ফিরে গেলেন।

প্রথমে স্টিভ স্মিথ। পরে প্যাট কামিন্স। এই দুই ব্যাটারের সৌজন্যে অ্যাশেজ়ের পঞ্চম টেস্টে কিছুটা হলেও মুখরক্ষা অস্ট্রেলিয়ার। যে ম্যাচে তাদের সামনে সুযোগ ছিল বড় রান তুলে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলে দেওয়ার, সেই ম্যাচে অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক মনোভাব এবং ব্যাটারদের ভুলে মাত্র ১২ রানের লিড নিল তারা। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস শেষ হল ২৯৫ রানে। অর্থাৎ ম্যাচ এখনও দুই দলের কাছে সমান-সমান।

দ্বিতীয় দিন ৬১-১ থেকে খেলা শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ক্রিজে ছিলেন মার্নাস লাবুশেন এবং উসমান খোয়াজা। ইংল্যান্ড যদি প্রথম দিনে চূড়ান্ত আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে থাকে, তা হলে দ্বিতীয় দিন সমর্থকেরা দেখতে পেলেন অতি রক্ষণাত্মক পুরনো মানসিকতার টেস্ট ক্রিকেট। শুধু বল ছাড়া আর ব্যাট দিয়ে রক্ষণ। দুই অসি ক্রিকেটারকে আর কিছু করতে দেখা গেল না। প্রথম রান হতে লাগল ২২টি বল। তা-ও সেটি লেগ বাইয়ে। দুই অসি ক্রিকেটার পণ করেই নেমেছিলেন যে ক্রিজ কামড়ে পড়ে থাকবেন। কোনও ভাবেই উইকেট হারাবেন না।

সেই পণ অবশ্য বেশি ক্ষণ টিকল না। এক ঘণ্টার মাথাতেই প্রথম উইকেট হারাল অস্ট্রেলিয়া। বুদ্ধিতে লাবুশেনকে মাত করলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। মার্ক উডের বলে উইকেটকিপারের হাতে খোঁচা দিলেন লাবুশেন। প্রথম সেশনে একটিই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।

দ্বিতীয় সেশনে তাদের কাছে সুযোগ ছিল বড় রান তোলার। কিন্তু ব্রড অস্ট্রেলিয়ার পরিকল্পনা ওলোট-পালট করে দেন। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর পঞ্চম বলেই অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় উইকেটের পতন। অর্ধশতরানের আগেই ব্রডের বলে এলবিডব্লিউ খোয়াজা (৪৭)। রিভিউ নিলেও লাভ হয়নি। দেখা যায় বল লেগ স্টাম্পে লাগছে।

দ্বিতীয় ওভারে এসে আবার উইকেট নেন ব্রড। এ বার ট্রেভিস হেড খোঁচা দিয়ে ফিরে যান। মিচেল মার্শ একটু আগ্রাসী খেলছিলেন। তাঁকে তুলে নেন জেমস অ্যান্ডারসন। চলতি সিরিজ়ে মাত্র চার উইকেট পাওয়া অ্যান্ডারসন বেশ কয়েক বার সমালোচিত হয়েছেন। শুক্রবার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে দলের কাজে এলেন তিনি। প্রথম বার প্যাভিলিয়ন প্রান্ত থেকে বল করতে এসেই সাফল্য।

চোটের কারণে ফিল্ডিং বা বোলিং করতে পারছেন না মইন আলি। ফলে স্পিন বিভাগে প্রতিষ্ঠিত কেউ নেই। বাধ্য হয়ে জো রুটের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বেন স্টোকস। রুট হতাশ করেননি। অ্যালেক্স ক্যারেকে আউট করেন। মিড অফে স্টোকসের হাতে লোপ্পা ক্যাচ দিয়ে ফেরেন স্টোকস।

তবে উল্টো দিকে একাই লড়ে যাচ্ছিলেন স্মিথ। এক বার রান আউট হওয়ার হাত থেকে বাঁচার পর অর্ধশতরান করেন। যোগ্য সঙ্গত দেন কামিন্স। অষ্টম উইকেটে দু’জনের জুটিতে ওঠে ৫৪ রান। তবে প্রাক্তন অসি অধিনায়কের ব্যাট থেকে শতরান এল না। ৭১ রানে ওকসের বলে ফিরে গেলেন।

নীতীনের নিখুঁত সিদ্ধান্ত

অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ৭৮তম ওভার চলছে তখন। ক্রিস ওকসের বল মিড অনে ঠেলে দু’রান নিতে গিয়েছিলেন স্মিথ। ডিপ মিড অনে থাকা ইংল্যান্ডের পরিবর্ত ফিল্ডার ছুটে এসে বল উইকেটকিপার জনি বেয়ারস্টোর উদ্দেশে ছুড়ে দেন। স্মিথ বলের দিকে তাকিয়েছিলেন। ফলে তাঁর দৌড়ের গতি কিছুটা কমে যায়। শেষ মুহূর্তে পড়িমড়ি করে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। লেগ আম্পায়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তিনি রিভিউ চান তৃতীয় আম্পায়ার নীতীনের কাছে।

রিভিউ এক ঝলক দেখে মনে হয়েছিল স্মিথ আউট। কারণ তাঁর ব্যাট ক্রিজ় পেরনোর আগেই স্টাম্প ভেঙে দিয়েছেন বেয়ারস্টো। সরকারি ভাবে তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা না হলেও ইংরেজ ক্রিকেটারেরা তখন মাঠে উল্লাস শুরু করে দিয়েছিলেন। মাথা নাড়তে নাড়তে সাজঘরের দিকে ফিরছিলেন স্মিথও। কিন্তু নাটকের তখনও বাকি ছিল।

নীতীন বেশ কয়েক বার দু’টি ক্যামেরার সাহায্যে ঘটনাটি খুঁটিয়ে দেখেন। তাতে স্পষ্ট বোঝা যায়, স্মিথের ব্যাট ক্রিজ ছোঁয়ার আগেই বেয়ারস্টো গ্লাভস দিয়ে স্টাম্পে আঘাত করেছিলেন। যে হেতু আগেই তাঁর গ্লাভস উইকেটে লেগেছিল, তাই স্মিথকে আউট করতে হলে স্টাম্প থেকে বেলকে আলাদা করতে হত। বেয়ারস্টো সেই কাজটি করার আগেই ক্রিজে ঢুকে পড়েছিলেন স্মিথ। ফলে আইনত তাঁকে আউট দেওয়া যায় না। তাই স্মিথকে ‘নট আউট’ ঘোষণা করেন নীতীন।

২০০৫ সালের অ্যাশেজ়‌ে ঠিক একই ভাবে ইংল্যান্ডের পরিবর্ত ফিল্ডারের হাতে রান আউট হয়েছিলেন তৎকালীন অধিনায়ক রিকি পন্টিং। সেই একই ঘটনা ফিরতে ফিরতেও ফিরলে না ওভালে। তবে আলাদা করে প্রশংসিত হয়েছেন নীতীন। অশ্বিন টুইটারে লিখেছেন, “অ্যাশেজ়‌ এবং পরিবর্ত ফিল্ডারদের সঙ্গে আলাদাই যোগাযোগ রয়েছে। তবে ঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যে নীতীন মেননের জন্যে কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।”

ব্রডের বুদ্ধিতে আউট লাবুশেন

খেলা তখন শুরু হয়েছে। একটি ঘণ্টা কেটে গেলেও অস্ট্রেলিয়ার উইকেট পড়ছিল না। ক্রিজ কামড়ে খেলছিলেন উসমান খোয়াজা এবং লাবুশেন। ৪৩তম ওভার চলাকালীন হঠাৎই ব্রড এসে স্টাম্পের বেল দু’টির স্থান পরিবর্তন করেন। লাবুশেন পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি গোটা ব্যাপারটি দেখে হাসতে থাকেন নন-স্ট্রাইকার খোয়াজার সঙ্গে।

ব্রডের বুদ্ধি কতটা কাজে লেগেছে সেটা বোঝা যায় পরের বলে। মার্ক উডের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হন লাবুশেন। স্লিপে অসাধারণ ক্যাচ ধরেন জো রুট। আউট হয়েই হতাশায় মাথা নাড়তে থাকেন লাবুশেন। আম্পায়ারকে কোনও ব্যাপারে অভিযোগও করছিলেন তিনি। এরই মাঝে ব্রড এসে লাবুশেনকে কিছু বলেন। তার পরেই সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাস করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

অন্য বিষয়গুলি:

Ashes 2023 Steve Smith Pat Cummins
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy