হতাশ পাকিস্তান। ছবি: পিটিআই
পর পর তিনটি ছয়। ম্যাথু ওয়েড ঝড়ে উড়ে গেল পাকিস্তান। স্বপ্নের দৌড় শেষ বাবর আজমদের। ৫ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল অস্ট্রেলিয়া। শাহিন শাহ আফ্রিদিকে বাউন্ডারির বাইরে ফেলে দিলেন ওয়েড।
টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠান অ্যারন ফিঞ্চ। পাকিস্তানের দুই ওপেনার বাবর আজম এবং মহম্মদ রিজওয়ান শুরুটা ভালই করেছিলেন। হাতে উইকেট রেখে ইনিংস গড়ার কাজ করছিলেন দু’জনে। ৩৪ বলে ৩৯ রান করে বাবর ফিরলেও পাকিস্তানকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন রিজওয়ান। ৫২ বলে ৬৭ রান করেন তিনি। তাঁকে সঙ্গত দেন ফখর জামান।
৩২ বলে ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ফখর। তবে আসিফ আলি (০) এবং শোয়েব মালিক (১) ব্যর্থ। একটা সময় পাকিস্তান ২০০ রান পার করে দেবে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু শেষের দিকে রানের গতি আটকে দেন মিচেল স্টার্করা। তবে শেষ ওভারে দু’টি ছয় মেরে পাকিস্তানের স্কোর ১৭৬ রানে পৌঁছে দেন ফখর। স্টার্ক নেন দু’টি উইকেট। একটি করে উইকেট পান প্যাট কামিন্স এবং অ্যাডাম জাম্পা।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শুরুটা করেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। আফ্রিদিদের পাল্টা মারের খেলা শুরু করেন তিনি। একের পর এক বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে থাকেন ওয়ার্নার। অ্যারন ফিঞ্চকে প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন আফ্রিদি। কিন্তু সেই প্রভাব পড়তেই দিলেন না ৩০ বলে ৪৯ রান করা ওয়ার্নার।
আউট না হয়েও ফিরে যান ওয়ার্নার। বুঝতেই পারেননি যে বল তাঁর ব্যাটে লাগেনি। অস্ট্রেলিয়া হেরে গেলে নিজেকে ক্ষমা করতে পারতেন না তিনি। মিচেল মার্শকে সঙ্গী করে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ওয়ার্নার। তাঁরা ফিরতেই ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ ঘুরে যায় পাকিস্তানের দিকে। ১৮ ওভার অবধি পাকিস্তানের দিকেই পাল্লা ভারী ছিল।
শেষ ২ ওভারে দরকার ছিল ২২ রান দরকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার। বল করতে আসেন আফ্রিদি। ভয়ঙ্কর বাঁ-হাতি পেসারকে বাউন্ডারির বাইরে ফেলতে থাকেন ওয়েড। পর পর তিনটি ছয় মেরে ম্যাচ অস্ট্রেলিয়াকে ফাইনালে পৌঁছে দেন তিনি। ১৭ বলে ৪১ রান করেন ওয়েড। তাঁর সঙ্গী ছিলেন মার্কাস স্টোইনিস। তিনি ৩১ বলে ৪০ রান করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy