দলে নেওয়া হল না শামিকে। —ফাইল চিত্র
এশিয়া কাপের মূল দলে নেই শ্রেয়স আয়ার। কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের অধিনায়ককে টপকে দলে জায়গা করে নিয়েছেন দীপক হুডা। শ্রেয়স ছাড়াও বেশ কিছু পরিচিত নাম বাদ পড়েছে দল থেকে। দেখে নেওয়া যাক কোন কোন ক্রিকেটার বাদ পড়লেন।
ঈশান কিশান
তরুণ ওপেনার বাদ যাওয়ায় চমকে গিয়েছেন অনেকে। লোকেশ রাহুল ফিরে আসায় বাদ পড়তে হয়েছে ঈশানকে। উইকেটরক্ষক হিসাবে ঋষভ পন্থ, দীনেশ কার্তিক রয়েছেন দলে। এমন অবস্থায় এশিয়া কাপের দলে নিজের জায়গা করতে পারলেন না ঝাড়খণ্ডের উইকেটরক্ষক। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দু’টি অর্ধশতরান করেন ঈশান। পাঁচ ম্যাচের ওই সিরিজে ভারতীয়দের মধ্যে সব থেকে বেশি রান ছিল তাঁর। কিন্তু তার পর থেকে দশটি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে খেলেছেন ঈশান।
সঞ্জু স্যামসন
আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালস দলকে নেতৃত্ব দেন সঞ্জু। ভারতীয় দলেও কয়েকটি ম্যাচে সুযোগ দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু কেরলের এই ক্রিকেটারকে ভারতীয় দলে নিয়মিত জায়গা পেতে বেশ অপেক্ষা করতে হবে। আয়ারল্যান্ড সিরিজে ৭৭ রানের ইনিংস খেলার পরেও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাদ পড়েন সঞ্জু। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ফের তাঁকে দলে নেওয়া হয়। সেই সিরিজে একটি মাত্র অর্ধশতরান করেন তিনি।
মহম্মদ শামি
যশপ্রীত বুমরা চোটের কারণে এশিয়া কাপে খেলতে পারবেন না। তার পরেও বাংলার পেসারকে নেওয়ার কথা ভাবেননি নির্বাচকরা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে শামিকে একেবারেই বাইরে রাখা হচ্ছে? গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ভারতের হয়ে কোনও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেননি শামি। আইপিএলে গুজরাত টাইটান্স দলের হয়ে ১৬টি ম্যাচে ২০টি উইকেট নেন তিনি। এর পর সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁকে দলে ফেরানো হবে বলে মনে করা হয়েছিল। এক দিনের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেললেও টি-টোয়েন্টি দলে রাখা হয়নি শামিকে। এশিয়া কাপেও তাঁকে দলে রাখা হয়নি। টি-টোয়েন্টিতে শামিকে নিয়ে না ভাবার বার্তা দিলেন নির্বাচকরা?
শ্রেয়স আয়ার
এশিয়া কাপের মূল দলে নেই তিনি। স্ট্যান্ড বাই হিসাবে রাখা হয়েছে এই ব্যাটারকে। দীপক হুডা দলে জায়গা করে নিলেও বাদ শ্রেয়স। হুডা বল করতে পারেন। সেই গুণই শ্রেয়সের থেকে তাঁকে এগিয়ে রাখছে বলে মত অনেকের। ব্যাটার হিসাবে হুডা বা সঞ্জুর থেকে এগিয়ে রাখা হত শ্রেয়সকে। ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলেছেন তিনি। তার পরেও এশিয়া কাপের মূল দলে রাখা হয়নি তাঁকে।
অক্ষর পটেল
শ্রেয়সের মতো তিনিও মূল দলে নেই। স্ট্যান্ড বাই হিসাবে রাখা হয়েছে অক্ষরকে। এশিয়া কাপে না থাকলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে যে তাঁকে রাখা হবে না, এমনটা বলা যাবে না। শুধু স্পিন বোলিং নয়, ব্যাটিংটাও করতে পারেন অক্ষর। সেই কারণে রবি বিষ্ণোইয়ের থেকে এগিয়ে রাখা হতে পারে তাঁকে। এশিয়া কাপে তিনি সুযোগ না পেলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজেকে প্রমাণ করে দলে ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে অক্ষরের কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy