চমক: বাইশ গজ ছেড়ে দোলের সন্ধেয় বাদ্য জগতে ওয়ালশ। পাশে সঙ্গীতশিল্পী তন্ময় বসু। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
কলকাতায় এসেছিলেন ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ এবং ‘দ্য বেঙ্গল ক্লাব’-এর যৌথ আয়োজনে টাইগার পটৌডি স্মারক বক্তৃতায় এ বছরের বক্তা হিসেবে। কে জানত, দোল উৎসবের সঙ্গেও খুশি মনে জড়িয়ে যাবেন।
ক্যারিবিয়ান মানে এমনিতেই সঙ্গীতের ভক্ত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রাক্তন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ফাস্ট বোলার কোর্টনি ওয়ালশ তাই ক্রিকেটের জগত ছাড়িয়ে ঢুকে পড়েছিলেন সঙ্গীতের দুনিয়ায়। সঙ্গীত শিল্পী তন্ময় বসুর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন তাঁর রেস্তোরাঁয়। এখন বাংলাদেশে কোচিং করান ওয়ালশ। সেখানেই সম্ভবত তিনি শুনেছেন কলকাতার নামী বাদ্য শিল্পীর কথা। তন্ময় বসুর রেস্তোরাঁয় গিয়ে বেরিয়ে পড়ল যেন ক্যালিপসো মেজাজও। ড্রাম বাজাতে বসে পড়লেন ওয়ালশ। তাল বাদ্য হাতে পাশে তখন তন্ময়। দোলের সন্ধে জমে উঠল তাঁদের যুগলবন্দিতে। তার মধ্যেই বব মার্লে নিয়ে কথা হল দু’জনের মধ্যে।
ক্রিকেট জীবনে ওয়ালশ এবং কার্টলে অ্যামব্রোজ ছিলেন ভয়ঙ্কর জুটি। কাডি (ওয়ালশ) এবং অ্যাম্বি (অ্যামব্রোজ) নামে পরিচিত ছিল তাঁদের যুগলবন্দি। প্রিয় সতীর্থ অ্যামব্রোজ ক্রিকেট ছাড়ার পরে ক্যারিবিয়ান ব্যান্ডে সক্রিয় ভাবে যুক্ত হয়ে ছিলেন। ব্যান্ড গ্রুপে গিটার বাজাতেন তিনি। সে কথা মনে করে দোলের সন্ধেয় ওয়ালশ বলে ফেললেন, ‘‘অ্যাম্বি তো পেশাদার শিল্পী হয়ে গিয়েছে। এ বার মনে হচ্ছে ওর ব্যান্ডে আমিও জায়গা পাব।’’ এর পর ভারতীয় উৎসব সম্পর্কেও খোঁজ নিতে শুরু করলেন। জানতে চাইলেন দোল আর হোলির মধ্যে কী পার্থক্য।
কলকাতা যে ফুটবলের শহর, সেটা শুনে খুব উৎসাহী হয়ে পড়লেন। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বির কথা শুনে ঢুকে পড়লেন ফুটবলের আলোচনায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ মানে আর শুধুই ক্রিকেট নয়। ইউসেইন বোল্ট, আসাফা পাওয়েলের মতো কিংবদন্তি অ্যাথলিট বেরিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে। বোল্ট এসেছেন তাঁরই শহর জামাইকা থেকে। ‘‘অনেক বারই আমার সঙ্গে দেখা হয়েছে। আগে খুবই যোগযোগ হতো। এখন অনেক দিন কথা হয়নি,’’ বলে দিচ্ছেন ওয়ালশ। তার পরেই হাসতে হাসতে সংযোজন, ‘‘বোল্টের খুব ভাল বন্ধু ক্রিস গেল। দু’জনের বোঝাপড়াও নিশ্চয়ই ভাল। নাইটক্লাব দু’জনেরই প্রিয় গন্তব্য।’’ ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের প্রাক্তন তারকা ডোয়াইট ইয়র্ক-ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে খুবই বিখ্যাত। অনেক ফুটবলারও উঠে এসেছে দ্বীপপূঞ্জ থেকে। ‘‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে ক্রিকেটের পাশাপাশি অন্য খেলাও খুব জনপ্রিয় হয়েছে। যেমন ফুটবল, বাস্কেটবল বা অ্যাথলেটিক্স,’’ বলে ওয়ালশ জানালেন, দশম ক্লাসের পড়ুয়া তাঁর ছেলেই ক্রিকেট খেলছে না। স্কুলে ফুটবল খেলার পাশাপাশি এখন বাস্কেটবলও উপভোগ করছে। ‘‘আমি ক্রিকেট খেলেছি বলেই ওকেও খেলতে হবে এমন মানে নেই। যেটা উপভোগ করবে, সেটাই করুক,’’ বলছেন তিনি। ঢাকা ফিরে গিয়ে শুক্রবার থেকেই শিবির চালু করে দিলেন ওয়ালশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy