Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

আইসিসি বৈঠকে করোনার প্রভাব নিয়ে চর্চার ইঙ্গিত

এ সব নিয়ে আলোচনা করার প্রথম সুযোগ ক্রিকেট কর্তারা পাচ্ছেন আজ, বৃহস্পতিবার। সদস্য দেশের চিফ এগজিকিউটিভদের নিয়ে এই বৈঠক হবে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২০ ০৪:৪১
Share: Save:

বিশ্ব ক্রিকেটে করোনার প্রকোপ কতটা? অনেক ক্রিকেট বোর্ডই কোটি কোটি টাকার ক্ষতির মুখে। নিয়ামক সংস্থা আইসিসি-তেও বিপর্যয় নেমে আসতে পারে দীর্ঘ দিন এ ভাবে ক্রিকেট বন্ধ থাকলে।

এ সব নিয়ে আলোচনা করার প্রথম সুযোগ ক্রিকেট কর্তারা পাচ্ছেন আজ, বৃহস্পতিবার। সদস্য দেশের চিফ এগজিকিউটিভদের নিয়ে এই বৈঠক হবে। বারোটি পূর্ণ সদস্য দেশ তিনটি অ্যাসোসিয়েট দেশের প্রতিনিধিরা থাকবেন। শেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ হয়েছে ১৩ মার্চ সিডনিতে। অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজ়িল্যান্ডের ওয়ান ডে। সেই ম্যাচও হয়েছিল ফাঁকা স্টেডিয়ামে। ভারতে শেষ ম্যাচ ধর্মশালায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। কিন্তু সে ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়। এর পরে লখনউতে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারেরা পৌঁছলেও করনোরা প্রকোপ বাড়তে থাকায় সিরিজ বন্ধ হয়ে যায়।

খেলা বন্ধ থাকায় অনেক দেশই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান চিন্তার জায়গা আইপিএল। যদি শেষ পর্যন্ত বাতিল করে দিতে হয়, টিভি সম্প্রচার স্বত্ব থেকে শুরু করে ক্রিকেটারদের আইপিএল বেতন, রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার অনুদান সবই ধাক্কা খাবে। অনুমান করা হচ্ছে, শুধু টিভি সম্প্রচার স্বত্ব বাবদই তিন হাজার কোটি টাকার উপরে লোকসান হতে পারে আইপিএল বাতিল হলে। স্পনসরশিপ বাবদ ক্ষতি হতে পারে আরও ৪০০-৫০০ কোটি টাকার। আইপিএল নিলামে বিশাল অর্থে বিক্রি হলেও ক্রিকেটারেরা কেউ সেই টাকা পাবেন না, যদি খেলাই না হয়।

আরও পড়ুন: কোন বোলারের বিরুদ্ধে খেলাটা সবচেয়ে কঠিন? রাহানে বললেন..

ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের ৩০০ মিলিয়ন পাউন্ড লোকসান হতে পারে বলে তাদের কর্তারা আশঙ্কা করছেন। তুলনায় অস্ট্রেলিয়া বা পাকিস্তানের পরিস্থিতি ভাল কারণ এই সময়ে তাদের মরসুম শেষের দিকে ছিল। অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র দুশ্চিন্তা এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে কি না এবং বছরের শেষ দিকে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ করা যাবে কি না। আইসিসি যে নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চালু করেছে, তার অঙ্গ ছিল দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। সেগুলোও এখন বাতিল হচ্ছে। ফলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ভাগ্য কী হবে, তা নিয়েও কথা উঠতে শুরু করেছে। সেই বিষয়ে আলোচনা হতে পারে সভায়।

যদিও ওয়াকিবহাল মহলের পর্যবেক্ষণ, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে নিশ্চিত কোনও পদক্ষেপের সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ করোনা নিয়ে পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হতে পারে, সে ব্যাপারে কারও কোনও আন্দাজ নেই। যত ক্ষণ না বিশ্বব্যাপী লকডাউন হাল্কা হচ্ছে, তত ক্ষণ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করাই অর্থহীন বলে কর্তাদের অনেকে মনে করছেন। কারও কারও কথায়, ‘‘কত দিন এই পরিস্থিতি চলবে, সেটাই তো এখনও পরিষ্কার নয়। তা হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ মাপা হবে কী করে? কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়েও নিশ্চিত ধারণা পাওয়া সম্ভব নয়।’’

আরও পড়ুন: ২২ বছর আগে সচিনের সেই মরুঝড়ে উড়ে গিয়েছিলেন ওয়ার্ন-কাসপ্রোইচরা

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy